শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, চৈত্র ১৫ ১৪৩০, ১৯ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

যত্রতত্র এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রিতে বাড়ছে ঝুঁকি

 প্রকাশিত: ১৫:২০, ৩১ অক্টোবর ২০২০

যত্রতত্র এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রিতে বাড়ছে ঝুঁকি

নীতিমালা লঙ্ঘন করে ঝালকাঠি জেলায় যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার ও পেট্রল। অনুমোদিত পেট্রল পাম্প ছাড়া পেট্রল-জাতীয় দাহ্য পদার্থ বিক্রির বিধান নেই।

কিন্তু তা উপেক্ষা করে রাস্তাঘাট, হাট-বাজার এলাকা ও সড়কের মোড়ে এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের পাশাপাশি জারিকেন ও বোতলে পেট্রলসহ দাহ্য পদার্থ বিক্রি হচ্ছে। তবে কোনো দফতরেই নেই গ্যাস এবং জ্বালানি তেল বিক্রি দোকানের সঠিক কোনো তথ্য। 

সরকারি বিধি মোতাবেক গ্যাস সিলিন্ডার, পেট্রল, মবিল বিক্রির জন্য কমপক্ষে পাকা মেঝেসহ আধাপাকা ঘর, ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপণ সক্ষমতা সংক্রান্ত লাইলেন্সসহ অগ্নিনির্বাপণ সিলিন্ডার এবং মজবুত ও ঝুঁকিমুক্ত সংরক্ষণাগার থাকতে হবে।

একজন ব্যবসায়ী ওই সব শর্ত পূরণ করলেই কেবল বিস্ফোরক দ্রব্য বিক্রির নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্য বিবেচিত হবেন। বিস্ফোরকদ্রব্য বিক্রির লাইসেন্স ছাড়া কোনো দোকানে দাহ্য পদার্থ বিক্রি করা যাবে না। কিন্তু এ আইনের তোয়াক্কা করছেন না স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

যত্রতত্র গড়ে ওঠা দাহ্য পদার্থ বিক্রি না করতে ডিসি বরাবরে আবেদন করেছে নতুন কলেজ রোডের একাধিক বাসিন্দা। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে পরিবহন সংখ্যাও। এ কারণে জ্বালানি তেলের চাহিদাও বাড়ছে দিন দিন। এ সুযোগে সরকারি আইনের তোয়াক্কা না করে বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই গাড়ির জ্বালানি তেল হিসেবে বিভিন্ন দাহ্য পদার্থ বিক্রি করছে। জ্বালানি তেল বিক্রির জন্য বিস্ফোরক লাইসেন্স, ফায়ার লাইসেন্স, নো অবজেকশন সার্টিফিকেট, টিআইএন, ট্রেড লাইসেন্স এবং অগ্নি নির্বাপকযন্ত্র রাখার নিয়ম থাকলেও অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানই মানছে না কোনো নিয়ম। শুকনো মৌসুমের শুরুতেই ব্যবস্থা নেয়া না হলে নারায়ণগঞ্জের মতোই ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। 

অনলাইন নিউজ পোর্টাল

মন্তব্য করুন: