শুক্রবার ০৪ জুলাই ২০২৫, আষাঢ় ২০ ১৪৩২, ০৮ মুহররম ১৪৪৭

ব্রেকিং

সংখ্যানুপাতিক ব্যবস্থায়(পিআর) ‘ভবিষ্যৎ বিভক্তি’র শঙ্কা তারেক রহমানের জুলাই বিপ্লব নিয়ে কটূক্তি করায় কুষ্টিয়ায় ট্রাফিক পুলিশ সদস্য ক্লোজড কলেজ প্যাডে ছাত্রদলের প্রচারণা? অধ্যক্ষের ব্যাখ্যা ঘিরে বিতর্ক মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের সংঘাত বিস্তার: বিশ্লেষণ কলম্বিয়ায় পাহাড়ধসে মৃত্যু ১৬, নিখোঁজ অন্তত ৮ “ত্রাণ নিতে এলে গুলি করতাম”—গাজার ঘটনায় মুখ খুললেন ইসরায়েলি সেনারা তেহরানে ধ্বংসস্তূপে উদ্ধার চলছেই, মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৫০ ইরানে বাংলাদেশিদের সহায়তায় হটলাইন চালু উপদেষ্টার গাড়িবহর আটকে বিক্ষোভ: সিলেটে তিনজন কারাগারে ইসরায়েলের টার্গেটে ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার ভবন লন্ডনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক ১৩ জুন তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন: ফখরুল রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হবে কাঁচের মতো স্বচ্ছ ঘর: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্বাচনের ঘোষিত সময় মাথায় রেখে যথাসময়ে রোডম্যাপ দেবে ইসি: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ছাত্রদল নেতা নাছির উদ্দিন মণিপুরে আবার উত্তেজনা, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের চাপে ঢাকার ৪ থানায় সক্রিয় অর্ধশতাধিক অপরাধী দল জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে: প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণায় জাতির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি: সালাহউদ্দিন আহমদ জুলাই সনদ–ঘোষণাপত্র হলে ঘোষিত সময়ে নির্বাচনে আপত্তি নেই: এনসিপি ২৫ কিলোমিটার যানজট, ২৪ ঘণ্টায় পারাপার ৬৪ হাজার যানবাহন বান্দরবানের রুমা ও থানচি ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আংশিকভাবে প্রত্যাহার গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো, জাতিসংঘ নিরাপত্তা গরম মসলার বাজার শীতল: ক্রেতা কমে যাচ্ছে, দাম কিছুটা স্থিতিশীল ঈদে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দই-মিষ্টি মজুত, রংপুরে হিমাগারে অভিযান ও দুই লাখ টাকা জরিমানা বান্দরবানের লামায় পাহাড় ধসের শঙ্কায় ৬০ রিসোর্ট বন্ধ নির্বাচন নিয়ে তরুণদের প্রতি অসত্য অভিযোগ ও বাস্তবতা ভারতের মুসলমানদের কেন বারবার দেশপ্রেমের প্রমাণ দিতে হয় সংবিধান পরিবর্তন ছাড়া ফ্যাসিবাদ বিলোপ সম্ভব নয়: এনসিপি মুখ্য সমন্বয়ক একুশের বন্ধুত্বে আগামীর পথচলা: বার্ষিক সম্মেলনে ২১তম বিসিএস প্রশাসন ফোরাম বিজিএমইএ`র নতুন নেতৃত্বে আসছেন বাবু, নিরঙ্কুশ জয়ের ইঙ্গিত জিলহজ মাসের আমল ও কোরবানির তাৎপর্য চট্টগ্রামে নারীকে লাথির ঘটনায় ভাইরাল আকাশ চৌধুরী বহিষ্কৃত, জামায়াতের বিবৃতি সংকট নিরসনে উদ্যোগ নেই, আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিল পবিস শ্রমিকরা আনচেলত্তির স্বপ্ন - রিয়াল মাদ্রিদের মতো করে খেলাবেন ব্রাজিলকে ডিমের দাম এখনো চড়া, ডজন ১৩০–১৪০ টাকায় বিক্রি বৈরী আবহাওয়ার কারণে নোয়াখালীর হাতিয়া দ্বীপের সঙ্গে সারাদেশের নৌ-যোগাযোগ বন্ধ হারের পর লিটনের মনোভাব - এখনো দুই ম্যাচ বাকি কাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশের সব জুয়েলারি দোকান বন্ধ ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্র চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করবে ডিএনএ টেস্ট করে নামফলক ও মর্যাদা চায় শহীদ পরিবারের সদস্যরা বেতন না পেয়ে ডাকাতি, জাহাজের চিফ ইঞ্জিনিয়ারসহ তিনজন আটক “বাংলাদেশে কৌশলগত স্বার্থ নেই দক্ষিণ কোরিয়ার”—রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক “শাপলার হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই”—হেফাজতের বিবৃতি মির্জা আব্বাস: “করিডর আর স্টারলিংক আনা হচ্ছে আরাকান আর্মির জন্য” জিলহজ মাসের চাঁদ দেখে যে দোয়া পড়বেন নির্বাচনের আগে যতটুকু দরকার, ততটুকুই সংস্কার করতে হবে: মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ‘চিন্তার স্বাধীনতাও হারাচ্ছি?’— নারী কমিশন বিতর্কে গীতিআরার উদ্বেগ ইউক্রেনে রাশিয়ার টানা হামলায় নিহত ১২, কঠোর চাপের আহ্বান জানালেন জেলেনস্কি সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন – তিনটি কঠিন দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট আমরা জুলাই অভ্যুত্থান ক্ষমতার পালাবদল নয়, এটি মৌলিক সংস্কার: নাহিদ হলুদ সাংবাদিকতা’ বিরোধী স্লোগানে উত্তাল শিক্ষক মিছিল ভারতের নিষেধাজ্ঞায় আখাউড়া বন্দর দিয়ে রপ্তানি কমেছে ৪০% বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি চলছে, দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি জাতীয় স্বার্থে অভিমান ভুলে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান : জামায়াত আমির আন্দোলনের পর অবশেষে নিয়োগ পেলেন ৪৩তম বিসিএসের বাদ পড়া ১৬২ জন নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবিতে ইসির সামনে এনসিপির বিক্ষোভ কাল বাংলাদেশে স্টারলিংকের যাত্রা, স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের নতুন যুগ শুরু নরওয়ের দৃঢ় সমর্থন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি বিগত সরকারের সময় প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংসপ্রাপ্ত, এমন অবস্থা ছিল যে খতিবকেও পালাতে হয়েছিল: বাণিজ্য উপদেষ্টা গায়ের জোরে নগর ভবন দখল করে আন্দোলন চালাচ্ছে বিএনপি আবারও রাজপথে নামার ইঙ্গিত আসিফের, সতর্ক করলেন হাসনাত গোপন অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে আন্দোলন স্থগিত, ২০ মে আলোচনায় বসবে ঐক্য পরিষদ ভারতের আমদানি নিষেধাজ্ঞা সীমান্ত বাণিজ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি করছে ভারতের নতুন সিদ্ধান্তে উত্তর-পূর্বাঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশি ভোগ্যপণ্য আমদানি বন্ধ গত ৯ মাসে জুলাই-যোদ্ধাদের ওপর ৩৮টি হামলা জবি’র ৪ দফা দাবি মেনে নেওয়ায় আন্দোলনের সমাপ্তি ঘোষণা ডিবি থেকে মুক্তির পর আন্দোলনে উল্লাস জবি শিক্ষার্থীর গাজা দখলে নেওয়ার আকাঙ্ক্ষা পুনর্ব্যক্ত করলেন ট্রাম্প শাহরিয়ার হত্যাকাণ্ডে বিচার নিশ্চিতের অঙ্গীকার উপদেষ্টা আসিফের সোনার দাম ভরিতে কমল ৩ হাজার ৪৫২ টাকা, নতুন দর কার্যকর শুক্রবার থেকে ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু: নিরাপত্তা নিশ্চিতে বড় পদক্ষেপ প্রশাসনের আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধে ভারতের উদ্বেগ শ্রীনগরজুড়ে বিস্ফোরণ, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওমর আব্দুল্লাহর উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত: আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ ‘চলবে’, শনিবার গণজমায়েত ড্রোন যুদ্ধ: ভারত-পাকিস্তান বিরোধের নতুন অধ্যায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে সরকার গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আ.লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগ ছাড়বেন না আন্দোলনকারীরা ‘আপ বাংলাদেশ’–এর আত্মপ্রকাশ পূর্বঘোষণা ছাড়া ভারত সফরে সৌদি প্রতিমন্ত্রী, পাকিস্তান-ভারত উত্তেজনায় কূটনৈতিক তৎপরতা তুঙ্গে দ্রুত সিদ্ধান্ত না এলে সারা দেশ থেকে ঢাকা অভিমুখে মার্চের হুঁশিয়ারি নাহিদ ইসলামের দেশীয় ওষুধ কোম্পানি রেনাটাকে ৭০০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে আইএফসি তারেক রহমান: সরকার হয়তো স্বৈরাচারের দোসরদের দেশত্যাগে সহায়তা করছে জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে ভারতের নির্দেশে ৪ বাংলাদেশি টিভি চ্যানেল ইউটিউবে বন্ধ

এডিটর`স চয়েস

শরীয়া আইনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হলে এমন জঘন্য ঘটনা বারবার ঘটবে না

 প্রকাশিত: ০৬:৪৬, ৯ অক্টোবর ২০২০

শরীয়া আইনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হলে এমন জঘন্য ঘটনা বারবার ঘটবে না

সারাদেশে একের পর এক ভয়াবহ নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে চলেছে। নরপশুদের হাত রেহাই পাচ্ছে না শিশু, গৃহবধূ, বয়োবৃদ্ধা কেউই। গোটা দেশের মানুষ এখন চরম আতঙ্কিত, ক্ষুব্ধ এবং ন্যায়বিচারের জন্য ফুঁসে উঠেছে। নোয়াখালী, সিলেট, হবিগঞ্জ, খাগড়াছড়ি, পিরোজপুর, লক্ষীপুর, গাজিপুর, নারায়াণগঞ্জ, রাজশাহীসহ সারাদেশে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের বিচারের দাবিতে ছাত্র-শিক্ষক ও সর্বস্তরের জনগণ দফায় দফায় রাজপথে বিক্ষোভ করে চলেছেন।

ধর্ষকের দ্রুত কঠিন বিচার না হওয়ার কারণে প্রতিনিয়ত নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে চলেছে, ধর্ষকরা আরো হিংস্র হয়ে ওঠছে। বিচারহীন সংস্কৃতির কারণে ঘরে-বাইরে কোথাও নারীরা নিরাপদ নয়- এটাই এখন সকলের মনের কথা। এমনকি ন্যায্য বিচার না করার কারণে সরকারের পদত্যাগের দাবিও তুলছে বিএনপিসহ  প্রভাশালী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।
এই মুহূর্তে দেশের অনেক পরিচিত রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ এবং বুদ্ধিজীবীরাও ধর্ষকদের শাস্তি প্রকাশ্যে ফাঁসি, ক্রসফায়ার, ও অঙ্গ কেটে দেওয়ার দাবি তুলছেন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রাপ্ত সংবাদ অনুযায়ী বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হকও বলেছেন, ‘ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান করতে এ সংক্রান্ত আইন সংশোধন করা হচ্ছে।’

সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে ইসলাম টাইমসের সঙ্গে কথা বলেছেন দেশের বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন, উচ্চতর ইসলামি আইন গবেষণা ও দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান মারকাযুদ দাওয়াহ আলইসলামিয়া ঢাকার পরিচালক মুফতী আবুল হাসান মুহাম্মাদ আবদুল্লাহ। তিনি বলেন,স্বভাবধর্ম ইসলামে চৌদ্দশ বছর আগেই ধর্ষকের কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।দেশে ইসলামি আইনের শাসন থাকলে আজকে নারী ধর্ষণের শাস্তির জন্য মানুষকে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করতে হতো না।

ইসলাম বিদ্বেষীদের মুখে এখন ‘ক্রসফায়ার ও ফাঁসির’ দাবি
দেশের শীর্ষ এ আলেমে দ্বীন বলেন, ‘আজকে এতদিন পর যারা ধর্ষকের প্রকাশ্যে ফাঁসি ও ক্রসফায়ার দেওয়ার দাবি তুলছেন, সোশাল মিডিয়ায় বিবৃতি দিচ্ছেন, লেখালেখি করছেন, এমনকি মাতৃজাতি নারীকে পণ্যে পরিণত করা গোষ্ঠীটির লোকেরাও ধর্ষকের মৃতুদণ্ড দাবি করছে, তারাই কিন্তু এতদিন ইসলামে ধর্ষণের মৃতুদণ্ডের শাস্তির বিধানকে ‘বর্বর ও অমানবিক’ বলে কটাক্ষ করেছিল।’

তিনি বলেন, ‘আমরা দেশবাসীর কাছে, সচেতন নাগরিক ও সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলব, আপনারা এ লোকদের কথাগুলোকে লিখে রাখুন। রেকর্ড করে রাখুন। ভবিষ্যতে যাতে ইসলামের শাস্তিকে অমানবিক বলার সময় তাদেরকে আয়নায় মুখ দেখানো যায়।’
মুফতী আবুল হাসান আবদুল্লাহ বলেন, ‘ইসলাম যে মানুষের স্বভাবধর্ম, বর্তমান পরিস্থিতিতে সেটা আবারও সামনে এলো। এ ধরনের চরম মূহূর্তগুলোতে মানুষের হৃদয়ের যে স্বতঃস্ফূর্ত দাবি, সেটাকেই আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ইসলামের বিধান করে দিয়েছেন তার পবিত্র কালামে।’
‘শুধু ধর্ষণ নয়, যুক্ত হবে ফাসাদ ফিলআরদের শাস্তি’

গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। কলেজ ক্যাম্পাসে বেড়াতে যাওয়া স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে ছাত্রাবাসে নিয়ে সরকারদলীয় ছাত্রলীগ কর্মীদের পাশবিক নির্যাতনের ঘটনায় সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। জাতীয় পর্যায়ের একটি বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এমন গর্হিত ঘটনাকে দেশে লাগামহীন বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি চালু হয়েছে- তারই এক ভয়ংকর নমুনা বলে উল্লেখ করেন বিশিষ্টজনেরা। এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই গত ৪ অক্টোবর নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে আরেক গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানী ও নির্যাতন করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার পর ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে গোটা দেশ।

ইসলামে এ ধরনের অপরাধের শাস্তির বিধান কী- এমন প্রশ্নের উত্তরে মুফতী আবুল হাসান আবদুল্লাহ বলেন, ‘এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, অনেকে স্বেচ্ছায়-ব্যভিচার আর জোরপূর্বক ধর্ষণের মধ্যে পার্থক্য করতে চায়, ইসলামী আইনে স্বেচ্ছায় ও জোরপূর্বক ব্যভিচার দুটিই জঘন্য অপরাধ। অবশ্য ধর্ষণের ক্ষেত্রে ধর্ষিতা শাস্তি পাবে না, শাস্তি পাবে শুধু ধর্ষক। এছাড়া ব্যভিচার ও ধর্ষণের  শরীয়ত নির্ধারিত শাস্তি হলো বিবাহিতের ক্ষেত্রে পাথর মেরে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড, আর অবিবাহিতের ক্ষেত্রে একশ বেত্রাঘাত। কিন্তু দেশের চলমান ঘটনাবলির ক্ষেত্রে ইসলামী আইনে শুধু যে ধর্ষণের শাস্তি প্রযোজ্য হবে তা নয়, বরং যুক্ত হবে ফাসাদ ফিলআরদ তথা সমাজে বিশৃংখলা সৃষ্টির শাস্তি। কোরআনে কারীমে পরিষ্কার উল্লেখ আছে, যারা পৃথিবীতে বিশৃংখলা সৃষ্টি করবে তাদের শাস্তি হলো, মৃত্যুদণ্ড, শূলে চড়িয়ে হত্যা, একহাত-এক পা কেটে ফেলা এবং দেশান্তর করে দেওয়া।’ (দেখুন সূরা মায়েদা, আয়াত ৩৩)

‘ফাসাদ ফিল আরদ’ বা সমাজে বিশৃংখলা সৃষ্টি
চলমান নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনাগুলোতে ইসলামী আইনে ধর্ষণের শাস্তির সঙ্গে কীভাবে কোরআনে বর্ণিত ফাসাদ ফিল আরদ তথা জমিনে বিশৃংখলার শাস্তি প্রযোজ্য হবে- এ প্রসঙ্গে এ বিশিষ্ট মুফতী বলেন, ‘আপনি আলোচিত সিলেটের ঘটনা বলুন আর নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর বা সাভারের ঘটনা- সবগুলোতে ধর্ষণের চেয়েও মারাত্মকভাবে জমিনে অশান্তি সৃষ্টির বিষয়টি প্রকটভাবে বিদ্যমান। জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যাওয়া, স্বামীকে বেঁধে রাখা, ধর্ষণের পর খুন করার ভয় দেখানো, ভিডিও করা-ছড়িয়ে দেওয়া, ব্ল্যাকমিল করে একাধিকবার ধর্ষণ করা, দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে শ্লীলতাহানি করা, মারধর- এসবই পরিষ্কার ফাসাদ ফিলআরদ। ফলে যদি কোনো কারণে ধর্ষণের ইসলামী আইন কার্যকর করা নাও যায়, তবুও ফাসাদ ফিল আরদের আইনে অপরাধীদের ওপর মৃত্যুদণ্ড, দেশান্তর এবং এক হাত-এক পা কেটে দেওয়ার শাস্তির বিধান প্রযোজ্য হবে।’
‘আমরা গ্যারান্টি দিচ্ছি, শরীয়া আইনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হলে এমন জঘন্য ঘটনা বারবার ঘটবে না’

এমন দিন সম্ভবত কমই আছে, যেদিন পত্র-পত্রিকায় ধর্ষণের সংবাদ প্রকাশিত হয় না। মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্যমতে, চলতি বছরে জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত দেশে ৮৮৯ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এরইমধ্যে ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছে ৪১ জন। সেই হিসেবে চলতি বছর প্রতিমাসে গড়ে ১১১ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।

এগুলো তো হচ্ছে পত্র-পত্রিকার রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে তৈরিকৃত পরিসংখ্যান-প্রতিবেদন। প্রকৃত হিসাব করা হলে যে পরিসংখ্যান আরো ভয়াবহ হবে তাতে সন্দেহের অবকাশ নেই।
মুফতী আবুল হাসান মুহাম্মাদ আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের দেশে নানান ইস্যুতে সরকার আইন সংশোধন করে,জননিরাপত্তা আইন করে,বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠন করে, কিন্তু ধর্ষণের মতো হিংসাত্মক অপরাধের বিরুদ্ধে কেন সর্বোচ্চ শাস্তির আইন করে ট্রাইবুনাল গঠন করা হয় না? কেন বিচারের দাবিতে আন্দোলন করতে হয় বারবার? চলমান ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনে আমরা লক্ষ্য করেছি, বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদেরকে পুলিশ বাধা দিয়েছে। তাদের ওপর লাঠিচার্জ করা হয়েছে।  এর কারণ কী? প্রশাসন কি ধর্ষকদের সমর্থন করছে তাহলে?’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের কোনো কোনো মন্ত্রী বলছেন, আন্দোলন করার দরকার নেই, সরকার বিচার করবে। খুবই আশ্চর্যর কথা, ধর্ষকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও আন্দোলন করলে সরকারের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ কী? মানুষের ক্ষোভকে সমর্থন হিসেবে না দেখে কেন নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে? এতে তো অপরাধীরা যে ভয়টা পাচ্ছে, সেটাও বন্ধ হয়ে যাবে। মানুষ তো সরকার বিরোধী আন্দোলন করছে না, মানুষ ধর্ষক বিরোধী আন্দোলন করছে। যত বিক্ষোভ বাড়বে, তত অপরাধীদের মনোবল কমবে, তারা আতঙ্কিত থাকবে। তা না করে আন্দোলনকারীদের লাঠিপেটা করা হচ্ছে কেন?’
মুফতী আবুল হাসান আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা গ্যারান্টি দিচ্ছি, শরীয়া আইনে ধর্ষকের একটি মাত্র বিচার করুন। ধর্ষককে মৃত্যুদণ্ড বা একশ বেত্রাঘাতের শাস্তি প্রয়োগ করুন। সমাজে বিশৃংখলা সৃষ্টির শাস্তি হিসেবে একবার হলেও অপরাধীর একহাত একপা কেটে দিন, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করুন। আমরা গ্যারান্টি দিচ্ছি, ছয়মাসের মধ্যে দেশে ধর্ষণের হার আশিভাগ কমে যাবে।’

বর্তমান পরিস্থিতিতে ইসলামী দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে বৃহত্তর বিক্ষোভ ও কর্মসূচি দেওয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ইসলামে মাতৃজাতির সম্মান ও অধিকারের স্বপক্ষে যদি হেফাজতে ইসলামসহ ইসলামী দল ও ব্যক্তিত্বগণ ব্যাপক সচেতনতা ও জনমত গড়ে তুলতে চান, তাহলে তারা চাইলেই লক্ষ লক্ষ লোক জমায়েত করতে পারেন।’

তিনি বলেন, ‘এটা জরুরি নয় যে, রাজধানীতে এধরনের জমায়েত করতে হবে, বরং তারা চাইলে আক্রান্ত এলাকাগুলোতে বড় বড় সমাবেশ করতে পারেন। দেশে যখন ইসলাম বিরোধী নারীনীতি আইন করা হয়, তখন যেমন আমরা আন্দোলন করি, তেমনি মাতৃজাতিকে অসম্মান করার এ ধরনের পরিস্থিতিতেও আমাদের আরো সোচ্চার হওয়া উচিত। এটা এখন সময়ের প্রয়োজন। আমরা এর প্রতি দেশের বিজ্ঞ ওলামায়ে কেরামের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি- যোগ করেন তিনি।

​​​​​​

অনলাইন নিউজ পোর্টাল