৯৯৯ নম্বরে মিথ্যা তথ্য দিলে শাস্তি
প্রকাশিত: ১৮:৩২, ৩০ নভেম্বর ২০২০
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি করলে শাস্তির বিধান রেখে এ সংক্রান্ত নীতিমালার খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। ৯৯৯ অপারেট করার জন্য পুলিশের একটি আলাদা ইউনিটও গঠন করা হবে।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে সেবা পাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী আরও কার্যকর করতে নির্দেশনা দিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় সম্পদ, জননিরাপত্তা, জনশৃঙ্খলা অপরাধ দমন, জনগণের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধানে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। জনজীবনের সফলতা ও সম্ভাবনার বিষয়ে আলোচনা করে ইর্মাজেন্সি সার্ভিস পলিসি ৯৯৯ তথা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। ‘এর উদ্দেশ্য হচ্ছে নিরাপত্তা জীবন ও শান্তিপূর্ণ সমাজ বির্নিমাণে জরুরি পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে সংকটাপন্ন মানুষকে যাতে সহায়তা করা যায়, দুর্ঘটনা ও অপরাধ প্রতিরোধ করা যায়। অপরাধের শিকার কোনো ব্যক্তি বা সম্পদ উদ্ধার করা যেনো সহজ হয়। দুর্ঘটনায় নিপতিত মানুষকে যাতে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায়। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অগ্নি নির্বাপনের ব্যবস্থা এবং জান-মালের উদ্ধারসহ দ্রুততম সময়ে যাতে দুর্গতদের হাসপাতালে পাঠানো ও সেবা দেওয়া যায়। ’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নামে একটি ইউনিট গঠিত হবে। এতে ডিআইজি পদমর্যাদার কর্মকর্তা যিনি জাতীয় জরুরি সেবার প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হবেন।
তিনি জানান, ৯৯৯ নম্বরে যদি কেউ মিথ্যা, বানোয়াট, গুজব ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দেয় তা দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে অভিহিত হবে। বাচ্চা বা কেউ যদি না বুঝে এ কাজ করে সেটা কনসিডার করা হবে। তবে ইচ্ছা করে যদি কেউ চিট করতে চায় ‘দ্যাট উইল বি পানিশ্যাবল’। সেজন্য রেসপেক্টিভ আইন প্রযোজ্য হবে। মিথ্যা তথ্য দেওয়ার শাস্তি পেনাল কোডে আছে।
অনলাইন নিউজ পোর্টাল
মন্তব্য করুন: