ডেঙ্গু: ৩২ হাজার ছাড়াল ভর্তি রোগী
বাংলাদেশে গত একদিনে এইডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১১৪৪ জন রোগী।
তাদেরকে নিয়ে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজার ৮২ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। এতে এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১৬৬ জনের মৃত্যু হলো।
গত একদিনে ভর্তি রোগীদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৪৬১ জন।
এছাড়া ঢাকা বিভাগে ২৩২ জন, ময়মনসিংহে ৩৫ জন, চট্টগ্রামে ১৪৪ জন, খুলনায় ৮১ জন, রাজশাহী বিভাগে ৩৩ জন, রংপুর বিভাগে ৪৭ জন এবং বরিশাল বিভাগে ৯৯ জন এবং সিলেট বিভাগে ১২ জন রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছে ৩৪৯৫ জন রোগী। এরমধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছে ১৭৫৯ জন রোগী। ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১৭৩৬ জন।
এ বছর ভর্তি রোগীদের মধ্যে ১৮ হাজার ১১৩ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলায়। ঢাকার দুই মহানগর এলাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৩ হাজার ৯৪৯ জন।
এ বছর চলতি সেপ্টেম্বর মাসে বছরের আগের ৮ মাসের চেয়ে বেশি রোগী ভর্তি হয়েছে। ওই মাসে ১৯২৪১ জন রোগী ভর্তির পাশাপাশি মৃত্যু হয়েছে ৮৩ জনের।
অক্টোবরের প্রথমদিন ১১৪৪ জন রোগী ভর্তি হয়েছে, মৃত্যু ৩ জনের।
এর আগে জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ১ হাজার ৫৫ জন, যাদের মধ্যে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয় ৩৩৯ জন, যাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। মার্চ মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১১ জন; যাদের মধ্যে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এপ্রিল মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫০৪ জন, যাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে দুইজনের। মে মাসে ৬৪৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। জুন মাসে ৭৯৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের।
জুলাই মাসে ২৬৬৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়, তাদের মধ্যে ১২ জনের মৃত্যু হয়। অগাস্টে ৬৫২১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল, যাদের মধ্যে ২৭ জনের মৃত্যু হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর তথ্য রাখে ২০০০ সাল থেকে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে এ রোগ নিয়ে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি ১৭০৫ জনের মৃত্যুও হয় ওই বছর।