ইউক্রেইনের খারকিভে রুশ হামলায় নিহত ৭
ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর খারকিভে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় সাতজন নিহত ও কমপক্ষে ৭৭ জন আহত হয়েছে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, একটি আবাসিক ভবন ও একটি খেলার মাঠকে লক্ষ্য করে এই ভয়াবহ হামলা চালানো হয়।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, নিহতদের মধ্যে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীও রয়েছে। এর আগে শহরের মেয়র ইহোর তেরেখভ টেলিগ্রামে জানিয়েছিলেন, খেলার মাঠে এক শিশু নিহত হয়েছে।
হামলায় ১২ তলা আবাসিক ভবনে আগুন লেগে যায় বলে জানান মেয়র। এছাড়া ভবনটির বাইরে বেশ কয়েকটি গাড়ি আগুনে পুড়ে যায়।
পরে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ধ্বংসস্তূপ থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হলে হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে সাতজনে দাঁড়ায়।
আহতদের মধ্যে প্রায় ২০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন আঞ্চলিক গভর্নর ওলেহ সিনিহুবভ।
তাৎক্ষণিক ভাবে জরুরি সেবা ও উদ্ধারকারী স্বেচ্ছাসেবকরা এসে ভবনটি থেকে জীবিতদের উদ্ধার করে।
আহত ব্যক্তিদের ঘটনাস্থলেই প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রুশ বাহিনী ইউক্রেইনে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করার পর থেকে বিভিন্ন সময় খারকিভে হামলা চালানো হয়েছে। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে হামলার তীব্রতা কমেছিল। তবে এবারের হামলা সম্ভবত রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনীয় বাহিনী দ্বারা শুরু করা আক্রমণের সঙ্গে সম্পর্কিত।
ইউক্রেইন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার রাশিয়ার বেলগোরোদ অঞ্চল থেকে এই বিমান হামলা চালানো হয়। বিমান থেকে অন্তত পাঁচটি বোমা ছোড়া হয়, যা 'গ্লাইড বোমা' নামে পরিচিত। এটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে ছোড়া শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র।
তবে রাশিয়া সাধারণ জনগণকে লক্ষ্য করে হামলা করার কথা অস্বীকার করেছে।
২০২২ সালে ইউক্রেইনে রাশিয়ার যে আগ্রাসন শুরু হয়, তাতে হাজার হাজার মানুষ নিহত ও আহত হয়েছে।
এদিকে খারকিভ হামলার প্রেক্ষিতে জেলেনস্কি পশ্চিমা মিত্রদের প্রতি রাশিয়ার সামরিক বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালানোর জন্য ইউক্রেইনকে দূরপাল্লার পশ্চিমা অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ফের।
টেলিগ্রামে জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেইন যদি রুশ সামরিক ঘাঁটিতেই রাশিয়ার যুদ্ধবিমান ধ্বংস করে দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করতে পারে, তবে এসব হামলা ঠেকানো যাবে।