শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ৬ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

৯ মার্চ সারাদেশে ‘কেমিকেল টেস্টিং ইউনিট’ স্থাপন বিষয়ে আদেশ

 প্রকাশিত: ১৮:৪৮, ২০ জানুয়ারি ২০২১

৯ মার্চ সারাদেশে ‘কেমিকেল টেস্টিং ইউনিট’ স্থাপন বিষয়ে আদেশ

বিদেশ থেকে আমদানি করা ফলে রাসায়নিকের মাত্রা পরীক্ষার জন্য দেশের ১৪টি স্থলবন্দর তথা শুল্ক স্টেশনে ‘কেমিকেল টেস্টিং ইউনিট’ স্থাপন বিষয়ে আগামী ৯ মার্চ পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেন। স্থলবন্দরগুলোতে ‘কেমিকেল টেস্টিং ইউনিট’ স্থাপনের অগ্রগতি সম্পর্কিত এনবিআরের এক প্রতিবেদন পাবার পর তা দেখে এ আদেশ দেন আদালত। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। এইচআরপিবি’র পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) করা এক রিট আবেদনে হাইকোর্ট গতবছর ২৩ জুন এক আদেশে বিদেশ থেকে আমদানি করা ফলে রাসায়নিকের মাত্রা পরীক্ষার জন্য দেশের সকল বন্দরে যন্ত্র বসাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে এনবিআর চেয়ারম্যানকে এ নির্দেশ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পক্ষ থেকে ১৪টি স্থলবন্দর তথা শুল্ক স্টেশনে ‘কেমিকেল টেস্টিং ইউনিট’ স্থাপনের অগ্রগতি জানানো হয়।

এর আগে গতবছর ২৫ আগষ্ট এনবিআরের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে দেওয়া এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এনবিআরের অধীনে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ সারাদেশে ৬টি কাস্টম হাউজ এবং ১৪টি শুল্ক স্টেশনের মাধ্যমে ফল আমদানির সুযোগ রয়েছে। তবে ৬টি কাস্টম হাউজের মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও বেনাপোলের মাধ্যমে ফল আমদানি করা হয়। এরমধ্যে চট্টগ্রামে একটি অত্যাধুনিক রাসায়নিক ল্যাব রয়েছে। অন্যান্য কাস্টম হাউজে নিজস্ব কোনো রাসায়নিক পরীক্ষাগার না থাকায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্ভিদ সংগনিরোধ অফিসে আমদানি করা ফল পরীক্ষা করা হয়।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যে ১৪টি শুল্ক স্টেশন সচল রয়েছে তারমধ্যে ভোমরা, বুড়িমারি, হিলি, বাংলাবন্ধা, সোনামসজিদ, শ্যাওলা, তামাবিল, বিবিরবাজার ও টেকনাফের মাধ্যমে ফল আমদানি হয়ে থাকে। এই ৯টি স্টেশন স্থাপনে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের(এডিবি) এ অর্থায়নে সম্মত হয়েছে। বাকী ৫টি ইউনিট সরকারের নিজস্ব অর্থায়নেস্থাপন করা হবে। এছাড়া ঢাকায় একটি সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরী তৈরির লক্ষ্যে গঠিত কমিটি ডিপিপি প্রণয়নের কাজ করছে। ডিপিপির কাজ শেষ হলে জমি অধিগ্রহণের প্রাথমিক কাজ শুরু হবে বলে আশা করা যায়। যদিও কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে এ কাজ বাধাগ্রস্থ হয়েছে। এই প্রতিবেদন দেখার পর আদালত পরবর্তী আদেশেল জন্য দিন ধার্য করেন।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল

মন্তব্য করুন: