বুধবার ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, পৌষ ৩ ১৪৩২, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

ব্রেকিং

আমাদের তরুণদের রক্ষা করুন, জাতির ‍উদ্দেশে ভাষণে ইউনূস খালেদা জিয়া ইতিহাসের ‘গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ’: ইউনূস হাদিকে হত্যাচেষ্টা: ফয়সালের সহযোগী কবির ৭ দিনের রিমান্ডে জামায়াত মুক্তিযুদ্ধ নয়, ভারতের বিরুদ্ধে ছিল: আমির হামজা নারায়ণগঞ্জে ‘নিরাপত্তা শঙ্কায়’ ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা বিএনপি প্রার্থীর একাত্তর ও চব্বিশের দালালদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আছি: নাহিদ স্বাধীনতার শত্রুরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চায়: ফখরুল প্রশান্ত মহাসাগরে মাদকবাহী জাহাজে মার্কিন হামলায় ৮ নিহত ‘ঘৃণার প্রতীক’ পাকিস্তানের পতাকা আঁকা নিয়ে জবিতে তুলকালাম বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপতি-প্রধান উপদেষ্টা মহান বিজয় দিবস আজ ওসমান হাদিকে গুলি: শ্যুটার ফয়সালের সহযোগী গ্রেপ্তার বিবিসির বিরুদ্ধে ১০ বিলিয়ন ডলারের মানহানির মামলা ট্রাম্পের

জাতীয়

কোটা থাকবে, সরকার হার পরিবর্তন করতে পারবে: হাই কোর্টের রায়

 প্রকাশিত: ১৯:২৮, ১১ জুলাই ২০২৪

কোটা থাকবে, সরকার হার পরিবর্তন করতে পারবে: হাই কোর্টের রায়

সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও করপোরেশনে চাকরিতে সরাসরি নিয়োগে দুটি গ্রেডে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া রায়ের মূল অংশ প্রকাশ করেছে হাই কোর্ট।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ এ রায় প্রকাশ করে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান রায়।

আন্দোলনকারী ও সরকারের তরফে কোটা সংস্কারের যে কথা বলা হচ্ছে, এই রায়ের মধ্য দিয়ে তার পথ প্রশস্ত হলো।

রায়ে বলা হয়েছে, সরকার চাইলে কোটা পদ্ধতির পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করতে পারবে। কোটা পূরণ না হলে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে পারবে।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে সব কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করে সরকার। এক রিট আবেদনের রায়ে গত ৫ জুন মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাই কোর্ট।

এরপর থেকেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নতুন করে আন্দোলনে নামেন চাকরিপ্রত্যাশী তরুণরা। প্রথম কয়েক দিন মিছিল, মানববন্ধনের মত কর্মসূচি থাকলেও এ সপ্তাহের শুরু থেকে শুরু হয় তাদের অবরোধ কর্মসূচি, যার নাম তারা দিয়েছে ‘বাংলা ব্লকেড’।

‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে আন্দোলনকারীরা শুরুতে চার দফা দাবিতে বিক্ষোভ করলেও এখন তারা মাঠে রয়েছে এক দফা নিয়ে।

তাদের দাবি হল- সব গ্রেডে সব ধরনের ‘অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক’ কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ‘ন্যূনতম পর্যায়ে’ এনে সংসদে আইন পাস করে কোটা পদ্ধতিকে সংশোধন করতে হবে৷

ওই ‘ন্যূনতম পর্যায়’ বলতে প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ অনগ্রসর লোকদের জন্য ৫ শতাংশ পর্যন্ত কোটা ‘গ্রহণযোগ্য’ মনে করছে তারা।

আন্দোলনকারীরা গত রবি ও সোমবার বিকালে ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড় অবরোধ করে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করেন। এরপর বুধবার সকাল-সন্ধ্যা সারা দেশে তাদের একই কর্মসূচি চলে। তাতে যানজট এবং পরিবহন না পেয়ে দুর্ভোগে পড়ে মানুষ।

এই আন্দোলনের মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বুধবার কোটা নিয়ে স্থিতাবস্থা জারির আদেশ দেয়।

কিছু পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশনা দিয়ে সর্বোচ্চ আদালত বলেছে, কোটা নিয়ে এখন কোনো কথা বলা যাবে না। হাই কোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে আপিল বিভাগ আবার বিষয়টি শুনবে।