১ এপ্রিল এসএসসির ফরম পূরণ শুরু

  আগামী ১ এপ্রিল থেকে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার অনলাইন ফরম পূরণ শুরু হবে , যা টানা চলবে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত। আর বিলম্ব ফিসহ ১০ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ফরম পূরণ করা যাবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পর ৬০ কার্যদিবস ক্লাস করিয়ে এর পর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়ার কথা রয়েছে। যদিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কবে খুলবে তা এখনো অনিশ্চিত। গতকাল ঢাকা শিক্ষা বোর্ড এ সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়,
নির্বাচনী তথা টেস্ট পরীক্ষা ছাড়াই এবার সব শিক্ষার্থী আসন্ন এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। ২০২০ সালে অকৃতকার্য কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে চাইলে ১ এপ্রিলের মধ্যে নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধান বরাবর সাদা কাগজে আবেদন করতে হবে। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের তথ্য ও সম্ভাব্য তালিকা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে আগামী ২৮ মার্চ। এ তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীরা আগামী ১ থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত ফরম পূরণ করতে পারবে। বিলম্ব ফি ছাড়া অনলাইনে ফি জমা দেওয়ার সময় ৮ এপ্রিল শেষ হবে। আর বিলম্ব ফিসহ ১০ থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ফরম পূরণ করা যাবে। পরীক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা বিলম্ব ফিসহ ফি জমা দেওয়া যাবে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, ‘পরীক্ষা নেওয়ার অগ্রিম প্রস্তুতি হিসেবে আমরা ফরম পূরণের কাজটি সেরে রাখতে চাই। ফরম পূরণে যে সময় দেওয়া হয়েছে প্রয়োজনে সেটি আরও বাড়বে। শিক্ষা বোর্ডের সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হবে। যখনই সরকার পরীক্ষা নিতে চাইবে তখন পরীক্ষা নিতে পারব।’ নির্বাচনী পরীক্ষা প্রসঙ্গে বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, ‘এবার যে পরিস্থিতি তাতে নির্বাচনী পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না। তাই যারা ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে ইচ্ছুক, তারা ফরম পূরণ করে সরাসরি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। তবে যখনই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হবে তখন ৬০ দিন ক্লাস করতে হবে। ওই ৬০ দিন যা পড়ানো হবে সেখান থেকে প্রশ্ন করা হবে এবং সে অনুযায়ী করা হবে মূল্যায়ন।
জানা গেছে, এবার বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এসএসসির ফরম পূরণ বাবদ সর্বোচ্চ ১৯৭০ টাকা, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীদের থেকে সর্বোচ্চ ১৮৫০ টাকা এবং মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ১৮৫০ টাকা ফি নিতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলেছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। এ ছাড়া এসএসসি পরীক্ষার ফি বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পত্র প্রতি ১০০ টাকা, ব্যবহারিকের ফি বাবদ পত্রপ্রতি ৩০ টাকা, একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টের ফি বাবদ পরীক্ষার্থী প্রতি ৩৫ টাকা, মূল সনদ বাবদ শিক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা, বয় স্কাউট ও গার্লস গাইড ফি বাবদ ১৫ টাকা এবং জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ফি বাবদ পরীক্ষার্থী প্রতি ৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থী প্রতি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ টাকা। এ ছাড়া জিপিএ উন্নয়ন পরীক্ষার্থীদের তালিকাভুক্তি ফি ১০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এক বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পর এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ৬০ দিন ক্লাস করানো হবে। এর পর ১৫ দিন বিরতি দিয়ে নেওয়া হবে পরীক্ষা। এ লক্ষ্যে পরিমার্জিত সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রকাশ করেছে শিক্ষা বোর্ড।