শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ১৩ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি

পোশাক খাতে স্থগিত রপ্তানি আদেশ স্বাভাবিকের পথে

 প্রকাশিত: ১০:২১, ১৮ জুলাই ২০২০

পোশাক খাতে স্থগিত রপ্তানি আদেশ স্বাভাবিকের পথে

বাংলাদেশের গার্মেন্টস পণ্যের স্থগিত ও বাতিল হওয়া ক্রয়াদেশের আবার ফিরে আসছে। ইউরোপ ও আমেরিকার বাজার চালু হওয়ার পর ধীরে ধীরে রপ্তানি আদেশ আবার বাড়তে শুরু করেছে।

তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এরই মধ্যে বাতিল হওয়া রপ্তানি আদেশের ৮০ শতাংশই ফিরেছে। এক্ষেত্রে বিজিএমইএর পক্ষ থেকেও ক্রেতাদের সঙ্গে আলোচনা কিংবা মধ্যস্থতা করা হচ্ছে। অবশ্য ক্রয়াদেশ ফিরলেও অর্থ পরিশোধের ক্ষেত্রে শর্ত জুড়ে দিচ্ছেন বায়াররা। অনেক ক্ষেত্রেই ছয় মাস কিংবা এক বছরের মতো লম্বা সময় নিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ ডিসকাউন্ট দিতে বাধ্য করছেন।

বিজিএমইএর সভাপতি এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এরই মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি ফেরত এসেছে। তবে অর্থ পরিশোধ বিলম্বিত করে দিচ্ছে। এক্ষেত্রে ১৫০ থেকে ১৮০ দিন কিংবা এক বছরও সময় নিচ্ছে। আবার কেউ কেউ স্থগিত হওয়া রপ্তানি আদেশ নতুন করে দিলেও পণ্য নিবে আগামী বছর। 

ইউরোপ ও আমেরিকায় করোনার বিস্তার বাড়তে থাকায় গত ফেব্রুয়ারির শেষ থেকে একের পর এক স্থগিত ও বাতিল হতে থাকে রপ্তানি আদেশ। বিজিএমইএর হিসাবে, প্রায় তিন শতাধিক ক্রেতা প্রতিষ্ঠান প্রায় ৩১৫ কোটি ডলারের রপ্তানি আদেশ স্থগিত করে। বৈশ্বিক মহামারি পরিস্থিতিতে এ সংক্রান্ত চুক্তির শর্ত দেখিয়ে একের পর এক স্থগিত করে রপ্তানি আদেশ। একই সুযোগে আবার কেউ কেউ পণ্যমূল্যের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট দাবি করে। সবমিলিয়ে বিপাকে পড়েন রপ্তানিকারকরা। এ অবস্থায় অনেক উদ্যোক্তার পক্ষে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ কঠিন হয়ে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামমাত্র সুদে সরকার রপ্তানিকারকদের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা সুবিধা দেয়।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল

মন্তব্য করুন: