শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ৬ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

সৌদি রাজ পরিবারের চলমান তীব্র সংকট

 প্রকাশিত: ০০:৩০, ১০ মে ২০২০

সৌদি রাজ পরিবারের চলমান তীব্র সংকট

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক উপপরিচালক মাইকেল পেজ বলেন, কোনো ধরনের আইনি ভিত্তি ছাড়াই সৌদিতে আটকরয়েছেন শত শত প্রিন্স। সম্প্রতি এই তালিকায় প্রিন্স ফয়সাল বিন আবদুল্লাহকেও যুক্ত করা হলো।

 

সৌদি আরবে সম্প্রতি প্রিন্স ফয়সাল বিন আবদুল্লাহকে গ্রেফতারের পর তাকে পরিবার থেকে সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ শনিবার এমন দাবি করেছে।

 

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এর আগে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে তাকে আটক করা হয়েছিল। কিন্তু ২০১৭ সালের শেষ দিকে তিনি ছাড়া পান।

 

সৌদি রাজপরিবারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত একটি সূত্রের বরাতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানায়, পরলোকগত বাদশাহ আবদুল্লাহর ছেলে প্রিন্স ফয়সালকে গত ২৭ মার্চ গ্রেফতার করে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। তখন রিয়াদের উত্তরাঞ্চলের পারিবারিক বাসভবনে করোনা প্রাদুর্ভাব থেকে বাঁচতে তিনি সেলফ-আইসোলেশনে ছিলেন।

 

তবে তাকে আটকের সত্যতা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করতে পারেনি রয়টার্স।

 

এর আগে গত মার্চে বাদশাহ সালমানের ভাই প্রিন্স আহমেদ বিন আবদুল্লাহ ও সাবেক ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন নায়েফকে আটক করে সৌদি কর্তৃপক্ষ।

 

২০১৭ সালে প্রাসাদ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মোহাম্মদ বিন নায়েফকে হটিয়ে সিংহাসনের উত্তরসূরি হন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।

 

রাজপরিবার সম্পৃক্ত সূত্র জানায়, সালমানের সিংহাসন ত্যাগ কিংবা মৃত্যুর পর যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের বাদশাহ হওয়ার ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন রাজপরিবারের ভেতরে আনুগত্য নিশ্চিত করতে নিবৃত্তিমূলক চেষ্টার অংশ এই গ্রেফতার।মার্চের অভিযানের সাথে ফয়সালের গ্রেফতারের সম্পর্ক রয়েছে কিনা; তা এখনো জানা সম্ভব হয়নি। তখন আহমেদের ছেলে নায়েফ ও মোহাম্মদ বিন নায়েফের ভাই নওয়াফকেও আটক করা হয়।

 

যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান নিজের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতেই এই গ্রেফতার অভিযান চালাচ্ছেন বলে সমালোচকদের অভিযোগ।তবে কাউকে বেআইনিভাবে গ্রেফতার করা হচ্ছে না বলে দাবি করে আসছে সৌদি আরব। এইচআরডব্লিউ জানায়, প্রিন্স ফয়সালকে কোথায় রাখা হয়েছে, তার অবস্থা কী, এ সম্পর্কে কোনো তথ্য জানা সম্ভব হয়নি।

 

২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে প্রকাশ্যে সৌদি কর্তৃপক্ষের কোনো সমালোচনা করেননি প্রিন্স ফয়সাল। তিনি হৃদরোগী হওয়ায় তার স্বাস্থ্য নিয়ে পরিবার উদ্বিগ্ন বলে খবরে জানানো হয়েছে। 

অনলাইন নিউজ পোর্টাল

মন্তব্য করুন: