ইন্দোনেশিয়ার মাদ্রাসা ভবন ধসের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪

ইন্দোনেশিয়ার একটি স্কুল ভবন ধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪ জনে দাঁড়িয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকা আরও বেশ কয়েকজন হতাহতকে উদ্ধারের জন্য ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার শুরু করেছে।
দেশটির একজন উদ্ধার কমকর্তা একথা জানিয়েছেন।
সোমবার দুপুরের শিক্ষার্থীরা যখন জামাতে জোহরের নামাজ পড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তখন বহুতল মাদ্রাসাটির একটি অংশ হঠাৎ ধসে পড়ে।
জাতীয় দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা (বিএনপিবি)’র প্রধান সুহার্যন্তো সাংবাদিকদের বলেন, উদ্ধারকর্মীরা শুক্রবার ধ্বংস্তুপের ভেতরে নয়টি লাশের সন্ধান পেয়েছে। এর ফলে এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
সুহার্যন্তো শনিবার সম্প্রচারক কমপাস টিভিকে বলেন, ‘আমরা নিখোঁজ ৪৯ জনের সন্ধানে তল্লাশী চালিয়ে যাচ্ছি।’
সুহার্যন্তো বলেন, আরও হতাহতদের খুঁজে পাওয়া যেতে পারে, কারণ, উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপ অপসারণ করার জন্য ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার শুরু করেছে।
তিনি আরো বলেন, ‘গত রাতে একজন মৃত ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়ার পর, আমরা ব্যাপক ধ্বংসস্তুপ অপসারণের ওপর জোর দিচ্ছি। তাই, ধসে পড়া এলাকাগুলোতে ভারী যন্ত্রপাতি প্রবেশ করানো হচ্ছে।’
ভবনটির বাসিন্দাদের মতে, মাদ্রাসা ভবন ধসের ঘটনাটি এতটাই জোরালো ছিল যে, এর ফলে আশপাশের এলাকা জুড়ে কম্পন অনুভূত হয়।
বিশেষজ্ঞরা জানানা, তদন্তকারীরা ধসের কারণ অনুসন্ধান করছেন। প্রাথমিক লক্ষণগুলো নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রীর দিকেই ইঙ্গিত করছে।
ধ্বংসস্তুপের নিচে কারো বেঁচে থাকার ক্ষীণ সম্ভাবনার জন্য ৭২ ঘন্টার ‘সময়টি’ শেষ হওয়ার পর, নিখোঁজদের পরিবারের সদস্যরা বৃহস্পতিবার ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহারের জন্য সম্মত হয়েছেন।
মঙ্গলবার রাতে আঘাত হানা ভূমিকম্পের ফলে উদ্ধার অভিযান জটিল হয়ে পড়ে। যার ফলে অনুসন্ধান কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায়।