বুধবার ১৫ মে ২০২৪, জ্যৈষ্ঠ ১ ১৪৩১, ০৭ জ্বিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

জয়পুরহাটে চাঞ্চল্যকর আব্দুর রহমান হত্যা মামলায় ১৯ জনের যাবজ্জীবন

 প্রকাশিত: ১৫:২১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

জয়পুরহাটে চাঞ্চল্যকর আব্দুর রহমান হত্যা মামলায় ১৯ জনের যাবজ্জীবন

জমি-জমার বিরোধকে কেন্দ্র করে পূর্ব শক্রতার জের ধরে কৃষক আব্দুর রহমান হত্যা মামলায় ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড এবং অনাদায়ে আরও দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন বিচারক।

আজ সোমবার দুপুরে জয়পুরহাট অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক মোঃ নুরুল ইসলাম আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করেন।

জয়পুরহাট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল জানান, সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা গ্রামের কফিল উদ্দীনের পুত্র মোঃ আলাম ও কালাম, আব্দুস ছাত্তারের পুত্র মোঃ দোলা, ওসমান ও কোরবান, আব্দুল গফুরের পুত্র আজাদুল ও সাইদুল ইসলাম, খলিল আকন্দের পুত্র মোঃ লাবু, বাবু ও আমিনুর রহমান, বিরাজ উদ্দীনের পুত্র ফারাজ মন্ডল, সুন্নত আলীর পুত্র মোঃ শুকটু, নায়েব আলীর পুত্র মোঃ উকিল, ভরসা মন্ডলের পুত্র দুলাল হোসেন ও সানোয়ার, আলতাফ আলীর পুত্র আলীম হোসেন ও নজরুল ইসলাম, আব্দুস ছাত্তার প্রধানের পুত্র সাইফুল ইসলাম, সলেমান আকন্দের পুত্র জহুরুল ইসলাম।

দন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে উকিল মিয়া ও জহুরুল ইসলাম এ মামলায় জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছেন বলে জানায় আদালত।

মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০২ সালের ২২ নভেম্বর রাতে জেলার পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা গ্রামের সামছদ্দীন মুন্সির ছেলে আব্দুর রহমানকে হরেন্দা গ্রামের মাঠ থেকে ধরে নিয়ে আসে সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা। আব্দুর রহমানকে আসামি কালামের বাড়ির একটি কক্ষে আটকে রেখে প্রচন্ড মারপিট করে। রাতে সেখানেই আব্দুর রহমান মারা যান। এ ঘটনায় নিহত আব্দুর রহমানের ভাই আব্দুল বারিক মুন্সি ওরফে ফারুক বাদি হয়ে পাঁচবিবি থানায় হত্যা মামলা করেন।

পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম মামলাটি তদন্ত করে ২০০৪ সালের ২৫ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বিচারে ১৬ জনের সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিচারক আজ সোমবার এ রায় প্রদান করেন। রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এ্যাডঃ নৃপেন্দ্রনাথ সন্ডল পিপি ও এপিপি উদয় সিংহ এবং আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এ্যাডঃ মোস্তাফিজুর রহমান, শাহজালাল সিদ্দিকী তুহিন ও সোহেলী পারভীন সাথী।

মন্তব্য করুন: