শনিবার ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, পৌষ ৬ ১৪৩২, ২৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

ব্রেকিং

কবি নজরুলের পাশে শায়িত হাদি প্রিয় হাদি, তুমি থাকবে প্রতিটি বাংলাদেশির বুকের মধ্যে: প্রধান উপদেষ্টা লাখো জনতার অংশগ্রহণে ওসমান হাদির জানাজা সম্পন্ন এ কে খন্দকার ছিলেন ‘অবিস্মরণীয় সৈনিক’: শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা সুদানে নিহত ছয় সেনা সদস্যের মরদেহ ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধের উপ সেনাপতি এ কে খন্দকারের প্রয়াণ রিমান্ড শেষে কারাগারে সাংবাদিক আনিস আলমগীর লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতার বসতঘরে তালা লাগিয়ে অগ্নিসংযোগ, শিশুর মৃত্যু সহিংসতার পোস্ট: অভিযোগ করার আহ্বান সুরক্ষা এজেন্সির দিপু দাসকে উত্তেজিত জনতার হাতে তুলে দেন ফ্লোর ইনচার্জ: র‌্যাব ‘ধর্ম অবমাননা’: ময়মনসিংহে শ্রমিক পিটিয়ে হত্যায় গ্রেপ্তার ৭ আশ্রয়কেন্দ্রে ইসরাইলি হামলায় নিহত ৫ মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক অভিবাসী ও প্রবাসী দিবস উদযাপন সিরিয়ায় ৭০টিরও বেশি আইএস লক্ষ্যবস্তুতে মার্কিন হামলা

জাতীয়

ইউনূসকে নিয়ে ‘অত্যন্ত আশাবাদী’ ফখরুল

 প্রকাশিত: ১৮:৫০, ৮ আগস্ট ২০২৪

ইউনূসকে নিয়ে ‘অত্যন্ত আশাবাদী’ ফখরুল

শান্তিতে নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পরিচালনায় সফল হবেন বলে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেছেন, “ড. ‍মুহাম্মদ ইউনূস তো ছাত্রদের- আমাদের মনোনীত ব্যক্তি, যাকে আমরা গোটা জাতির পক্ষ থেকে এই দায়িত্ব দিয়েছি…তিনি এই দায়িত্ব পালন করবেন।

‘‘আমরা অত্যন্ত আশাবাদী যে- তার সফল নেতৃত্বে, তার যোগ্য নেতৃত্বে যে বিষয়টি (আইনশৃঙ্খলা) আপনি বললেন এটা কাটিয়ে উঠে তিনি তা পূরণ করতে পারবেন।”

বৃহস্পতিবার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কার আন্দোলনের আহতদের দেখতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ফ্রান্সের প্যারিস থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ১০ মিনিটে এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে মুহাম্মদ ইউনূস ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছান। এদিন রাত সাড়ে ৮টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে তার শপথ নেওয়ার কথা রয়েছে।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘সবচেয়ে বড় বিষয় শুধু কিন্তু সেটা (আইনশৃঙ্খলা) না। এই গোটা সমস্যার মূল হচ্ছে গণতন্ত্রের অভাব। সেই গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা হচ্ছে তার অন্যতম প্রধান কাজ।

“যত দ্রুত তিনি গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে পারবেন, ততই তিনি সাফল্য অর্জন করতে পারবেন।”

অন্তর্বতীকালীন সরকারের কাছে প্রত্যাশা কী, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘প্রথমটা হচ্ছে যে, আপনার আইনশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করতে হবে… তার জন্য চূড়ান্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।”

‘‘দ্বিতীয় হচ্ছে যে, অতি দ্রুত নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক যে সরকার- সেখানে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। তৃতীয়টি হচ্ছে যে, অর্থনীতি সচল রাখার জন্য সবরকমের ব্যবস্থা নিতে হবে।”

এর আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক হারুন আল রশিদ, বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলামকে নিয়ে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসাধীন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের দেখতে যান মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, ‘‘ভয়াবহ যে দানবীয় সরকার, অত্যাচারী, হত্যাকারী সরকার- তাদের পতন হয়েছে আমাদের ছাত্রদের নেতৃত্বে রাজনৈতিক দলসহ পেশাজীবীদের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। শিক্ষার্থীদের আমরা অভিবাদন জানাই। সেই সাথে যারা নিহত হয়েছেন- তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।

‘‘আহতদের চিকিৎসার জন্য আমরা হাসপাতালের কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছি। আমাদের ড্যাবের চিকিৎসকরা কাজ করছেন, আমাদের ছাত্ররা কাজ করছেন।”