শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪, জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১, ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

গাজায় ‘গণহত্যা’র জন্য ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে কলম্বিয়া

 প্রকাশিত: ১২:৪৯, ২ মে ২০২৪

গাজায় ‘গণহত্যা’র জন্য ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে কলম্বিয়া

 প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো বুধবার বলেছেন, কলম্বিয়া ইসরায়েলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করবে। তিনি গাজা যুদ্ধকে ‘গণহত্যা’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

পেট্রো বোগোটায় মে দিবসের এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ‘গণহত্যাকারী’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, ‘আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) ইসরায়েল রাষ্ট্রের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা হবে।’ পেট্রো ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের অতর্কিত হামলার পর গাজায় হামলার কঠোর সমালোচক ছিলেন।

হামাস এই হামলার সময় প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করেছে। যাদের মধ্যে ১২৯ জন এখনো গাজায় হামাসের কাছে আটক রয়েছে। যার মধ্যে ৩৪ জন মৃত বলে ইসরায়েল ধারণা করছে।

হামাস পরিচালিত অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক পাল্টা আক্রমণে গাজায় কমপক্ষে ৩৪,৫৬৮ জন নিহত হয়েছে। যাদের বেশিরভাগই মহিলা এবং শিশু।

বুধবার, পেট্রো হাজার হাজার সমর্থকের সামনে বলেছেন, একটি জনগোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ নির্মূলে এই ‘গণহত্যাকে’ বিশ্ব মেনে নিতে পারে না।

তিনি জনতার তুমুল করতালির মধ্যে বলেন, ‘ফিলিস্তিন মারা গেলে, মানবতার মৃত্যু হয়’। জনতার এই সমাবেশে অনেক ফিলিস্তিনি ব্যানার দেখা যায়।

ইসরায়েল পেট্রোকে ‘সেমিটিক বিরোধী এবং ঘৃণ্য’ হিসাবে বর্ণনা করে প্রতিক্রিয়া জানায় এবং তার অবস্থান হামাসকে একটি পুরষ্কার প্রদানের সমান বলে উল্লেখ করা হয়।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এক্স-এ বলেছেন, ‘কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট হামাসের খুনি ও ধর্ষকদের পুরস্কৃত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং আজ তিনি তা প্রদান করেছেন।’

হামাস তার পক্ষ থেকে, এই পদক্ষেপকে ‘জয়’ হিসেবে স্বাগত জানিয়েছে।

গ্রুপটি একটি বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রোর অবস্থানের ভুয়সী প্রশংসা করি, যেটিকে আমরা আমাদের জনগণের আত্মত্যাগ এবং তাদের ন্যায়সঙ্গত কারণের জন্য একটি বিজয় বলে মনে করি।’

বিবৃতিতে তারা অন্যান্য লাতিন আমেরিকার দেশগুলোকে এই নীতি অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছে।
কলম্বিয়া ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন বা স্থগিত করার জন্য বলিভিয়া, বেলিজ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে যোগ দিয়েছে। আরও বেশ কয়েকটি দেশ কূটনীতিকদের প্রত্যাহার করেছে। 

মন্তব্য করুন: