শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ৭ ১৪৩১, ১১ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

করোনাকালে অশ্রুবর্ষণ নিয়ে এলো আষাঢ়

 প্রকাশিত: ০৯:২২, ১৫ জুন ২০২১

করোনাকালে অশ্রুবর্ষণ নিয়ে এলো আষাঢ়

হরেক রঙের মাস আষাঢ়। বিরামহীন বৃষ্টি, কালো আকাশ,
সবুজ প্রকৃতি এই তিনটি চিত্রের একটি ফ্রেম আষাঢ়। চৈত্র থেকেই বৃষ্টি শুর হয় তবে আষঢ়ে বর্ষা শুরু হয়, তৃপ্তি অনুভূত হয় প্রত্যেক বর্ষা প্রেমিকের তরুণ মনে, পূর্ণতা পায় নান্দনিক সবুজ প্রকৃতি,রূপ জৌলস ফুটে উঠে গ্রাম বাংলার অলিতে গলিতে মাটে প্রান্তরে। আষাঢ়ের জমাটবদ্ধ কালো মেঘের দক্ষিণা আকাশ আবার কখনও বৃষ্টিস্নাত প্রকৃতির প্রেমময় আবেদন।

আষাঢ় মাসের নাম এলেই কবি গুরুর বিখ্যাত কবিতার কথা মনে হয়। “নীল নবঘনে আষাঢ় গগণে তিল ঠাঁই আর নাহিরে,
ওগো আজ তোরা যাসনে ঘরের বাহিরে।”
আষাঢ় আসে ভারি বর্ষণ নিয়ে।ঘোমট আকাশ, রিমঝিম বাদল দিন, টিনের চালে বৃষ্টির টপ টপ শব্দ নিয়ে।আষাঢ় আসে বন্যার আগমনী বার্তা নিয়ে।অথৈ জলে ভরা প্রান্তর,পানি কেটে নৌকার প্রাণবন্ত বয়ে চলা,ঢেউয়ের উপর বিকেলের রাঙা সূর্যের ললাট আভার নাচন কি এক অদ্ভুত অনুভূতির সৃষ্টি করে। ভালবাসার পাঠ শেখাতে আষাঢ় আসে আমাদের মন মানসে।

আষাঢ় নিয়ে বাংলা সাহিত্যে যত মাতামাতি,যত কাব্য কিংবা সাহিত্য রচিত হয়েছে বাংলার আর কোন মাস নিয়ে এত শৈল্পিক আলোচনা হয় নি। চিরপ্রেমিক কবি নজরুল ছিলেন বর্ষা প্রেমের অনন্ত পূজারী। ‘শাওন রাতে যদি স্মরণে আসে মোরে বাহিরে ঝঢ় বহে, নয়নে বারি ঝরে।’ প্রেমিক-প্রেমিকার কাছে এ গানটি প্রেমের বিখ্যাত গান হিসাবে বিবেচিত, একই সঙ্গে এটা বর্ষাগীতও বটে।

নজরুল যে বর্ষা প্রেমে মাতোয়ারা ছিলেন, ছাঁপ পাওয়া যায় এই গানটিতেও
‘রিম ঝিম, রিম ঝিম ঝিম ঘন দেয়া বরষে, কাজরী বাহিয়া চলে পুর-নারী হরষে।’ গানখানি নজরুলের বর্ষার বিখ্যাত গানগুলোর একটি।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল

মন্তব্য করুন: