মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ৩ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ইসলাম

সৃষ্টিজগতের ব্যতিক্রম মানব উমার রাঃ`র আবেগঘন এক মুহূর্ত

 প্রকাশিত: ১০:২৭, ১২ আগস্ট ২০২১

সৃষ্টিজগতের ব্যতিক্রম মানব উমার রাঃ`র আবেগঘন এক মুহূর্ত

যার আত্মমর্যাদাকে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্মান করতেন তার নাম উমার। রাসূল সাঃ পবিত্র জবান থেকে জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্ত ব্যক্তির নাম উমার। যার রাস্তায় শয়তান হাঁটে না তার নাম উমার। যার নামটা মনে হলে অন্তর কাঁপে তার নাম উমার। দুনিয়ার কাউকে পরোয়া করেনা তার নাম উমার। শূল-ফাঁসির কোনোই দাম দেয়না তার নাম উমার। এক পা স্বার্থে ফেলেনা তার নাম উমার (রাযিআল্লাহু আনহুম) 


যার সম্পর্কে রাসূল সাঃ বলেছেন, আমার পরে কেউ নবী হলে উমার হতো। 
তিনি বলেছেন, উমার যেদিকে যায় হক তার পেছনে পেছনে যায়। 

 

সেই মহামানবের খিলাফতের প্রথম দিকে হযরত আবু উবাইদা বায়তুল মাল দেখাশুনা করতেন। ঈদের আগের দিন খলীফার স্ত্রী বললেন, ‘আমাদের জন্য ঈদের নতুন কাপড় না হলেও চলবে, কিন্তু ছোট বাচ্চাটি ঈদের নতুন কাপড়ের জন্য কাঁদছে’।

 

খলীফা বললেন, ‘আমার নতুন কাপড় কেনার সামর্থ্য নেই’। খলীফা পত্নী উম্মে কুলসুম খলীফার আগামী মাসের বেতন থেকে অগ্রিম নেয়ার জন্য তাঁকে অনুরোধ করলেন।

 

খলীফা উমর (রাঃ) হযরত আবু উবাইদাকে খলীফার এক মাসের অগ্রিম বেতন দেয়ার জন্য চিঠি পাঠালেন।

 

সমগ্র মুসলিম জাহানের খলীফা যিনি, যিনি অর্ধ পৃথিবী শাসন করছেন, তাঁর এ ধরণের চিঠি পাঠ করে হযরত আবু উবাইদার চোখে পানি এসে গেল। উম্মতে আমীন হযরত আবু উবাইদা (রাঃ) বাহককে টাকা না দিয়ে সিদ্ধান্ত চেয়ে চিঠি লিখলেন, ‘আমীরুল মুমিনীন! অগ্রিম বেতন বরাদ্দের জন্য দুটি বিষয়ে আপনাকে ফয়সালা দিতে হবে। প্রথমত আগামী মাস পর্যন্ত আপনি বেঁচে থাকবেন কি না?

 

দ্বিতীয়ত, বেঁচে থাকলেও মুসলমানেরা আপনাকে খিলাফতের দায়িত্বে বহাল রাখবে কিনা?’

 

চিঠি পাঠ করে হযরত উমর এত কেঁদেছেন যে তাঁর চোখের পানিতে দাঁড়ি ভিজে গেলো। আর হাত তুলে হযরত আবু উবাইদার জন্য দোয়া করলেন,

‘আল্লাহ আবু উবাইদার উপর রহম কর, তাঁকে হায়াত দাও’।

 

স্বয়ং রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,

‘প্রত্যেক জাতির একজন বিশ্বস্ত ব্যক্তি আছেন, আমার উম্মতের বিশ্বস্ত ব্যক্তি হচ্ছেন আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহ’।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল

মন্তব্য করুন: