শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ১৩ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

ইসলাম

ইসলাম ও ঈমান

 প্রকাশিত: ১৭:৫৭, ১৯ মে ২০২০

ইসলাম ও ঈমান

আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন-

’নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকট গ্রহনযোগ্য দ্বীন একমাত্র ইসলাম।’
(সূরা আলে ইমরান-১৯)

আল্লাহ তায়ালা আরো ইরশাদ করেন-

’যে লোক ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম তালাশ (অবলম্বন) করে, কস্মিনকালেও তা গ্রহন করা হবেনা এবং আখেরাতে ‍সে হবে ক্ষতিগ্রস্ত।’
(সূরা আলে ইমরান-৮৫)

আল্লাহ তায়ালা আরো এরশাদ করেন-

’তোমাদের মধ্যে যারা নিজের দ্বীন থেকে ফিরে দাঁড়াবে এবং কাফির অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে, দুনিয়া ও আখিরাতে তাদের যাবতীয় নেক আমল বিনষ্ট হয়ে যাবে। আর তারাই হলো দোযখবাসী। তাতে তারা চিরকাল বাস করবে।’(সূরা আল-বাকারা-২১৭)

ফায়দা :
দুনিয়াতে আমল এভাবে নষ্ট হয় যে, তার স্ত্রী তালাক হয়ে যায়। তার কোন মুসলমান আত্মীয় মৃত্যুবরণ করলে সে উত্তরাধিকারের অংশ পায় না। মৃত্যুর পর তার জানাযা নামায পড়া হয়না। আর আখিরাত এভাবে নষ্ট হয় যে, সে চিরদিনের জন্য জাহান্নামে প্রবেশ করে।

মাসআলা :
এ ব্যক্তি পুনরায় মুসলমান হলে তার স্ত্রীকে পুনরায় বিবাহ করতে হবে। তবে শর্ত হলো, তার স্ত্রীও রাজী থাকতে হবে। স্ত্রী সম্মত না হলে জোর-জবরদস্তি বিবাহ করতে পারবেনা।

আল্লাহ তায়ালা আরো এরশাদ করেন-

’হে ঈমানদারগন! (তোমরা তোমাদের ঈমানের বিস্তারিত বিবরণ শুনে নাও, তা এই যে,)তোমরা আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রাসূল(মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম), তাঁর যে কিতাব তিনি তাঁর রাসূলের উপর নাযিল করেছেন (অর্থাৎ, কুরআন শরীফ), আর যেসব কিতাব রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পূর্বে অন্যান্য নবীর উপর অবতীর্ণ হয়েছে, সে সবের উপর ঈমান রাথো। আর যারা আল্লাহ, তাঁর ফেরেশতাগণ, তাঁর কিতাবসমূহ, তাঁর রাসূলগণ ও কিয়ামতের দিনের উপর ঈমান রাখে না তারা সুদূর গোমরাহীতে বিপথগামী হয়েছে। নিশ্চয় যারা একবার মুসলমান হয়ে পুনরায় কাফির হয়ে গেছে, আবার মুসলমান হয়েছে(কিন্তূ এবারও ইসলামের উপর ঠিক থাকে নাই, যদি থাকতো তাহলে তাদের ইসলাম থেকে ফিরে যাওয়ার গুনাহ মাফ করে দেওয়া হতো) এবং আবারও কাফির হয়েছে (এবার আর মুসলমানই হয় নাই, যদি হতো তাহলে এবারও তাদের ঈমান কবুল হতো) তারপর কুফুরীর কাজেই এগিয়ে চলেছে (অর্থাৎ), মৃত্যু পযর্ন্ত কুফুরীর উপর অটল থেকেছে) আল্লাহ তাদেরকে না কখনো ক্ষমা করবেন, না তাদেরকে(বেহেশতের) পথ দেখাবেন। (সূরা আন-নিসা ১৩৬-১৩৭)

আল্লাহ তায়ালা আরো এরশাদ করেন-

’নিশ্চয় যারা আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছে(অর্থাৎ ঈমান গ্রহন করেনি) অতিসত্ত্বর আমি তাদেরকে আগুন নিক্ষেপ করবো(সেখানে তাদের অবস্থা এই হবে যে,) যখন একবার তাদের চামড়া জ্বলে যাবে, তখন আবার প্রথম চামড়ার জায়গায় অন্য চামড়া বানিয়ে দেবো, যেন তারা সর্বদাই আযাব ভোগ করতে থাকে। নিশ্চয়ই আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী, হেকমতের অধিকারী। আর যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকর্ম করেছে, অবশ্যই আমি প্রবিষ্ট করাবো তাদেরকে জান্নাতে, যার তলদেশে প্রবাহিত রয়েছে নহরসমূহ। সেখানে তারা থাকবে অনন্তকাল। সেখানে তাদের জন্য খাকবে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন স্ত্রীগণ। তাদেরকে আমি প্রবিষ্ট করাবো ঘন ছায়ানীড়ে।’(সূরা আন-নিসা৫৬-৫৭)

ফায়দাঃ এ সমস্ত আয়াতে মুসলমানদের জন্য জান্নাতের নেয়ামতরাজি এবং অমুসলিমদের জন্য দোযখের বিভীষিকা সম্পর্কে সামান্য বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য আয়াত ও হাদীসে জান্নাতের আরো অনেক নেয়ামত এবং দোযখের আরো অনেক শাস্তির কথা বর্ণিত হয়েছে।

হে মুসলমানগণ! দুনিয়ার জীবন অতি সামান্য সময়ের। যদি ইসলামের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকার কারণে সামান্য কিছু কষ্টভোগের বিষয় মেনেও নেয়া হয় তবুও মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে এমন সুখ ও শান্তি লাভ করবে যে, এখানকার যাবতীয় কষ্টের কথা ভুলে যাবে। আর যদি কোন কিছুর লালসায় পড়ে কিংবা কোন কষ্ট থেকে আত্মরক্ষার জন্য আল্লাহ না করুন কেউ ইসলাম থেকে ফিরে যায় তাহলে মৃত্যুর সাথে সাথে এমন বিপদের মুখে পড়তে হবে যে, জাগতিক সমস্ত সুখের কথা ভুলে যাবে। তদুপরি সেই বিপদ ও শাস্তি থেকে কখনই পরিত্রান পাওয়া যাবে না। তাই যার কিছুমাত্র বুদ্ধি রয়েছে, সে সারা পৃথিবীর রাজত্বের মোহেও ইসলাম পরিত্যাগ করবেনা।

হে আল্লাহ! আমার ভাইদেরকে হেদায়েত দান করুন এবং তাদের বিবেক-বুদ্ধিকে সঠিক রাখুন।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল

মন্তব্য করুন: