মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ১৭ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

বিতর্কিত গুরুদ্বার নিয়ে পাকিস্তান হাইকমিশনকে ভারতের কড়া বার্তা

 প্রকাশিত: ১৩:৪৯, ২৯ জুলাই ২০২০

বিতর্কিত গুরুদ্বার নিয়ে পাকিস্তান হাইকমিশনকে ভারতের কড়া বার্তা

বাবরি মসজিদ-রামজন্মভূমি প্রশ্নে ভারত কখনওই প্রতিবেশী রাষ্ট্রদের নাক গলাতে দেয়নি। সব সময়ই বিষয়টি অভ্যন্তরীণ বলে দাবি করেছে। কিন্তু এবার যেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একটি বিতর্কিত গুরুদ্বারা, যা আগে মসজিদ ছিল, মসজিদ বানানোর উদ্যোগ গ্রহণের কথাবার্তা শোনা যাচ্ছে, ভারত তখন কড়া প্রতিক্রিয়া দেখানো শুরু করেছে।

জানা যায়, লাহোরে অবস্থিত ওই ঐতিহাসিক বিতর্কিত গুরুদ্বারকে প্রশাসন মসজিদে পরিণত করতে চাইছে। তারই বিরোধিতা করে পাকিস্তান হাই কমিশনে কড়া বার্তা দিয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। তাদের বক্তব্য, ওই গুরুদ্বারটি ঐতিহাসিক। সেটিকে যাতে মসজিদে রুপান্তরিত করা না হয়, তার ব্যবস্থা নিক পাক সরকার। একই সঙ্গে পাকিস্তানের মাটিতে সংখ্যালঘুদের অধিকার নিশ্চিত করার কথাও বলা হয়েছে।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, মুঘল সম্রাট শাহজাহানের আমলে ১৬৫৩ লাহোরের কোতোয়াল আবদুল্লাহ খানের হাতে নির্মিত হয় লাহোর শহীদগঞ্জ মসজিদ। ১৭৯৯ পর্যন্ত এটি মসজিদ হিসাবেই বহাল থাকে। যখন রাজা রঞ্জিত সিংয়ের নেতৃত্বে শিখ সেনারা শহীদগঞ্জ দখল করে তখন তারা শহীদগঞ্জ মসজিদটিকে গুরুদুয়ারায় পরিণত করে। এবং মুসলমানদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেয়।

১৮৪৯ বৃটিশরা শিখদের পরাজিত করে লাহোর দখল করে। তখন মুসলমানরা শহীদগঞ্জ মসজিদ আগের অবস্থায় ফেরত দেয়ার আবেদন জানায় বৃটিশ আদালতে। কিন্তু বৃটিশরা মুসলমানদের আবেদন ৫১ বছর দেরি হওয়ার অজুহাতে প্রত্যাখ্যান করে।

১৯৪৭ সনে দেশ ভাগের সময় যখন শিখরা লাহোর ছেড়ে যেতে শুরু করে তখন হাতে গণা  কয়েকজন শিখ শহীদগঞ্জ গুরুদুয়ারায় থেকে যায়। তখন যদি মুসলমানরা চাইতেন মসজিদ ভেঙ্গে নির্মিত গুরুদুয়ারাকে পুনরায় মসজিদ বানাবেন, তাহলে সেটা সহজ হত। কিন্তু তারা সেটা করেন নি।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল

মন্তব্য করুন: