বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, চৈত্র ১৪ ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫

ব্রেকিং

জাপানে কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধ খেয়ে দু’জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১০০ ঈদের ছুটির আগে সব সেক্টরের শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেয়ার সিদ্ধান্ত নোয়াখালীতে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয়কেন্দ্রে ইসরায়েলী হামলায় নিহত ১২ মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস সবচেয়ে বেশি বিকৃত করা হয়েছে শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে : শিক্ষামন্ত্রী ইসরায়েলের ট্যাংক গাজার নাসের হাসপাতাল ঘিরে রেখেছে গাজায় হতাহতের সংখ্যা অনেক বেশি: ইসরায়েলী প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর গাড়ীবহরে হামলা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি ইয়াছিন যশোরে গ্রেফতার গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক বোমাবর্ষণ; হতাহত অনেক

আন্তর্জাতিক

২৬ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে অযোধ্যার সেই মসজিদ নির্মাণের কাজ

 প্রকাশিত: ০০:১৪, ১৯ জানুয়ারি ২০২১

২৬ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে অযোধ্যার সেই মসজিদ নির্মাণের কাজ

চলতি মাসের (জানুয়ারির) ২৬ তারিখ হতে ভারতের অযোধ্যার মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হবে। প্রস্তাবিত এই মসজিদের কাজ শুরু হবে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে। নির্মাণ সূচনার অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন হবে। রবিবার এই নিয়ে বৈঠকে বসে ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন। বৈঠক শেষে তারা জানায়, সচেতনতা তৈরি করতে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে এই মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু হবে।

অযোধ্যার সোহাভাল তহসিলের ধান্নিপুর গ্রামে পাঁচ একর জমিতে প্রস্তাবিত মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে। গত বছর সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুসারে অযোধ্যায় একটি মসজিদ নির্মাণের দায়িত্ব দেয় ট্রাস্টকে। তারাই ইতিমধ্যেই মসজিদের নকশা প্রকাশ করেছে। মসজিদের পাশাপাশি একটি হাসপাতালও থাকবে। দ্বিতীয় দফায় হাসপাতালের আয়তন বাড়ানো হবে বলে জানা গিয়েছে। রবিবার বৈঠকের পর ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন জানায়, ওইদিন সকাল ৯টায় বৃক্ষরোপণ করা হবে। আয়কর ছাড়, বিদেশি অনুদান নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তি জারি করে ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, সবুজায়নই তাঁদের একমাত্র লক্ষ্য। বিশ্বের নানা দেশ থেকে চারা এনে লাগানো হবে। আমাজন অরণ্য এবং অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকেও এই চারা আনা হচ্ছে। এইভাবে সবুজায়ন, পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো হবে। মসজিদের পিছনে হাসপাতালের নকশা দেখা যাচ্ছে। মসজিদ কমপ্লেক্সের মধ্যে মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতাল, কমিউনিটি কিচেন এবং একটি লাইব্রেরি হবে। মসজিদের প্রধান আর্কিটেক্ট অধ্যাপক এস এম আখতার বলেন, মসজিদের কাঠামো হবে গোলাকার। একসঙ্গে ২ হাজার জন নামাজ পড়তে পারবে।

১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলে উগ্র হিন্দু করসেবকরা। এটা নিয়ে মামলার প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট তাদের রায়ে অযোধ্যার কোনো উল্লেখযোগ্য স্থানে বিকল্প মসজিদ তৈরির জন্য সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে পাঁচ একর জমি দিতে বলে। প্রথমে মসজিদ তৈরির জন্য জমি নেওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে মুসলিম সংগঠনগুলির মধ্যে কিছুটা মতবিরোধ ছিল। শেষ পর্যন্ত ধান্নিপুরে মসজিদ হবে বলে ঠিক হয়।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল

মন্তব্য করুন: