শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ১৩ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ইসলাম

জুমার নামাজ না পড়া মুসলমানদের জন্য যে ভয়াবহ শাস্তি

 প্রকাশিত: ১২:৩৭, ১ অক্টোবর ২০২১

জুমার নামাজ না পড়া মুসলমানদের জন্য যে ভয়াবহ শাস্তি

নামাজ হল ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের মধ্যে দ্বিতীয় এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ এক ইবাদত।আর একজন মুসলমান ও কাফেরের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করে নামাজ।মুসলমানদের কাছে সপ্তাহে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ দিন হল জুমার দিন।

সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন হলো শুক্রবার। এইদিনের শ্রেষ্ঠ নামাজ হলো জুমা। জুমার নামাজের বিভিন্ন ফজিলত বর্ণিত হয়েছে হাদিসে। হজরত মুহাম্মদ (সা.) ইরশাদ করেছেন, জুমা হচ্ছে শ্রেষ্ঠ দিবস। শুক্রবার জোহরের ওয়াক্তে পড়তে হয় এই নামাজ।

আল্লাহ তাআলা ঈমানদার বান্দাকে লক্ষ্য করে বলেন- হে ঈমানদারগণ! জুমার দিন যখন নামাজের জন্য (আজানের মাধ্যমে) আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা দ্রুত আল্লাহর স্মরণে ছুটে চল এবং বেচা-কেনা বন্ধ করে দাও। এটি তোমাদের জন্য উত্তম যদি তোমরা উপলব্দি করতে পার।’ (সুরা জুমা: আয়াত ৯)

যারা জুমার নামাজ থেকে বিমুখ থেকে অন্য কাজকর্মে নিজেকে ব্যস্ত রাখেন, আল্লাহতায়ালাও তার দিক থেকেও বিমুখ থাকেন। জুমার দিনের ফজিলত অনেক বেশি। আল্লাহতায়ালা জগৎ সৃষ্টির পূর্ণতা দান করেছিলেন এই দিনে। এই দিনেই হজরত আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.)-কে জান্নাতে একত্র করেছিলেন।

রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি পরপর তিনটি জুমা বিনা ওজরে ও ইচ্ছা করে ছেড়ে দেবে, আল্লাহতায়ালা ওই ব্যক্তির অন্তরে মোহর মেরে দেবেন। (তিরমিজি, আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ)।

আর এরপর তারা আত্মভোলা হয়ে যাবে। অতঃপর সংশোধন লাভের সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হয়ে যাবে। (মুসলিম)

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি পর পর তিনটি জুমা পরিত্যাগ করবে, সে ইসলামকে পেছনের দিকে নিক্ষেপ করল। (মুসলিম)

তবে অপর এক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, চার শ্রেণির লোক ব্যতীত জুমার নামাজ ত্যাগ করা কবিরা গোনাহ। চার শ্রেণির লোক হলো- ক্রীতদাস, স্ত্রীলোক, অপ্রাপ্তবয়স্ক বালক, মুসাফির ও রোগাক্রান্ত ব্যক্তি।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল

মন্তব্য করুন: