শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ১৪ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

এডিটর`স চয়েস

কলিজার একশোটি টুকরো, প্রতিটি টুকরোয় তোমারই নাম...

 প্রকাশিত: ১৮:৪৫, ২৫ অক্টোবর ২০২০

কলিজার একশোটি টুকরো, প্রতিটি টুকরোয় তোমারই নাম...

উম্মতের ওপর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ হক হচ্ছে নবীজির প্রতি ভালোবাসা। এমন ভালোবাসা যা সকল ভালোবাসার চেয়ে শ্রেষ্ঠ হবে। যা মুমিনের শিরা-উপশিরায়, অস্থি-মজ্জায় মিশে যাবে। আল্লাহর পরে এ স্তরের ভালোবাসায় আর কেউ শরীক থাকবে না। এমন ভালোবাসা যা নিজের অস্তিত্ব, নিজের সন্তান-সন্ততি এবং নিজের মা-বাবার চাইতেও অধিক হবে। যার মধ্যে থাকবে ব্যাকুলতা, প্রাণোৎসর্গ, আত্মবিসর্জন এবং আত্মসমর্পনের সাচ্চা অনুভূতি। যে ভালোবাসার পরিধি প্রিয়তমের সংশ্লিষ্ট সবকিছু পর্যন্ত বিস্তৃত থাকবে।

আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, কোনো ব্যক্তি ততক্ষণ পর্যন্ত মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না তার অন্তরে আমার ভালোবাসা তার নিজ সত্ত্বা থেকে, নিজের মা-বাবা ও সন্তান-সন্ততি থেকে এবং সকল মানুষ অপেক্ষা বেশি না হবে। -সহীহ বুখারী, হাদীস ১৫

সাহাবায়ে কেরাম রা. প্রকৃতই হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এভাবেই ভালোবেসে দেখিয়েছেন। যারা শুধুই মুখ মুখে হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য নিজের জীবন ও সন্তান উৎসর্গ করার দাবি করতেন না। বরং বাস্তব কর্মেও তার সাক্ষর রাখতেন। তারা তো নিজেদের জীবন ও সন্তানকে হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য এই আনন্দে বিলিয়ে দিতেন, যেন তাদের জীবনের মূল্য পরিশোধ হয়ে গেছে।

* হযরত খোবায়েব রা. মক্কাবাসী কাফেরদের হাতে বন্দি হলেন। কিছু লোক যাদের আত্মীয়-স্বজন বদর যুদ্ধে মুসলমানদের হাতে মারা গিয়েছিল, তারা প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তাকে কিনে নিল। এরপর মক্কার বাইরে মানুষের ভীড়ের মধ্যে তাকে নিয়ে যাওয়া হলো এবং নির্যাতন করতে করতে শূলিতে চড়ানো হলো। ঠিক ওই সময় যখন পরীক্ষার কঠিন পর্বত ওই মর্দে মুমিনের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছিল, তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘তুমি কি এটা চাও না যে, আজ তোমার পরিবর্তে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থাকুক, তার বিনিময়ে তুমি এই বিপদ থেকে মুক্তিলাভ কর?’ অথচ এধরনের কঠিন মসিবতের সময় অন্তরে ঈমান ঠিক রেখে মুখে কুফরি কথা উচ্চারণ করারও অনুমতি দেওয়া আছে। (আলমওসুআতুল ফিকহিয়্যা ৬/১০৭) কিন্তু হযরত খোবায়েব রা.-এর ভালোবাসার আবেগের জন্য কোরবান হোন, ওই মুহূর্তেও তিনি বলছেন, ‘মহিয়ান রবের কসম! আমি তো এটাও সহ্য করব না যে, এ কষ্ট থেকে মুক্তির বিনিময়ে আমার মনিবের কদম মুবারকে একটি কাঁটাও বিদ্ধ হোক।’ (আলবিদায়া ওয়াননিহায়া ৪/৬৬)

* হযরত যায়েদ বিন দাসিনা রা. আবু সুফিয়ানের হাতে বন্দি। (যিনি তখনো ইসলামগ্রহণ করেননি।) যায়েদের হত্যার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল, শুধু মাথা দ্বিখণ্ডিত করার কয়েক মুহূর্ত বাকি। এমন সময় আবু সুফিয়ান প্রশ্ন করল, হে যায়দ! আমি তোমাকে খোদার কসম দিয়ে জিজ্ঞেস করছি, তুমি কি এটা পছন্দ করো না যে, এই মুহূর্তে তোমার জায়গায় মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম) থাকুক। আমরা তার মাথা কেটে ফেলি আর তুমি নিজের ঘরে গিয়ে শান্তিতে থাকো?’ হযরত যায়েদ রা. সেই তরবারির নিচে থেকেই উত্তর দিলেন, ‘আমার তো এটাও পছন্দ নয় যে, এখন এই কষ্ট থেকে মুক্তি পেয়ে আমি আমার ঘরে থাকি আর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ঘরে থাকা অবস্থায় একটি কাঁটাও গায়ে লাগুক।’ (আলবিদায়া ওয়াননিহায়া ৪/৬৫)

* বদর যুদ্ধের সময় হযরত আবু বকর সিদ্দীক রা.-এর মোকাবেলায় স্বয়ং তার ছেলে চলে আসল। যিনি তখনো কাফের অবস্থায় ছিলেন। সময়ের সাথে সাথে এক পর্যায়ে আল্লাহ তাআলা তাকে ঈমান আনার তাওফীক দান করলেন। তখন একদিন ছেলে বাবাকে আরয করলেন, আব্বাজান! বদর যুদ্ধে একটা সময় এমন এসেছিল যখন আপনি আমার আওতায় চলে এসেছিলেন। কিন্তু বাবার ভালোবাসা তখন প্রবল হয়ে গিয়েছিল। তখন হযরত আবু বকর রা. বললেন, কিন্তু ইসলাম ও কুফরের এই যুদ্ধে যদি তুমি আমার কাবুতে চলে আসতে তাহলে আমি তোমাকে ছেড়ে দিতাম না। (দেখুন, আলইসতিআব, হযরত আবদুর রহমান বিন আবু বকর রা.-এর জীবনী)

* আবদুল্লাহ ইবনে উবাই মুনাফেক ছিল। তার ছেলে হযরত আবদুল্লাহ রা. খাঁটি মুসলমান ছিলেন। নিজের বাবার মুনাফেকি সম্পর্কে তিনি অবগত ছিলেন। মদীনাতে এখবর ছড়িয়েছিল, হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম তার মুনাফেকির কারণে তাকে হত্যার নির্দেশ দিতে যাচ্ছেন। যখন হযরত আবদুল্লাহ রা. বিষয়টি জানতে পারলেন, তখন নববী দরবারে গিয়ে হাজির হয়ে আরয করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ, শুনেছি আপনি আমার বাবাকে হত্যা করার হুকুম দিতে যাচ্ছেন। যদি আপনার এই ইচ্ছা থাকে তাহলে আমি নিজে আমার বাবার মাথা আলাদা করে আপনার খেদমতে পেশ করি। প্রিয়নবী তাকে নিষেধ করলেন। (আররওযুল উনফ ৭/২৩)

এখানেও নিজের বাবার ভালোবাসার ওপর ‍হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ভালোবাসা শক্তিশালী ছিল। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ভালোবাসার দাবির মধ্যে এটাও অন্তর্ভুক্ত যে, নবীজি সংশ্লিষ্ট সবকিছুর প্রতি ভালোবাসা থাকবে। নবী পরিবারের প্রতি ভালোবাসা থাকবে। সাহাবায়ে কেরামের প্রতি ভালোবাসা থাকবে। এটা ভালোবাসার স্বভাবজাত দাবি যে, যে জিনিস মানুষের প্রিয় হয়, তার সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রতিটি বস্তুকেই সে ভালোবাসে। এজন্যই সালাফে সালেহীন আহলে বাইতকেও ভালোবাসতেন। সাহাবায়ে কেরামকেও ভালোবাসতেন। আহলে বাইতের প্রতি ভালোবাসা না থাকলে এবং তাদের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধার আবেগ না থাকলে তো এটা হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর  ভালোবাসা থেকে মাহরুমি। কারণ আহলে বাইতের প্রতি ভালোবাসাও হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কারণে। তাদের ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হওয়া প্রকৃতপক্ষে সেই সম্পর্কের অবমূল্যায়ন।

হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত আলী রা., হযরত ফাতেমা রা., হযরত হাসান রা. এবং হযরত হোসাইন রা. সম্পর্কে বলেছেন, এদের সঙ্গে যার শত্রুতা, তার সঙ্গে আমার শত্রুতা। আর যার এদের সঙ্গে বন্ধুত্ব, আমার তার সঙ্গে বন্ধুত্ব। ’’ أنا حرب لمن حاربھم وسلم سالمھم ‘‘ (সুনানে তিরমিযী, হাদীস ৪৯৬৫) সাইয়েদুনা হযরত আলী রা.-এর মুহাব্বাতকে এবং তার প্রতি বিদ্বেষকে প্রিয়নবী ঈমান এবং কুফরের মাপকাঠি নির্ধারণ করেছেন। নবীজি বলেছেন, আলীকে সে-ই ভালোবাসবে, যার মধ্যে ঈমান থাকবে। তার প্রতি তারই বিদ্বেষ থাকবে যার মধ্যে নেফাক বা কপটতা থাকবে। لا یجب علیاً إلا مؤمن ولا یبغضہ إلا منافق (আলমুজামুল কাবীর লিততাবরানী, হাদীস ৮৮৬)

এমনিভাবে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবীগণ হলেন তাঁর সেই সঙ্গী যারা নবীজির আনিত দ্বীনের বিজয়ের জন্য নিজের জানমালের কোরবানি দিয়েছেন। যারা সরাসরি নববী সাহচর্য দ্বারা ধন্য হয়েছেন। যারা কোনো মাধ্যম ব্যতীত তার শিক্ষা-দীক্ষা অর্জন করেছেন। তাদের প্রতি বিদ্বেষ বা তাচ্ছিল্য প্রকারান্তরে নবীজির তরবিয়ত ও দীক্ষার প্রতি আঙ্গুল তোলা। নবীজি তাদের সম্পর্কে ইরশাদ করেছেন, আমার সাহাবীদের গালমন্দ করো না। যদি তোমাদের মধ্যে কেউ উহুদ পর্বত সমান স্বর্ণও ব্যয় করে, তাহলে তাদের এক মুদ বা আধা মুদ খরচ করার সমতুল্যও হবে না। ’’ فلو أن أحدکم أنفق مثل أحد ذھباً ما بلغ مد أحدھم ولا نصفہ ‘‘ (বুখারী, হাদীস ৭৩৩৬) মুদ একটি ক্ষুদ্র পরিমাপক, যার মধ্যে খুব সামান্য পরিমাণ বস্তু ধারণ করা যায়।

হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সংশ্লিষ্টদের মধ্যে নবীজির উম্মতও অন্তর্ভুক্ত। কারণ, হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সম্পর্ক এই উম্মতকে এক আন্তর্জাতিক এবং বৈশ্বিক পরিবার বানিয়ে দিয়েছে। মানুষ যেমন বাপ-দাদার আত্মীয়তার ওসিলায় পৃথিবীতে আগমনকারী পরিবারকে ভালোবাসে, একে অন্যের কল্যাণকামী, সহযোগী এবং শুভার্থী হয়, শত্রুর বিরুদ্ধে শিসাঢালা প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়ে যায়, ঠিক তেমনি পুরো মুসলিম উম্মত এক পরিবারের সমান। যেমনটি হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমি তোমাদের পিতার মতো। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ৩১৩) এবং যেরূপ কোরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে, মুমিনরা সকলে ভাই-ভাই। (সূরা হুজুরাত, ১০)

আফসোসের বিষয়, উম্মতের এক বিশাল পরিবার হওয়ার দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের মন থেকে হারিয়ে গেছে। দল, মত, সংগঠন, সংস্থা, শিক্ষাঙ্গন, পিরালী নিসবত, অঞ্চল, ভাষা, পেশা এবং জ্ঞাতি-গোষ্ঠীর চৌহদ্দিতে আমাদের ভালোবাসা আটকা পড়ে গেছে। আমরা এ বাস্তবতাকে ভুলে বসেছি যে, আল্লাহর রাসূল নিজ উম্মতের প্রত্যেক ব্যক্তিতে ভালোবাসতেন। সেখানে না আরব-অনারবের কোনো পার্থক্য ছিল। না শেতাঙ্গ-কৃষ্ণাঙ্গের মাঝে কোনো ব্যবধান ছিল। না মুহাজির-আনসার, স্থানীয়-শরণার্থীর মাঝে তারতম্য ছিল, না ধনী-গরীবের মধ্যে বিভেদ। এমনকি উম্মতের কোনো ব্যক্তি থেকে গুনাহ সংঘটিত হয়ে গেলে নবীজি সেই গুনাহকে অবশ্যই ঘৃণা করতেন। কিন্তু কিন্তু প্রিয়নবীর পবিত্র হৃদয় ঐ গুনাহগার উম্মতির ভালোবাসায়ও পূর্ণ থাকতো। যদি তার সম্পর্কে কেউ অসমীচীন বাক্য উচ্চারণ করত নবীজি খুব নারাজ হতেন। হায়, মুসলমানরা ভালোবাসার এই তাৎপর্য যদি অনুধাবন করতেন যে, আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে এক উম্মত বানিয়ে গিয়েছিলেন! আজ আমরা নিজেদের মধ্যে দলাদলি এবং সাম্প্রদায়িকতার এত উঁচু দেয়াল টেনে রেখেছি যে, একে অপরকে দেখতেও অক্ষম আমরা। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি মুহাব্বতের দাবির মধ্যে এটাও রয়েছে যে, আমরা সমগ্র উম্মতকে ভালোবাসব। যে উম্মতের প্রতিষ্ঠা প্রিয়নবীর মুবারক হাতে হয়েছিল।

যাইহোক, নবীর সঙ্গে উম্মতের সম্পর্ক নিছক আইনি আনুগত্য বা প্রথাগত সম্মানপ্রদর্শনের নয়। বরং আবশ্যক হলো, এর পেছনে অপরীসীম ভালোবাসা ক্রিয়াশীল থাকা। এমন ভালোবাসা যে, মানুষ পেয়ে মনে করে যে, সে পেয়েছে। এমন ভালোবাসা যে, মানুষ হারিয়ে মনে করে যে, সে সত্যি হারিয়েছে। এমন ভালোবাসা, যার মধ্যে কাঁটার বিছানা ফুলের কোমলতার আনন্দ দেয়। আগুন-যন্ত্রণার বিছানায়ও যে ভালোবাসা শিশিরের সিগ্ধতা অনুভব করায়। আত্মহারা ভালোবাসা, আত্মোৎসর্গের প্রেরণায় উদ্বেল আবেগ- এটাই ছিল নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি সাহাবায়ে কেরামের ভালোবাসা।

এই নববী ভালোবাসা ঈমান হেফাজতের অনেক বড় সম্পদ। আল্লাহর শোকর যে, মুসলমান যতই নাফরমান হোক, বেনামাযী, ফরয আদায়ে গাফেল, মদ, জুয়ার মতো খারাপ অভ্যাসে লিপ্ত হোক, দ্বীন সম্পর্কে অসচেতন এবং শরীয়তের বিধানের ব্যাপারে অজ্ঞ হোক, কিন্তু তার হৃদয়ে নবীজির ভালোবাসার অগ্নিস্ফুলিঙ্গ অবশ্যই বিদ্যমান থাকে। যা সময় এলে জ্বলন্ত অগ্নিশিখা বরং লেলিহান অগ্নিকুণ্ডে রূপ নেয়। এই ভালোবাসার অনুভূতিকে তুচ্ছ না ভাবা চাই। বরং এর ধারাকে আরো গতিশীল, আরো তেজদ্বীপ্ত করা চাই। পূর্বপুরুষদের থেকে প্রাপ্ত এই আমানতকে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম পর্যন্ত পৌঁছে দিতে হবে।

এই ভালোবাসা তখনই ফল দেবে, যখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরিচয় নতুন প্রজন্মের মধ্যে তৈরি হবে। এই পরিচয় কীভাবে তৈরি হবে- যদি তারা নবীজির সীরাত সম্পর্কে অবগত না হয়? আফসোসের বিষয়, আমাদের সন্তানরা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনীর মৌলিক বিষয়াদির ব্যাপারেই অবগত নয়। তাদের সহীহভাবে নবীজি এবং নবীজির নিকটজনদের নাম পর্যন্ত জানা নেই। আমাদের সন্তানকে নবী জীবনী সম্পর্কে অবগত করাতেও কি আমরা কোনো বাধার সম্মুখীন? মুহাব্বতের ন্যূনতম হকও তখনই আদায় হবে- যখন আমরা মুহাব্বতের এই আমানতকে নিজেদের বংশধরদের কাছে পৌঁছে দেব।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল

মন্তব্য করুন: