শনিবার ০৮ নভেম্বর ২০২৫, কার্তিক ২৩ ১৪৩২, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

ব্রেকিং

ইউক্রেনে রাশিয়ান সৈন্যের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ তালবাহানা না করে দ্রুত নির্বাচনী শিডিউল ঘোষণা করুন: ফখরুল আমজনতার দলের নিবন্ধন অবশ্যই প্রাপ্য: রিজভী ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১০৩৪ পাখি খাদ্যের ঘোষণা দিয়ে পাকিস্তান থেকে পপি বীজ এনে ধরা মার্জারে যাওয়া ৫ ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন স্থগিত জেমকন গ্রুপের পরিচালক আনিসের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা, ফ্ল্যাট-জমি জব্দ গুমের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড প্রয়োজনে ‘আঙুল বাঁকা করার’ হুমকি জামায়াতের বাংলাদেশে ‘আপাতত’ আসা হচ্ছে না জাকির নায়েকের হাসিনা, জয় ও পুতুলের দুর্নীতির মামলায় ৭৯ সাক্ষীর জবানবন্দি নেয়া শেষ লতিফ সিদ্দিকী ও মঞ্জুরুল আলমের জামিন হাই কোর্টে দুদকের মামলায় সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুরের বিচার শুরু ময়মনসিংহে হত‍্যা মামলায় ৩ জনের ফাঁসি

ফিচার

বাজিতপুর শিকলে বাঁধা ‘সুস্থ’ ছেলে, দেড় মাস পর ‘কঙ্কাল’ পেলেন বাবাা-মা

 আপডেট: ২২:৫৯, ১ জানুয়ারি ২০২২

বাজিতপুর শিকলে বাঁধা ‘সুস্থ’ ছেলে, দেড় মাস পর ‘কঙ্কাল’ পেলেন বাবাা-মা

কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার সরিষাপুর এলাকায় চুরিচামারি করতেন ২৫ বছর বয়সী অভি মিয়া। কোনো একটা অপরাধ ঘটিয়েই ছাড়তেন গ্রাম। কিছুদিন পর ফের হাজির হতেন। তবে হঠাৎ একদিন বাড়িতে হাজির হন রক্তাক্ত শরীরে। এরপর ঘুপচি ঘরে ছেলেকে শিকলে বেঁধে তালা লাগিয়ে রাখেন বাবা। এভাবেই দেড় মাস বন্দি রাখা হয়।
টানা দেড় মাস বেঁধে রাখলেও নিয়মিত খাবার দেননি সৎ মা। খোলেননি দরজাও। দিনের পর দিন খাবার না পেয়ে কঙ্কালসার হয়ে পড়েন অভি। খেতে না দিয়ে শেষমেশ ছেলের ‘কঙ্কালসার’ লাশ পেলেন বাবা-মা।

ঘটনাটি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার সরিষাপুর গ্রামের। শুক্রবার দরজা খুলতেই তার মরদেহ দেখেন স্বজনরা। পরে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। অভি মিয়া একই গ্রামের রেলওয়ে পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত সদস্য মো. অহিদ মিয়া ও সৎ মা নারগীস বেগম দম্পতির ছেলে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, অভিকে বন্দি রাখলেও ঠিকমতো খাবার দেননি বাবা-মা। এভাবে তালাবদ্ধ করে ফেলে রাখলেও ছেলের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেননি তারা। ফলে ক্ষুধা আর চিকিৎসার অভাবে ছেলেটি মারা যান।

পুলিশ জানায়, শনিবার কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হবে। এ খবর পেয়েও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরেজমিন পরিদর্শনে না যাওয়ায় এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে।

বাজিতপুর থানার ওসি মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, অভিকে খাবার খেতে না দিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভি অবহেলা ও তাচ্ছিল্যজনিত মৃত্যুর শিকার হলে এর দায় বর্তাবে পরিবারের ওপর। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

মো. অহিদ মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান অভি। অভির মায়ের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর তিনি লাপাত্তা। নারগীস বেগম মো. অহিদ মিয়ার তৃতীয় স্ত্রী।

এদিকে,অভির বাবা মো. অহিদ মিয়া জানান, অতিষ্ঠ হয়েই তিনি ছেলেকে তালাবদ্ধ করে রেখেছিলেন। ঠিকমতো খাবার না দেওয়ার অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘অভি খেতে পারত না।’ অভির সৎ মা নারগীস বেগমও একই কথা বলেন।