শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ১৩ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিচার

স্কুলের টয়লেটে ১১ ঘণ্টা আটকা ছিল বাকপ্রতিবন্ধী এক ছাত্রী !

 প্রকাশিত: ১৭:০৪, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

স্কুলের টয়লেটে ১১ ঘণ্টা আটকা ছিল বাকপ্রতিবন্ধী এক ছাত্রী !

চাঁদপুরের শাহরাস্তির হোসেনপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ছুটির পর টয়লেটে আটকা পড়ে বাকপ্রতিবন্ধী এসএসসির এক পরীক্ষার্থী।  আটকা পড়ার পর কেটে যায় দীর্ঘ ১১ ঘণ্টা। একপর্যায়ে ওই বিদ্যালয়ের পাশের সড়কের এক পথচারীর কাছে ধরা পড়ে এমন অমানবিক দৃশ্য। শেষপর্যন্ত অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার হয় শারমিন আক্তার নামে এই শিক্ষার্থী।

 গত বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শ্রেণির কার্যক্রম শেষে বিদ্যালয় ত্যাগ করে শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকরা। কিন্তু সবার অলক্ষ্যে বিদ্যালয়ের টয়লেটে আটকা পড়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী বাকপ্রতিবন্ধী শারমিন আক্তার। এ সময় তাকে ভিতরে রেখে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী শাহান আরা টয়লেটের দরজায় তালা মেরে চলে যান। এরপর দুপুর থেকে রাত প্রায় ১০টা। ওই সময় এক পথচারী বিদ্যালয়ের সড়ক দিয়ে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ তার মুঠোফোনে কল আসে এবং সঙ্গে ফ্লাশলাইট জ্বলে উঠে। আর তখনই টয়লেটের ভেন্টিলেটর দিয়ে কারো হাতের ইশারা তার নজরে পড়ে। মুহূর্তে ছুটে যান সেখানে। তারপর আরো লোকজন ডেকে এনে তালা ভেঙে উদ্ধার করা হয় আটকে পড়া বাকপ্রতিবন্ধী শারমিন আক্তারকে। টয়লেটে আটকে পড়া শিক্ষার্থীকে উদ্ধারের ঘটনা এভাবেই তুলে ধরেন আল আমিন নামে ওই যুবক।

তবে চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী শাহান আরা, সেখানে তালা মারার ঘটনা অস্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন, সবকিছু দেখে শুনে টয়লেটের তালা মেরেছি।

আটকে পড়া শিক্ষার্থীর বাবা আনোয়ার হোসেন বলেন, তার মেয়ের মতো অন্য কারো সন্তান যেনো এমন ঘটনার শিকার না হয়। বাকপ্রতিবন্ধী শারমিন আক্তারের সহপাঠী এবং এলাকাবাসীও ঘটনার কারণ খুঁজে বের করার দাবি জানিয়ে দায়ীদের শাস্তি চেয়েছেন।

তবে এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আমির হোসেন কথা বলতে অস্বীকার করলেও বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সীমা চক্রবর্তী বলেন, ভুল করে এমন ঘটনা ঘটায় আমরাও অনুতপ্ত। তবে কেনো এমন ঘটনা ঘটলো, তাও একটু ভেবে দেখা দরকার।

এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার বলেন, জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের নির্দেশে সরেজমিন ঘুরে প্রকৃত ঘটনা জানার চেষ্টা করছি। তদন্ত চলছে কে দায়ী, তা চিহ্নিত করে আগামী দুই একদিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবো।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গিয়াসউদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, কার ভুলের কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে তা জানিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন প্রেরণ করবো।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল

মন্তব্য করুন: