শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ১৪ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

এডিটর`স চয়েস

জীবনে সুখী হওয়ার ১০টি উপায়

 প্রকাশিত: ১১:১১, ৬ নভেম্বর ২০২০

জীবনে সুখী হওয়ার ১০টি উপায়

জীবনে মানুষ সুখী হতে চায়। সবাই সুখী হতে চায়। কিন্তু অসুখী মানুষের সংখ্যাই পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশী। আসুন আমরা সুখী হওয়ার ইসলামী কিছু নিয়ম-কানুনের পাশাপাশি বাহ্যিক কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলার চেষ্টা করি।

অন্যের কাজে নাক গলাবেন না

 

আমরা জীবনের বেশিরভাগ সমস্যাই সৃষ্টি করি অন্যের কাজে অহেতুক হস্তক্ষেপ করে। অন্যের চলার পথকে আপনি নিয়ন্তণ করার চেষ্টা করবেন না। কেননা, আল্লাহ প্রত্যেকটি মানুষকে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে, ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন।

ক্ষমা করে মনে রাখবেন না

 

ক্ষমা মহৎ লক্ষণ কিন্ত সেটা মহৎ থাকে না যদি আপনি সেটা সবার মাঝে বলে বেড়ান ।এমন কাজে নষ্ট করার মতো যথেষ্ট জীবনে নেই। ক্ষমা করে, ভুলে গিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে জান। মনে রাখবেন যে , ভালোবাসাটা দেওয়ার পর ভুলে যেতে পারলেন কিনা তার মধ্যেই প্রস্ফপটিত হয়।

স্বীকৃতি পাওয়ার কামনা করবেন না

এই পৃথিবী স্বার্থ্পর মানুষের পরিপূর্ণ। আজ আপনার প্রশংসা করে আপনার ক্ষমতা আছে বলে , কাল যখন ক্ষমতা থাকবে না তখন ছুড়ে ফেলতে ও ব্দিধা করবে না। আপনার সকল অর্জন-ত্যাগ ভুলে যাবে। কিন্তস শ্তধু স্বীকৃতির জন্য আপনার ভেতরের মানুষটাকে ধ্বংস করবেন কেন ? আপনার কাজ আপনি যথাযত ভাবেই করে যান।

হিংসাকে মাটি চাপা দিন

কারও অর্জনে কখনও হিংসা করবেন না। হিংসা মানুষের অর্জ্নগ্ও্ল মাটি চাপা দিয়ে দেয়। এটা আমাদের মানসিক প্রশান্তির নষ্টেরও বড় ধরনের একটা কারন।

নিজেকে বদলান

আপনি যদি আপনার চারপাশ পরিবর্ত্ন করে দিতে চান , তাহলে সেটা বেশ কষ্ট সাধ্য ও সময়সাপেক্ষ ব্যাপার হয়ে দা্ঁড়াতে পারে এবং বেশিভাগ সময় আপনি এতে বিফল হবেন। তাই চারপাশের পরিবেশের সাখে নিজেকে মানিয়ে নিন। তারপর সবাইকে নিয়েই পরিবর্তনের দিকে এগিয়ে যান।

যা থেকে পরিত্র্রাণ পাবেন না, তা সহ্য করে নিন

প্রতিদিন আমরা এমন সব সমস্যার সম্মুখীন হই যা আ্মাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এ সম্স্যাগুলো নিইয়ে অহেতুক ভেবে আমরা কোনো সমাধানে পৌছতে পারি না, কিন্ত মাঝে দিয়ে অনেকগুলো সময় নষ্ট হয়। আমাদের এ ছোট ছোট সমস্যাগুলোকে নিজেদের মানসিক প্রশান্তির জন্যই সহ্য করে নিতে হবে।

সাধ্যাতীত কাজ এড়িয়ে চলুন

আমরা অনেকই আমাদের সাধ্যের বাইরেও কাজের দায়িত্ব নিয়ে থাকি। অনেক সময় আত্ম মর্যাদা থেকে অহেতুক কাজের ভার বাড়িয়ে নেই। মহান

আল্লাহকে স্মরণ করুন

সব সময় আল্লাহকে স্মরন রাখুন। তার অনুগ্রহ চান। এটা আপনার কাজের গতি বাড়িয়ে দিবে এবং কম সময়ে কাজ করতে সহায়তা করবে। মহান আল্লাহর সহায়তা পাছেন – এমন ভেবে কাজ করলে মনের সতেজতা অনেক গু্ন বৃ্দী পায়।

মনকে শূন্য রাখবেন না

কথায় আছে – অলস মস্তিক শয়তানের কারখানা । তাই মন কে কখনও ফাঁকা রাখবেন না ।যখন নি আপনি সুযোগ পাবেন নিজেকে কোনো না কোনো কাজে ব্যস্ত রাখবেন।

অতীত নিয়ে ভাববেন না

অতীত ভুলে সামনে আগান। পেছনে জয়-পরাজয় যাই থাকুন না কেন, তা থেকে হয়ত শিক্ষা নিযে নয়ত অনূপ্রেরনা ননিযে সামনে আগাতে পারেন। কিন্ত অতীত আঁকড়ে ধরে তাকলে কখনোই সামনে এগোবার পথটুকুও খুঁজে পাবেন না।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল

মন্তব্য করুন: