জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী আবে’র অভিযুক্ত হত্যাকারীর আজ বিচার শুরু
জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে-কে হত্যায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তির বিচার আজ মঙ্গলবার শুরু হতে যাচ্ছে। তিন বছর আগে প্রকাশ্য দিবালোকে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
৪৫ বছর বয়সী তেতসুয়া ইয়ামাগামির বিরুদ্ধে হত্যা এবং অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগ করা হয়েছে যে, তিনি হাতে তৈরি একটি অস্ত্র ব্যবহার করে ২০২২ সালের জুলাই মাসে একটি বক্তৃতা দেওয়ার সময় জাপানের দীর্ঘতম সময়ের প্রধানমন্ত্রী আবেকে গুলি করে হত্যা করেন।
জাপানের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর নারাতে সংঘটিত এই হত্যাকাণ্ড এমন এক দেশে আত্মসমালোচনার সূচনা করে, যেখানে বন্দুক সহিংসতার অভিজ্ঞতা প্রায় নেই।
হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হলে তার দীর্ঘ কারাদণ্ড হতে পারে। জাপানে মৃত্যুদণ্ডের বিধান থাকলেও, একাধিক ব্যক্তিকে হত্যাকারী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেই এটি বেশি প্রযোজ্য।
আগামী জানুয়ারিতে রায় ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে।
ইয়ামাগামির পক্ষের আইনজীবীরা এই হত্যাকাণ্ডটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল না দাবি করবেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, প্রসিকিউটররা তার অপরাধের জঘন্য এবং পূর্বপরিকল্পিত প্রকৃতির উপর জোর দেওয়ার চেষ্টা করবেন বলে জানা গেছে।
এই হত্যাকাণ্ডটি বিশ্বের সবচেয়ে কঠোর বন্দুক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার একটি দেশের জন্য একটি জাগরণের আহ্বানও ছিল।
হামলার পর একটি পুলিশ প্রেিতবেদনে বলা হয়েছে, জাপানে বন্দুক সহিংসতা এতটাই বিরল যে ঘটনাস্থলে উপস্থিত নিরাপত্তা কর্মকর্তারা প্রথম গুলির শব্দ তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত করতে ব্যর্থ হন এবং অনেক দেরিতে আবেকে উদ্ধার করেন।
এই বিপর্যয়ের ফলে আইন প্রণেতারা ২০২৪ সালে একটি বিল পাস করেন, যাতে মানুষকে ঘরে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি করা থেকে বিরত রাখতে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আরও জোরদার করা হয়।
নতুন নিয়ম অনুসারে, আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির টিউটোরিয়াল ভিডিও আপলোড করা এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্দুক বিক্রির তথ্য প্রচার করার অপরাধে জরিমানা বা এক বছরের কম কারাদণ্ড হতে পারে।