শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ১৩ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

বাইডেনের শপথের আগেই কাতার অবরোধ প্রত্যাহার সৌদির

 প্রকাশিত: ০৯:৫৫, ১১ জানুয়ারি ২০২১

বাইডেনের শপথের আগেই কাতার অবরোধ প্রত্যাহার সৌদির

২০১৭ সালের জুনে একেবারে বিনামেঘে বজ্রপাতের মতো অবরোধের সংবাদ কাতারের নাগরিকদেরকে বিমূঢ় করে দেয়। মাত্র কয়েক দিন আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রিয়াদ সফর করেছেন। সেখানে মধ্যপ্রাচ্যের মার্কিন মিত্রদের মাঝে কাতারের আমিরও উপস্থিত ছিলেন। 

তিনি হয়ত ঘূণাক্ষরেও ধারণা করতে পারেননি এতো তাড়াতাড়ি এমন হতবুদ্ধিকর আঘাত তার ওপর নেমে আসবে: সৌদি আরব, আরব আমিরাত ও মিসর কাতারের বিরুদ্ধে জল-স্থল-আকাশ পথে অবরোধ আরোপ করেছে। এতে উপদ্বীপ কাতার আক্ষরিক অর্থে দ্বীপে পরিণত হয়।

সাথে সাথে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের টুইট ভেসে আসে: দেখো আমার হেডাম। 

কিছুটা হতচকিয়ে গেলাম; মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার সবচেয়ে বড় বিঘানঘাঁটি কাতারে, সেই আমেরিকার উসকানিতে কিনা কাতার অবরুদ্ধ হল!
অচিরেই গলার ফাঁস আলগা করতে সক্ষম হল কাতার। 

কাতারের ভাগ্যই বলতে হবে, ইরান ও তুরস্কের মত দুটি শক্তিশালী রাষ্ট্র তার সাহায্যে এগিয়ে এল পণ্য ও সৈন্য নিয়ে। তুরস্কের পার্লামেন্টে এতো দ্রুত কাতারে সৈন্য মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে, সৌদির যদি আক্রমণের ইচ্ছাও থাকত তবুও তারা সে সময় পেত না।

এটা নিশ্চিতভাবে বলা যায়, কাতারের সক্ষমতা মূল্যায়নে আমিরাত ও সৌদি আরব দু-দেশই চরম ভুল করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে কাতারের প্রধান তদবিকারী হল পেন্টাগন (রূপকার্থে)। 

মধ্যপ্রাচ্যের যে দেশে পেন্টাগনের সবচেয়ে বড় ঘাঁটি আছে; সে দেশের নিরাপত্তার কথা তারা চিন্তা না করে পারে না। তাছাড়া সৌদির মত সফট পাওয়ারেরও কোন ঘাটতি ছিল না কাতারের।

কাতার এতটা স্মার্টলি অবরোধ ঠেকাতে পেরেছে যে, প্রথমদিকে অবরোধ তুলে নিতে কিছু অনুরোধমূলক বক্তব্য রাখলেও শেষের দিকে কাতার নির্বিকার হয়ে যায়। 

কুয়েতের লোকান্তরিত আমীরের ওপর আল্লাহর রহমত নাযিল হোক। ইরাকের দখল হতে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে তিনি নিরপেক্ষতার সোজা দণ্ডের ওপর দিয়ে চলাচল করেন। একেবারে প্রথম দিন থেকে তিনি দূতিয়ালির চেষ্টা করেছেন।

কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট না হলে এত তাড়াতাড়ি নিষ্ফল অবরোধের সমাপ্তি ঘটত না। বাইডেন সৌদি যুবরাজের ব্যাপারে কড়া মনোভাব প্রকাশ করেছিলেন। 

অনলাইন নিউজ পোর্টাল

মন্তব্য করুন: