শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ১২ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ইসলাম

শেষের ১০ রমাদান প্রিয় নবীর বিশেষ আমল

 প্রকাশিত: ০৮:৫১, ৪ মে ২০২১

শেষের ১০ রমাদান প্রিয় নবীর বিশেষ আমল

 আল্লাহর দেওয়া ১২ মাসের মধ্যে পবিত্র মাহে রমজান অতি গুরুত্বপূর্ণ।  পবিত্র রমজানে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইবাদতের মাত্রা খুব বেশি বাড়িয়ে দিতেন। রাত জেগে আমল করতেন।  এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলো হলো রমজানের শেষ দশক। কেননা রাসুল (সা.)-এর বিভিন্ন হাদিস দ্বারা বোঝা যায়, রমজানের শেষ দশকেই লাইলাতুল কদর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই প্রিয় নবী (সা.) শেষ দশকে বিশেষ কিছু আমল করতেন। নিম্নে তা তুলে ধরা হলো—

 হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) শেষ দশকে ইবাদতের মাত্রা এত বেশি বাড়িয়ে দিতেন, যেমনটি অন্য সময় করতেন না। (আস সুনানুল কুবরা, হাদিস : ৮৩৫১; মুসলিম, হাদিস : ১১৭৫)
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘যখন রমজানের শেষ ১০ রাত আসত, তখন নবী করিম (সা.) কোমরে কাপড় বেঁধে নেমে পড়তেন (বেশি বেশি ইবাদতের প্রস্তুতি নিতেন) এবং রাত জেগে থাকতেন। আর পরিবার-পরিজনকেও তিনি জাগিয়ে দিতেন।’ (বুখারি, হাদিস : ১০৫৩)

পরিবার-পরিজনকে জাগিয়ে তোলা : রমজানের শেষ দশকে রাসুলুল্লাহ (সা.) সারা রাত জেগে থাকতেন। শেষরাতে পরিবার-পরিজনকে জাগিয়ে দিতেন। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, রমজানের শেষ দশক এলে রাসুল (সা.) কোমর শক্ত করে বেঁধে নিতেন এবং রাত জেগে থাকতেন ও পরিবার-পরিজনকে জাগিয়ে দিতেন। (বুখারি, হাদিস : ২০২৪)

তাহাজ্জুদের জন্য অন্যকে জাগানোর ব্যাপারে রাসুল (সা.)-এর পক্ষ থেকে তেমন জোর দেওয়া না হলেও রাসুল (সা.) তাঁর প্রিয় কন্যা ফাতেমা (রা.)-এর দরজায় নামাজের জন্য ডেকেছেন এমন বর্ণনাও পাওয়া যায়। হজরত আলী ইবনে আবি তালিব (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা.) এক রাতে তাঁর কন্যা ফাতেমা (রা.)-এর কাছে এসে বলেন, ‘তোমরা কি নামাজ আদায় করছ না?’ (বুখারি, হাদিস : ১১২৭)

প্রতি রমজানে ইতিকাফ : শেষ দশকের ইতিকাফের গুরুত্ব অপরিসীম। আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ইতিকাফ করেছেন, সাহাবায়ে কিরামও করেছেন। তাই আমাদের জন্যও ইতিকাফ করা সুন্নত। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘ইন্তেকাল পর্যন্ত রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করেছেন। এরপর তাঁর স্ত্রীরাও ইতিকাফ করেছেন।’ (বুখারি, হাদিস : ১৮৬৮; মুসলিম, হাদিস : ২০০৬)

লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান : রমজানের শেষ দশকে শান্তির বার্তা নিয়ে অবতীর্ণ হয়েছে মহাগ্রন্থ আল-কোরআন। মহান আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আমি একে নাজিল করেছি মহিমান্বিত রাতে (লাইলাতুল কদর)। আপনি কি জানেন মহিমান্বিত রাত কী? মহিমান্বিত রাত হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ। সেই রাতে প্রতিটি কাজের জন্য ফেরেশতারা এবং রুহ তাদের প্রতিপালকের আদেশক্রমে অবতীর্ণ হয়। সেই রাতে শান্তিই শান্তি, ফজর হওয়া পর্যন্ত।’ (সুরা : কদর, আয়াত : ১-৫)

 

অনলাইন নিউজ পোর্টাল

মন্তব্য করুন: