শনিবার ১৮ অক্টোবর ২০২৫, কার্তিক ৩ ১৪৩২, ২৫ রবিউস সানি ১৪৪৭

ব্রেকিং

ফিলিপাইনে ঝড়ের আশঙ্কায় উপকূল থেকে চলে যাচ্ছে স্থানীয়রা হামাস সদস্যদের ‘ভেতরে গিয়ে হত্যা’র হুমকি ট্রাম্পের ফিলিপাইনে ভূমিকম্পের আঘাত ট্রাম্প প্রশাসনের সরকারি কর্মী ছাঁটাইয়ের ওপর সাময়িক স্থগিতাদেশ মার্কিন আদালতের মরণোত্তর পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে ‘শহিদ’ চার্লি কার্ককে সম্মান জানালেন ট্রাম্প বুধবার গাজার রাফাহ ক্রসিং পুনরায় চালু করবে ইসরায়েল ৫ দফা দাবিতে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা গাজা ঘোষণাপত্রে নেতাদের স্বাক্ষর ‘মধ্যপ্রাচ্যের জন্য অসাধারণ দিন’: ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধে `শেষ পর্যন্ত লড়াই` করবে চীন গাজা থেকে মুক্ত ৭ জিম্মিকে গ্রহণ করেছে ইসরাইল ট্রাম্পকে সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মাননা প্রদান করবে ইসরাইল ঘানার নৌকাডুবিতে ১৫ জন নিহত বিগত তিন নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারীদের বিরত রাখা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রোমের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ প্রধান উপদেষ্টার চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান অনিবার্য হয়ে পড়েছিল : চিফ প্রসিকিউটর বিগত তিনটি নির্বাচনে দুর্নীতি, অনিয়ম ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তথ্য চেয়েছে তদন্ত কমিশন পরমাণু আলোচনা পুনরায় শুরু করার কোনো কারণ নেই: ইরান

আন্তর্জাতিক

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে শুল্ক যুদ্ধে চীন কি মার্কিন ঋণ ব্যবহার করতে পারে?

ওএনপি২৪ নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: ০৯:৫৬, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে শুল্ক যুদ্ধে চীন কি মার্কিন ঋণ ব্যবহার করতে পারে?

চীনের পাল্টা অস্ত্র হতে পারে মার্কিন ঋণ, বাড়ছে বাণিজ্য যুদ্ধের উত্তেজনা -

যুক্তরাষ্ট্র ও চীন বর্তমানে বাণিজ্য যুদ্ধের সম্মুখীন। গত ২০২৪ সালে, যুক্তরাষ্ট্র চীনে ১৪ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, এবং চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি ২৯৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এই ঘাটতি কমাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের ওপর পাল্টা শুল্ক ১৪৫ শতাংশে বাড়িয়েছেন। এর জবাবে চীনও মার্কিন পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে।

চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা 'শেষ পর্যন্ত লড়াই' করার জন্য প্রস্তুত এবং যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়ম ভঙ্গ করছে।

চীনের জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র হিসেবে মার্কিন ঋণ রয়েছে। চীন বর্তমানে মার্কিন ঋণের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধারক, যার পরিমাণ ৭৬০ বিলিয়ন ডলার। চীন যদি মার্কিন ট্রেজারি বন্ড বিক্রি করে দেয়, তবে এর ফলে মার্কিন ডলারের মূল্য কমতে পারে, যা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে বড় প্রভাব ফেলবে।

তবে চীন যদি এই পদক্ষেপ নেয়, তা তাদের নিজস্ব মুদ্রা ইউয়ানের শক্তিশালী হওয়ার ঝুঁকি তৈরি করবে, যা চীনের রপ্তানির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। চীন চায় না তার মুদ্রা শক্তিশালী হোক, কারণ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে মার্কিন ডলার এখনও প্রধান মুদ্রা হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

এছাড়া, ফেডারেল রিজার্ভ যদি এই পরিস্থিতিতে সাড়া দেয়, তবে তারা সুদহার কমিয়ে বা আর্থিক সম্পদ কিনে অর্থনীতিতে নতুন করে অর্থ সঞ্চালন করতে পারে। তবে, মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায় যে, তারা শিগগিরই সুদহার কমাবে না।

অন্যদিকে, মার্কিন ভোক্তারা উদ্বিগ্ন হয়ে খরচ কমাতে শুরু করেছেন, এবং তাদের আস্থা অনেকটাই কমে গেছে। যদি এ ধরনের পদক্ষেপের হুমকি বৃদ্ধি পায়, তবে ভোক্তাদের আস্থা আরও হ্রাস পেতে পারে।