শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪, জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১, ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পর্যালোচনা করছে হামাস

 প্রকাশিত: ১৯:০৫, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পর্যালোচনা করছে হামাস

ফিলিস্তিনী সংগঠন হামাস গাজায় বেশ কিছু জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে ৪০ দিনের যুদ্ধবিরতির ইসরায়েলি প্রস্তাব পর্যালোচনা করছে।

কায়রোয় সর্বশেষ আলোচনা শেষে কাতারে ফিরে মঙ্গলবার হামাস প্রতিনিধি দল বলেছে, ‘প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা আমাদের মতামত জানবো।’

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী এন্টনি ব্লিংকেন যুদ্ধবিরতির এ প্রস্তাবকে ‘অসাধারণ উদার’ বলে বর্ণনা করেছেন। একইসঙ্গে হোয়াইট হাউস প্রস্তাবে হামাসকে রাজি করাতে মিসর ও কায়রোর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে।
সৌদি আরবে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বিশেষ বৈঠকে ব্লিংকেন বলেছেন, তিনি আশাবাদী হামাস সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।

একই বৈঠকে মিসরের পররাষ্ট্র মন্ত্রী সামেহ শৌক্রি বলেছেন, ‘প্রস্তাবে উভয়পক্ষের অবস্থান বিবেচনায় নেয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, আমরা আশাবাদী।

বৃটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, হামাসকে জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে সম্ভাব্য হাজার হাজার ফিলিস্তিনী বন্দীকে ছেড়ে দেয়া এবং ৪০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

এদিকে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বিশেষ বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আরব প্রতিনিধিরা ইসরায়েল ফিলিস্তিন দ্বন্দ্ব নিরসনে দুই রাষ্ট্র সমাধানের বিষয়ে কিভাবে আগানো যায় তা নিয়ে আলোচনার জন্যে মিলিত হয়েছেন।

তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দীর্ঘ দিন ধরেই ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের বিরোধী এবং ইসরায়েল পূর্বে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির বিষয়টিও নাকচ করে দিয়েছিল।

তবে হামাসের চাওয়া এমন একটি চুক্তি যার আওতায় একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করা, বাস্তুচ্যুত লোকজনকে নির্বিঘেœ ঘরে ফিরতে দেয়া, জিম্মি ও বন্দী মুক্তি বিনিময়ে ঐকমত্য এবং গাজা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়া।
এদিকে নেতানিয়াহু জিম্মিদের পরিবারের প্রবল চাপের মুখে রয়েছেন।

সোমবার দুই জিম্মির ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাস। ভিডিওতে তারা বেঁেচ আছেন বলে দেখেছে তাদের পরিবার। এসব পরিবার জিম্মিদের মুক্তির জন্যে জোর দাবি জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনী সংগঠন হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক বড়ো ধরনের হামলা চালায়। এ সময়ে তারা প্রায় এক হাজার ১৭০ ইসরায়েলিকে হত্যা এবং ২৫০ জিম্মিকে আটক করে। এখনও তাদের কাছে ১২৯ জিম্মি আটক রয়েছে।

এদিকে ৭ অক্টোবর ইসরায়েল গাজায় প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা শুরু করে যা এখনও চলছে। গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত এ হামলায় ৩৪ হাজার ৪৮৮ ফিলিস্তিনী নিহত হয়েছে। এদের অধিকাংশ নারী ও শিশু।

মন্তব্য করুন: