শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ১৩ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

কিডনিতে পাথর হওয়ার পাঁচ লক্ষণ ও প্রতিকার

 প্রকাশিত: ১২:১৩, ১৮ নভেম্বর ২০২০

কিডনিতে পাথর হওয়ার পাঁচ লক্ষণ ও প্রতিকার

কিডনির পাথরের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। প্রস্রাবে বিভিন্ন মাত্রায় লবণের আধিক্য, গরম আবহাওয়া, মূত্রথলিতে দীর্ঘসময় প্রস্রাব জমে থাকা, প্রস্রাবের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা, কিডনিতে প্রদাহ  ইত্যাদি কিডনিতে পাথর হওয়ার কিছু কারণ। পিঠে ব্যথা, জ্বর, বমি বা বমি বমি ভাব কিডনিতে পাথর হওয়ার লক্ষণ। এ ছাড়া কিডনির পাথরের আরো কিছু লক্ষণ রয়েছে।

কিডনিতে পাথর হওয়ার কিছু লক্ষণের বিষয়ে জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথ লাইন।

১. পিঠে, পেটে অথবা পাশে ব্যথা হওয়া

কিডনির পাথরের ব্যথাকে রেনাল কলিকও বলা হয়। এই ব্যথা সাধারণত হঠাৎ করে শুরু হয়। পাথর যখন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নড়াচড়া করে, তখন ব্যথার জায়গাও পাল্টে যায়। এই ব্যথাকে অনেকে প্রসবের ব্যথার সঙ্গে তুলনা করেন। সাধারণত পিঠে, পেটে অথবা পাশে এই ব্যথা হয়।

২. প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া বা ব্যথা হয়

কিডনিতে পাথর হলে প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া বা ব্যথা অনুভূত হয়। তবে মূত্রতন্ত্রের সংক্রমণের বেলায়ও এ ধরনের লক্ষণ প্রকাশ পায়। তাই এ ধরনের লক্ষণ দেখা গেলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রোগ নির্ণয় করুন।

৩. প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যাওয়া

মূত্রতন্ত্রে পাথর হওয়ার একটি অন্যতম লক্ষণ হলো প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যাওয়া। এই  লক্ষণকে হেমাচুরিয়াও বলা হয়। এই রক্তের রং লাল, গোলাপি বা বাদামি ধরনের হতে পারে। এই ধরনের লক্ষণ দেখা গেলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

৪. প্রস্রাবে দুর্গন্ধ

প্রস্রাবে দুর্গন্ধ হওয়া কিডনির পাথর বা  মূত্রতন্ত্রের সংক্রমণের লক্ষণ।  এমন হলে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিন।

৫. জ্বর, বমি ও বমি ভাব

কিডনিতে পাথর হলে বা কিডনির কোনো সংক্রমণ হলে জ্বর আসতে পারে। তবে কিডনির পাথর ছাড়াও শরীরের অন্যান্য সংক্রমণে জ্বর আসতে পারে। তাই জ্বর, পাশাপাশি পিঠে বা পাশে ব্যথা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সতর্কতা:

১। কিডনি পাথরের ঝুঁকি এড়াতে চাইলে অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে পানি খাবেন।

২। কখনও প্রসাব আটকে বা চেপে রাখবেন না

৩। দুধ, পনির বা দুগ্ধজাত খাবার অতিরিক্ত মাত্রায় না খাওয়াই ভাল।

৪। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি যুক্ত খাবার খাবেন।

৫। বারবার ইউরিন ইনফেকশন দেখা দিলে দ্রুত চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।

চিকিৎসা:

কিডনির অবস্থানে ব্যথা এবং রক্তবর্ণের প্রসাব হলে চিকিত্সকরা সাধারণত দুটো সম্ভাবনার কথা চিন্তা করেন। একটি হল কিডনির ইনফেকশন, অন্যটি কিডনিতে পাথর। তাই কিডনির এক্সরে, আলট্রা সনোগ্রাম এবং প্রসাবের নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কখনও পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি আর যথাযথ ওষুধ খেলেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে অস্ত্রপচারই একমাত্র উপায়।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল

মন্তব্য করুন: