শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ১৩ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ইসলাম

রোজা ও রমজান: পর্ব-৩৭: লাইলাতুল কদর কি ও কেন?

মুফতি মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন

 প্রকাশিত: ১২:৪৪, ২৩ এপ্রিল ২০২২

রোজা ও রমজান: পর্ব-৩৭: লাইলাতুল কদর কি ও কেন?

লাইলাতুল কদরের নাম করণের কারণ ও কিছু প্রাসঙ্গিক কথাঃ 
‘লাইলাতুল কদর’ এখানে মূলত দু’টি শব্দ। ‘লাইলাতুন’ অর্থ রাত। আর ‘কদর’ অর্থ ‘মহিমান্বিত, সম্মান ও ভাগ্য।’  সুতরাং ‘লাইলাতুল কদর’ অর্থ ‘মহিমান্বিত রাত।’ কদরের আরেক অর্থ তাকদীর। এ রাত্রিতে পরবর্তী এক বছরের জন্য অবধারিত বিধিলিপি ব্যবস্থা প্রয়োগকারী ফিরিশতাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এতে প্রত্যেক মানুষের বয়স, মৃত্যু, রিযিক, বৃষ্টি, ইত্যাদির পরিমাণ নির্দিষ্ট ফিরিশতাগণকে লিখে দেয়া হয়। এমনকি এবছর কে হজ্জ করবে, তাও লিখে দেয়া হয়। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাদি.) বলেনঃ এসব কাজ চারজন ফিরিশতার কাছে সোপর্দ করা হয়। সেই চারজন ফিরিশতা হলেন, হযরত ইসরাফীল (আ.), হযরত মিকাঈল (আ.), হযরত আযরাঈল (আ.), ও হযরত জিবরাঈল (আ.)। মায়ারিফুল কুরআন, ৮/৮৩১
এই রাতের আরেকটি নাম হচ্ছে ‘শবে কদর’। ‘শব’ শব্দটি ফার্সী। এর অর্থ হল রাত বা রজনী। কদর অর্থ হল মহিমান্বিত, সম্মান ও ভাগ্য। সুতরাং ‘শবে কদর’ অর্থ ‘মহিমান্বিত রজনী বা ভাগ্য রজনী।’ যেহেতু এই রাতটি অনেক মহিমান্বিত এইজন্য একে লাইলাতুল কদর বলা হয়। আবু বকর ওয়াররাক বলেন, এ রাত্রিকে ‘লাইলাতুল কদর’ বলার কারণ এই যে, কর্মহীনতার কারণে এর পূর্বে যার কোন সম্মান ও মূল্য ছিল না, সে এই রাত্রিতে তওবা-ইস্তিগফার ও ইবাদতের মাধ্যমে সম্মানিত ও মহিমান্বিত হয়ে যায়। আমাদের দেশে অনেকে ‘লাইলাতুল কদর’ বলার পরিবর্তে ‘শবে কদর’ বলতে বেশি আগ্রহী। কুরআন-হাদীসে এই রাতকে ‘লাইলাতুল কদর’ বলা হয়েছে। সুতরাং ‘শবে কদর’ বলার পরিবর্তে ‘লাইলাতুল কদর’ বলা উত্তম এবং বরকতময়। কারণ ‘লাইলাতুল কদর’ শব্দটি আল্লাহর  হাবীব, আমাদের প্রিয় নবী (সা.) এর ব্যবহৃত শব্দ। এমনিভাবে নামায, সিয়াম ইত্যাদি শব্দের পরিবর্তেও সালাত, সাওম বলা উত্তম ও বরকতময়। এজন্য আমরা আমাদের এই পুস্তিকাতে ‘শবে কদর এবং নামায-রোযা শব্দগুলোর পরিবর্তে ‘লাইলাতুল কদর এবং সালাত-সিয়াম বা সাওম’ শব্দ ব্যবহার করেছি। 
মুফতি মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন
সাতাউক মধ্যগ্রাম, লাখাই, হবিগঞ্জ
আমলের কথা জানতে ইউটিউবে সার্চ করুন, 01712961470

মন্তব্য করুন: