শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ১৩ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

আখক্ষেতে নিখোঁজ গৃহবধূর বিবস্ত্র লাশ

 প্রকাশিত: ০৯:৩৩, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১

আখক্ষেতে নিখোঁজ গৃহবধূর বিবস্ত্র লাশ

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় নিখোঁজ এক গৃহবধূর ক্ষতবিক্ষত ও বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিখোঁজের তিন দিন পর বুধবার রাতে উপজেলার উথলী মোল্লাবাড়ি এলাকার আখক্ষেত থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই নারীর মরদেহে একাধিক ধারালো অস্ত্রের কোপের চিহ্ন রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

নিহত গৃহবধূর নাম তানজিরা খাতুন (২৫)। তিনি উপজেলার সিংনগর গ্রামের আবদুস সালামের স্ত্রী।

এর আগে সোমবার সকালে তানজিরা ও তার স্বামী মাঠে জ্বালানি সংগ্রহ করতে গিয়ে নিখোঁজ হন। স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হলেও স্বামী এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। স্ত্রী তানজিরা খাতুনকে স্বামী আবদুস সালামই হত্যা করে গাঢাকা দিয়েছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ।

এলাকাসূত্রে জানা গেছে, জীবননগর উপজেলার সিংনগরের আবদুস সালাম মাস তিনেক ধরে স্ত্রীসহ চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আকন্দবাড়িয়া আবাসনে বসবাস করে আসছিলেন। ওই আবাসনের পাঁচ নম্বর ব্যারাকের পাঁচ নম্বর কক্ষে তারা থাকতেন।

সোমবার সকাল ৯টার দিকে জ্বালানি সংগ্রহের জন্য মাঠের উদ্দেশে বের হন তারা। ঘরে রেখে যান তাদের দুই শিশুকন্যা সাবিনা খাতুন (৫) ও আলিয়া খাতুনকে (৩)।

সন্ধ্যা পর্যন্ত বাবা-মা না ফিরলে দুই শিশুকন্যাকে এলাকার লোকজন তাদের দাদির কাছে সিংনগর গ্রামে রেখে আসেন।

বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার উথলী গ্রামের মোল্লাবাড়ি বাসস্ট্যান্ডের পাশে কোমরপাড়া নির্জন মাঠের একটি আখক্ষেতে তানজিরা খাতুনের  বিবস্ত্র ও ক্ষতবিক্ষত মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। রাতেই মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

আকন্দবাড়িয়া আবাসনে বসবাসকারী আমেনা বেগম জানান, তানজিরার স্বামী আবদুস সালাম তেমন কোনো কাজকর্ম করতেন না। মাঝে মাঝেই স্ত্রীর সঙ্গে ভিক্ষা করতে যেতেন। কোনো কোনো সময় টাকার জন্য স্ত্রী তানজিরা খাতুনকে মারপিটও করতেন।

সোমবার সকাল ৯টা দিকে স্বামী আবদুস সালাম রান্নার জ্বালানি সংগ্রহের জন্য একটা দা হাতে করে স্ত্রীর সঙ্গে বের হয়ে আর ফেরেননি।

জীবননগর থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, নিহত তানজিরা খাতুনের মাথায় এবং ঘাড়সহ শরীরের একাধিক স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর দাগ রয়েছে। সোমবারের কোনো একসময় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে।

তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, স্বামী আবদুস সালাম নিজেই স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করে গাঢাকা দিয়েছেন।

চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) মো. আবু রাসেল বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন এবং ঘাতককে ধরতে পুলিশের একাধিক দল মাঠে নেমেছে।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল

মন্তব্য করুন: