রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ১৫ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

করোনাভাইরাস কারণে মরুভূমিতে বহু বিমানের পার্কিং

 প্রকাশিত: ১৯:২১, ৪ আগস্ট ২০২০

করোনাভাইরাস কারণে মরুভূমিতে বহু বিমানের পার্কিং

করোনাভাইরাস কারণে ব্যাপক সংখ্যক বাণিজ্যিক এয়ারলাইনস তাদের বিমানগুলো মাটিতে বসিয়ে রাখতে বাধ্য হয়েছে। এসব উড়োজাহাজ রাখার জন্যেও যথেষ্ট জায়গা না থাকায় কোম্পানিগুলো বেছে নিয়েছে মরুভূমির মতো প্রত্যন্ত এলাকাকে। এরকম জায়গাকে বলা হয় ‘এয়ারলাইনের গোরস্তান’ বা বোনইয়ার্ড। এখানে বিমানগুলোকে লম্বা সময়ের জন্যে পার্ক করে রাখা হয় অথবা বসিয়ে রাখা হয়। পরে এগুলোকে আবার সার্ভিসে ফিরিয়ে আনা হয় অথবা ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করে সেসব পার্টস বিক্রি করা হয়।

বাণিজ্যিক এয়ালাইনগুলো তাদের বিমান বসিয়ে রাখার জন্য এ ধরনের জায়গা খুঁজে থাকে। কারণ বিমানবন্দরের তুলনায় এসব জায়গায় বিমান রাখার খরচ অনেক কম। এসব জায়গায় দীর্ঘ সময়ের জন্য বিমান পার্ক করে রাখা যায়।

বেসরকারি উদ্যোগে পরিচালিত এরকম কিছু জনপ্রিয় পার্কিং স্থাপনা যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন ও অস্ট্রেলিয়ায় মরুভূমির মতো বিস্তৃত এলাকায় অবস্থিত। উদাহরণ হিসেবে মধ্য অস্ট্রেলিয়ার অ্যালিস স্প্রিংস এবং ক্যালিফোর্নিয়ার পূর্বাঞ্চলে মোহাভি মরুভূমির কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। এছাড়াও এরকম সুপরিচিত আরো কিছু জায়গার মধ্যে রয়েছে অ্যারিজোনার মারানা এবং নিউ মেক্সিকোর রসওয়েল।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এভাবে একটি বিমান কোথাও বসিয়ে রাখতে মাসিক খরচ পড়ে পাঁচ হাজার ডলারের মতো। এভিয়েশন বা বিমান চলাচল বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মহামারির কারণে বিভিন্ন এয়ারলাইন্স যেভাবে তাদের বিমান বোনইয়ার্ডসে বসিয়ে রাখতে বাধ্য হয়েছে- এরকম ঘটনা সাম্প্রতিক ইতিহাসে কখনো ঘটেনি।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল

মন্তব্য করুন: