শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ১৩ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

ইসলাম

মুহাম্মদ সাঃ এর চিরায়ত মৃদু হাসিমাখা মুখ

 প্রকাশিত: ০৮:৫৯, ১৬ অক্টোবর ২০২১

মুহাম্মদ সাঃ এর চিরায়ত মৃদু হাসিমাখা মুখ

সহীহুল বুখারীতে উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি নবী কারীম (সা.)-কে কখনো জোরে অট্টহাসি দিতে দেখেননি যাতে মুখের কণ্ঠতালু দৃষ্টিগোচর হয়।
হুযুর আকরাম (সা.)-এর ওষ্ঠাধরে সর্বদাই মৃদু হাসি লেগে থাকত। কোনো কোনো হাদীসে এরূপ বর্ণনা পাওয়া যায়, তিনি এত বেশি হাসতেন না, যাতে নাওয়াজেয দাঁত দৃষ্টিগোচর হয়। চোয়ালের শেষ প্রান্তের দাঁতকে ‘নাওয়াজেয’ বলা হয়।
ওপরের বর্ণনা কোনো ব্যক্তির অত্যধিক হাসাহাসি করার একটা উদাহরণমাত্র। এখানে নাওয়াজেয বলতে আক্কেল দাঁত বোঝানো হয়নি, বরং সাধারণ দন্তপাটিকেই বোঝানো হয়েছে।


রাসূলে কারীম (সা.) এর হাসি ‘মৃদু হাসি’ই ছিল। আওয়াজবিহীন বড় হাসিকে জিহক বলা হয়। আর জিহকের প্রাথমিক অবস্থা মুচকি হাসি; এতে খুশির প্রাবল্য যদি বেশি থাকে, তবে কখনো কখনো দু’-একটি দাঁত প্রকাশিত হওয়া স্বাভাবিক; এরূপ অবস্থায় যদি আওয়াজ বিদ্যমান থাকে, তবে তাকে বলা হয় কাহ্কাহা বা অট্টহাসি; নিঃশব্দে হাসলে এবং এতে দাঁত প্রকাশ পেলে তাকে বলে জিহক; আর যদি একেবারে শব্দ না থাকে এবং দাঁতও বের না হয়, তবে সে হাসিকে ‘তাবাস্সুম’ বা মৃদু হাসি বলে। সাররাহ নামক কিতাবে আছে, ওষ্ঠদ্বয় মিলিত থাকা অবস্থায় যে হাসি হয়, তাকে তাবাস্সুম বলে। তবে তাবাস্সুম বা মুচকি হাসির এ সংজ্ঞাই সমধিক প্রসিদ্ধ যে, নিঃশব্দ হাসিতে দাঁতের শুভ্রতা ঈষৎ দৃষ্টিগোচর হয়।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল

মন্তব্য করুন: