মঙ্গলবার ২৫ মার্চ ২০২৫, চৈত্র ১১ ১৪৩১, ২৫ রমজান ১৪৪৬

ব্রেকিং

জরুরি অবস্থা জারি নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রসচিব সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি করার চেষ্টা হচ্ছে: তারেক রহমান আ. লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা ও নিবন্ধন বাতিলের দাবি নাহিদের ৪৭তম বিসিএস: প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ২৭ জুন রাজশাহী ডিবির পাঁচ সদস্য বগুড়ায় অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে আটক যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২৭ মিনিট বন্ধ ছিল মেট্রোরেল ঈদের পরপরই ঢাকায় চালু হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার ভিসা কার্যক্রম সন্দ্বীপের কলঙ্ক থেকে আজ মুক্ত হলাম: ইউনূস জ্ঞান ফিরেছে তামিমের, কথা বলছেন পরিবারের সঙ্গে ১৫ লাখ রিটার্নের ১০ লাখই শূন্য: এনবিআর চেয়ারম্যান সাকিব আল হাসানের সম্পদ ক্রোকের আদেশ তামিমের হার্টে ব্লক, পরানো হলো রিং প্রথমবারের মত সমুদ্রপথে ফেরি চলাচল শুরু ঈদের ছুটিতে ব্যাংকও বন্ধ ৯ দিন ঈদযাত্রা: ট্রেনের ফিরতি টিকেট বিক্রি শুরু প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরে প্রাধান্য পাচ্ছে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ইসরায়েলি হামলায় ‘গাজার নতুন প্রধানমন্ত্রী’ হাসপাতালে নিহত গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের শুরু থেকে নিহত ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে ‘আমি শহীদ হতে যাই’: মাকে ফোনে বলেছিলেন শহীদ শাকিল

জাতীয়

ফোন চুরির অপবাদে নির্যাতনের পর যুবকের গায়ে আগুন

 প্রকাশিত: ১৪:১৫, ১৩ মার্চ ২০২৫

ফোন চুরির অপবাদে নির্যাতনের পর যুবকের গায়ে আগুন

 মোবাইলফোন চুরির অপবাদ দিয়ে এক যুবক ডেকে নিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। পরে তার শরীরে ধরিয়ে দেওয়া হয় আগুন।

প্রাণভিক্ষা চেয়েও রেহাই মেলেনি যুবকটির। মধ্যযুগীয় কায়দার এমন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায়।  

উপজেলার লামাতাশি ইউনিয়নের যমুনাবাদ গ্রামের এ ঘটনার একটি ভিডিও বুধবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যায় ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে নিন্দার ঝড় উঠেছে। নির্যাতনের শিকার জাহেদ মিয়া (২৮) বাহুবলে বনদক্ষিণ গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে।  

স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি গ্রামের আবদুল কাইয়ুমের বাড়ি থেকে দুটি মোবাইলফোন চুরি হয়। এরপর সন্দেহভাজন হিসেবে একই উপজেলার তারাপাশা গ্রামের কিম্মত আলীর ছেলে শহীদুল মিয়াকে (৩০) আটক করে উত্তম মধ্যম দেওয়া হয়। পরে বনদক্ষিণ গ্রামের জাহেদ মিয়াকে ডেকে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। একপর্যায়ে গাছের সাথে বেঁধে তার শরীরে ধরে দেওয়া হয় আগুন। এ সময় চুরির দায় স্বীকার করতে চাপ দেওয়া হলে জাহেদ তা অস্বীকার করেন।  

নির্যাতন বন্ধের জন্য বার বার আকুতি জানান জাহেদ। দীর্ঘক্ষণ নির্যাতনের পর তার পরিবারের লোকজন মোবাইলফোনের মূল্য পরিশোধের শর্তে তাকে ছাড়িয়ে নেন। পরে ভর্তি করা হয়েছে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে।  

চিকিৎসক জানিয়েছেন, জাহেদের শরীরের প্রায় ১৫ শতাংশ আগুনে পুড়ে গেছে। শারীরিক অবস্থার উন্নতির জন্য প্রয়োজন পড়তে পারে অস্ত্রোপচারের।

হাসপাতালে ভর্তি জাহেদ গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘আমারে মোবাইলে কল দিয়ে ডেকে নিয়ে মেহগণি গাছের সাথে বাইন্দ্যা (বেঁধে) মারছে। শরীরে আগুন লাগাইয়া দেওয়া হইয়াছে। পরে আমার দাদা সব টাকা দেওয়ার কথা বলে ছাড়িয়ে নিয়েছে। ’

এ ব্যাপারে বাহুবল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটনাটি দেখেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে পুলিশ আইনি ব্যবস্থা নেবে।