শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ১৩ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ইসলাম

চামলিজা মসজিদ: একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারেন ৬৩ হাজার মুসল্লি

 প্রকাশিত: ১৫:৩১, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

চামলিজা মসজিদ: একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারেন ৬৩ হাজার মুসল্লি

মসজিদ: যেন প্রশান্তির ওপর নাম, কর্মজীবনের হাজারো ক্লান্তি-শ্রান্তিকে পরাস্থ করে একজন মুমিন যখন মসজিদে তার মহা পবিত্র পালনকর্তা, প্রজ্ঞাময় প্রতিপালকের ডাকে সাড়া দেয়, নিজ জীবনে পাওয়া নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা প্রকাশে, পরকালে উত্তম প্রতিদান চিরস্থায়ী আবাস জান্নাতের আশায় সেজদায় মাথা নত করে তখন এক স্বর্গীয় সুখ অনুভূত হয়। মসজিদের সাথে মুসলমানের আবেগ জড়িত। ঈমানী দুর্বলতায়, দুনিয়াবী সীমাবদ্ধতায় তাঁরা ঠিকমতো নামাজ আদায় না করতে পারলেও মসজিদের অবমাননা সহ্য করতে পারেনা। 

রাজকীয় মসজিদের সংখ্যায় তুরস্কের ইস্তাম্বুলকে ছাড়িয়ে যাবে এমন সাধ্য নেই বিশ্বের আর কোনো শহরের। সেখানে কমপক্ষে সাতটি রাজকীয় মসজিদ আছে, যেগুলোর প্রত্যেকটির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে কোনো না কোনো অটোমান সুলতানের নাম। মূলত নিজের নাম শত শত বছর ধরে স্মরণীয় করে রাখার জন্য জমকাল মসজিদ নির্মাণের প্রচলন ছিল তাদের মধ্যে।
সুলতানদের নির্মিত সেইসব মসজিদ আজও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে তুরস্কের নানা প্রান্তে। তবে অটোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর শাসকের অর্থায়নে মসজিদ নির্মাণ প্রায় বন্ধ হয়ে আসে। ১৯২৩ সালে কামাল আতাতুর্ক যখন ধর্ম-নিরপেক্ষতার উপর ভিত্তি করে আধুনিক তুরস্ক প্রতিষ্ঠা করেন, তারপর থেকে এরদোয়ানের আগ পর্যন্ত কোনো শাসকের তত্ত্বাবধানে মসজিদ তৈরি হয়নি।

তুরস্কের সর্ববৃহৎ এই মসজিদে একসঙ্গে ৬৩ হাজার মানুষ নামাজ পড়তে পারেন। মসজিদ কমপ্লেক্সের মধ্যে রয়েছে ৩৫ বর্গ মিটারের আর্ট গ্যালারি, তিন হাজার বর্গ মিটারের কনফারেন্স হল। এছাড়াও মসজিদের ভেতরে তিন হাজার ৫০০ গাড়ি পার্কিং করার ব্যবস্থা রয়েছে।

চামলিজা মসজিদের বিশেষত হচ্ছে এর স্ট্রাকচার থেকে শুরু করে দরজা জানালার কাঁচ ও রং পর্যন্ত অটোমান নকশায় তৈরি করা হয়েছে। এরদোয়ানে চামলিজা মসজিদ অনেক রাজনৈতিক বার্তা বহন করে। অটোমান সুলতানরা ইস্তাম্বুলের সাত পাহাড়ের চূড়ায় মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। এতে করে মসজিদ পুরো ইস্তাম্বুল শহর থেকে দেখা যেত। 

অনলাইন নিউজ পোর্টাল

মন্তব্য করুন: