শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ৬ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

পর্যটন

সিলেট যেন পর্যটকদের মিলনমেলা 

 প্রকাশিত: ১১:৪৮, ৫ মে ২০২২

সিলেট যেন পর্যটকদের মিলনমেলা 

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঈদের ছুটিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে সিলেটের ১০টি পর্যটন কেন্দ্র। ঈদের দিন মঙ্গলবার বিকাল থেকে বুধবার ঈদের দ্বিতীয় দিনে সিলেট নগরী ও এর বাহিরে প্রতিটি পর্যটন স্পটে পর্যটকদের ভিড় ছিল লক্ষণীয়।

সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলো ভারতের মেঘালয় পাহাড় ঘেঁষা প্রকৃতির অপরূপ লীলাভূমি প্রকৃতি কন্যা হিসেবে খ্যাত সিলেটের জাফলং, পান্তুমাই’র ঝর্ণা, বিছানাকান্দির স্বচ্ছ-সফেদ পানি আর সোয়াম্প ফরেস্ট খ্যাত রাতারগুল, ভোলাগঞ্জের জিরো লাইনে সাদা পাথরের অপরূপ দৃশ্য এক নজর দেখতে প্রকৃতি প্রেমিদের টানে ছুটে আসা মানুষগুলোর বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাসে প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্রগুলো  পরিণত হয়েছে পর্যটকদের মিলনমেলায়। 

পর্যটন স্পটে পর্যটকদের ভিড় ছিল দেখার মতো। এছাড়াও ওলিকুল শিরোমণি  দরগাহে হযরত শাহজালাল(র.) ও শাহপরান (রঃ)মাজারের পাশাপাশি সিলেট নগরীর বিভিন্ন পার্কগুলোতে দল বেঁধে গাড়ি নিয়ে ছুটে আসছেন সিলেটের স্থানীয় ও জেলার বাহির অর্থাৎ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত পর্যটকরা।

সিলেটের সবকটি হোটেল-মোটেল পর্যটকদের সেবায় ব্যস্ত রয়েছে। করোনা মহামারির কারনে গত দুই বছর সরকারি বিধি-নিষেধের কারনে সারাদেশের মতো সিলেটের পর্যটন স্পটগুলো বন্ধ ছিল,যার ফলে সিলেটসহ দেশের অন্যস্থান থেকে পর্যটন স্পট গুলোতে আসতে পারেননি ভ্রমণ পিপাসুরা। কিন্তু এবার কোনো ধরণের বিধি নিষেধ না থাকায় প্রাণের উচ্ছ্বাসে প্রকৃতির টানে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ঈদের ছুটি কাটাতে সিলেটে ছুটে এসেছে  বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।

ঢাকার জিঞ্জিরা থেকে ঈদের ছুটি কাটাতে ঈদের দিন দিবাগত রাতে সিলেটে এসেছেন ব্যাবসায়ী হাজী মোঃ আজিম, সাথে পরিবারের আরও ১০ জন সদস্য রয়েছেন। তিনি জানান ঈদের ছুটির সুযোগে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সিলেট ঘুরতে এসেছেন,বুধবার সিলেটের সীমান্তবর্তী এলাকা বিছানা কান্দি ঘুরে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য  দেখে তারা সবাই খুবই খুশি, একে একে তিনি সিলেটের বাকি পর্যটন কেন্দ্র গুলোও ঘুরে দেখার ইচ্ছা পোষন করেন। তিনি পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকদের 
যাতায়াতে প্রশাসনের আরও নজরদারী বাড়ানোর প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন।
 
এদিকে, সিলেট জেলায় ইতোমধ্যে মধ্যে ১০টি পর্যটনকেন্দ্র ও জনসমাগমস্থল চিহ্নিত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, এসব কেন্দ্রে ট্যুরিস্ট পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তাবেষ্টনী তৈরি করে কাজ করছে জেলা পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সাদাপোশাকেও গোয়েন্দা পুলিশ নিযুক্ত রয়েছে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ সিলেটের সুপার মো. আলতাফ হোসেন পিপিএম বলেন, ঈদ উপলক্ষে ঈদ পরবর্তী
আরো  ৪ দিন সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রগুলোয় স্থানীয় পর্যটকসহ গড়ে ৮ লাখ পর্যটক উপস্থিত থাকবেন বলে ধারণা করা হয়েছে। এ জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।পর্যটকদের সতর্কতার জন্য পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে নির্দেশনামূলক ফেস্টুন লাগানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া নিরাপত্তার জন্য পর্যটকদের পানিতে নামার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন: