বুধবার ০৮ মে ২০২৪, বৈশাখ ২৫ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ইসলাম

যিলহজ্জ্বের প্রথম দশদিন কেন গুরুত্বপূর্ণ?

 প্রকাশিত: ১০:১২, ৬ জুলাই ২০২১

যিলহজ্জ্বের প্রথম দশদিন কেন গুরুত্বপূর্ণ?

যিলহজ্জ্ব মাসের প্রথম দশদিনের বিশেষ গুরুত্ব সম্পর্কে আমরা অধিকাংশই কিছুটা হলেও জানি । এই দশদিন  বিশেষ ইবাদতের মধ্য দিয়ে পালন করার জন্য আলেম-উলামারা সাধারণ মানুষকে বিশেষ উৎসাহ দিয়ে থাকেন। 

কিন্তু কেনই বা এই দশদিন বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ? 

এখানে জিলহজ্জ্ব মাসের বিশেষ গুরুত্বের পাঁচটি কারণ উল্লেখ করা হল। 

 

১. শ্রেষ্ঠতম দিন 

রাসূল (সা.) এর বিভিন্ন হাদীসে এই দিনগুলোকে বছরের শ্রেষ্ঠতম দিন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। 

হযরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন,

 “পৃথিবীর বুকে শ্রেষ্ঠতম দিনগুলো হল এই দশদিন (যিলহজ্জ্বের প্রথম দশদিন)।”

 

২. সৎকাজের জন্য উত্তম সময়

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, 

 “এমন কোন দিন নেই যার সৎকাজগুলো আল্লাহর কাছে এই দশদিনের কাজের চেয়ে অধিক প্রিয়।”

 

রাসূল (সা.) কে প্রশ্ন করা হল,  “হে আল্লাহর রাসূল! এমনকি আল্লাহর পথে জিহাদও নয়?” 

রাসূল (সা.) উত্তর দিলেন,

 “আল্লাহর পথে জিহাদও নয়, যদি না কোন ব্যক্তি নিজে তার সম্পদ সহ জিহাদের জন্য বের হয় এবং শূন্য হাতে ফিরে আসে।” (বুখারী, তিরমিযি)   

 

৩. কুরআনে আল্লাহর শপথ গ্রহণ 

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) ও হযরত আবদুল্লাহ ইবনে যুবায়ের (রা.) সহ অনেক আলেমই মনে করেন, কুরআনের সূরা আল ফজরের দুই নং আয়াতে “শপথ দশ রাতের” বলতে যিলহজ্জ্বের প্রথম দশ দিনকে বোঝানো হয়েছে। 

 

৪. কুরবানী

এই দশদিনের মধ্যে অর্ন্তভুক্ত দশ তারিখ কুরবানীর দিন। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এদিন সামর্থ্যবান মুসলমানরা কুরবানী দিয়ে থাকে। আল্লাহর দৃষ্টিতে কুরবানীর এই দিনটি শ্রেষ্ঠতম এক দিন।   

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে কুরাত (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) যিলহজ্জ্বের দশ তারিখকে আল্লাহর দৃষ্টিতে শ্রেষ্ঠতম দিন হিসেবে বর্ণনা করেছেন।  

 

৫. আরাফাতের দিন

জিলহজ্জ্বের এই দশদিনের মধ্যে বিশেষ একটি দিন হল ৯ই জিলহজ্জ্ব, আরাফাতের দিন। হজ্জ্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ এই দিন, যেদিন হাজীরা সারাদিন মক্কা থেকে খানিক দূরে আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করেন। এই দিন আল্লাহ তার বান্দাদের অপরিমেয় ক্ষমা ও রহমত দান করেন।  

হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন,

 “আরাফাতের দিনের মত আর কোনদিন আল্লাহ তার এত অধিক বান্দাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন না।” (মুসলিম)

এমনকি যারা হজ্জ্বের যাত্রা থেকে বঞ্চিত, তারাও এইদিনের রহমত থেকে বঞ্চিত হয়না। আরাফাতের দিনের রোজা বান্দার পূর্বের এক বছরের সমস্ত গুনাহকে মাফ করে দেয়। 

সুতরাং, আল্লাহর নিকটবর্তী হওয়ার এই সুযোগকে আমাদের উচিত বেশি বেশি ইবাদতের মাধ্যমে কাজে লাগানোর জন্য চেষ্টা করা। 

 

অনলাইন নিউজ পোর্টাল

মন্তব্য করুন: