শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ১২ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

লিভিং ঈগলস- ইসরাইলের যমদূত এক বাঙালি যোদ্ধার গল্প

 প্রকাশিত: ১২:৫৭, ১৭ মে ২০২১

গত এক সপ্তাহ ধরে সংঘাতে লিপ্ত ইসরাইল-ফিলিস্তিন। মূলত দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর বর্বরোচিত হামলার পালটা জবাব দিচ্ছে ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। এবারের সংঘাত মূলত রমজান মাসে পবিত্র আল আকসায় মুসল্লিদের নামাজে বাধা দেয়ার পর থেকে তীব্রতর হয়।
এবার গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইল অভিমুখে এখন পর্যন্ত সহস্রাধিক রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে হামাস, যার অধিকাংশই আয়রন ডোম প্রতিরোধ ব্যবস্থা দিয়ে প্রতিহত করেছে ইসরাইল। এদিকে ইসরাইলি বিমান বাহিনীর ছোড়া গোলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে ফিলিস্তিন। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই স্মরণ করেছেন ১৯৬৭ সালের তৃতীয় আরব-ইসরাইল যুদ্ধের ইতিহাস, যে যুদ্ধে ইসরাইলের যমদূত হয়ে হাজির হয়েছিলেন বাংলাদেশের সেনা কর্মকর্তা সাইফুল আজম। সাইফুল আজম পৃথিবীর ইতিহাসের একমাত্র যোদ্ধা যিনি একক ব্যক্তি হিসেবে সর্বোচ্চ সংখ্যক ইসরাইলি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার অনন্য রেকর্ড গড়েছেন।

কে এই সাইফুল আজম?
সাইফুল আজম- একজন দুঃসাহসী সম্মুখ সমর যোদ্ধার নাম। বৈমানিক হিসেবে অসামান্য অবদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্র বিমানবাহিনী বিশ্বের ২২ জনকে ‘লিভিং ঈগলস’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। তাদের মধ্যে সাইফুল আজম অন্যতম। দেশের এই কৃতি সন্তানের ঝুলিতে এমন অনেক রেকর্ড আছে, যা বিশ্বের অন্য কারো নেই।


পৃথিবীর ইতিহাসে একমাত্র ফাইটার পাইলট সাইফুল আজম, যিনি চারটি দেশের বিমান বাহিনীর সৈন্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দেশগুলো হলো- পাকিস্তান, জর্ডান, ইরাক ও তার মাতৃভূমি বাংলাদেশ। এমনকি আটটি ভিন্ন দেশের আট বাহিনীর বিমান পরিচালনা করেছেন তিনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান, ইংল্যান্ড, জর্ডান, ইরাক, রাশিয়া, চীন ও নিজ মাতৃভূমি বাংলাদেশের হয়ে বিমান চালিয়েছেন আজম।

ভারতীয় ও ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখ সমর জয়ের কৃতিত্ব রয়েছে সাইফুল আজমের। তবে তার সবচেয়ে বিরলতম অর্জন হলো, ইতিহাসের একমাত্র ব্যক্তি হিসেবে তিনটি ভিন্ন দেশ থেকে লড়াইয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ সামরিক সম্মাননা প্রাপ্তি। এছাড়া আরো অসংখ্য অনন্য অর্জন আছে তার।

পাক-ভারত যুদ্ধে সাইফুল আজম
১৯৬৫ সালে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের যুদ্ধ শুরু হয়। এক অর্থে সেই বছরের সেপ্টেম্বরে পাক-ভারত যুদ্ধ ছিল দুটি দেশের মধ্যে এক বছরে সংঘটিত তিনটি বিবদমান ঘটনার ক্রম পরিণতি। তখন প্রশিক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন সাইফুল আজম। কিন্তু হঠাৎ ডাক পড়ে, যুদ্ধে যেতে হবে!


পাকিস্তান বিমান বাহিনীর ১৭ নম্বর স্কোয়াড্রনের হয়ে যুদ্ধে যোগ দেন সাইফুল আজম। তিনি চড়ে বসেন ‘এফ-৮৬ স্যাবরজেট’ জঙ্গি বিমানে। সেটি দিয়েই ফাইটার পাইলট আজম যুদ্ধে তার কৃতিত্ব প্রদর্শন করেন। ১৯ সেপ্টেম্বর একটি সফল গ্রাউন্ড অ্যাটাকের পর ফিরে আসার সময় অপ্রত্যাশিতভাবে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয় সাইফুল আজমের জঙ্গি বৈমানিক দল।

বাংলা মায়ের সন্তান বলে কথা, তার জবাব ঠিকই দিয়েছেন আজম। আকাশপথের মুখোমুখি যুদ্ধে ‘ফোল্যান্ড নেট’ বিমানকে পর্যুদস্ত করা সে সময় এক বিরল ঘটনা ছিল। সেই কাজটিই করেছেন তিনি। ভারতীয় সেই বিমান থেকে ফ্লাইট অফিসার বিজয় মায়াদেবকে যুদ্ধবন্দি হিসেবে আটক করা হয়। এই কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ সাইফুল আজমকে পাকিস্তানের তৃতীয় সর্বোচ্চ সামরিক সম্মাননা ‘সিতারা-ই-জুরাত’-এ ভূষিত করা হয়।


ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের একবছরও হয়নি। জর্ডানের বিমান বাহিনী ‘রয়্যাল জর্ডানিয়ান এয়ার ফোর্স’-এ পাকিস্তান বিমান বাহিনীর প্রতিনিধি হিসেবে যান ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট সাইফুল আজম ও ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট সারওয়ার শাদ। মূলত আরব দেশের অনুরোধে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর ক’জন পাইলটকে পাঠানো হয় জর্ডান, সিরিয়া, ইরাক ও মিশরে। এর মধ্যে আজম ও শাদের দায়িত্ব ছিল জর্ডানের বিমান বাহিনীতে উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করা।

 

পরের বছরই অজেয় ও ভয়ংকরতম প্রতিপক্ষ ইসরায়েলের বিপক্ষে যুদ্ধে জড়ায় আরব দেশগুলো। এই যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী প্রধান চার আরব রাষ্ট্র হলো- মিশর, জর্ডান, সিরিয়া ও ইরাক। শুরুতেই মিশরের ওপর একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে ইসরায়েলি বাহিনী; ফলাফল- দেশটির বিমান বাহিনী একেবারেই ভেঙে পড়ে।

৫ জুন, ১৯৬৭ সাল। সময় তখন বেলা ১২টা বেজে ৪৮ মিনিট। চারটি ইসরায়েলি জঙ্গি বিমান ধেয়ে আসছে জর্ডানের মাফরাক বিমান ঘাঁটির দিকে। ওই মুহূর্তে ইসরায়েলি সুপারসনিক ‘ডাসল্ট সুপার মিস্টেরে’ জঙ্গি বিমানগুলো আরবের আকাশে ভয়ংকরতম আতংকেরর নাম। তবু তাদের পথ রোধ করতে মাফরাক বিমান ঘাঁটি থেকে বুক চিতিয়ে উড়াল দিল চারটি ‘হকার হান্টার’ জঙ্গি বিমান। শক্তির দিক থেকে ইসরাইলি বিমানের কাছে সেগুলো কিছুই নয়। মুহূর্তেই উড়ে যেতে পারে এক আঘাতে, তাতেই গুঁড়িয়ে যাবে তাদের প্রতিরোধের স্বপ্ন।

আত্মবিশ্বাস আর দক্ষ সৈনিকরা যেন ইতিহাসের পাতা উল্টে দিলো। জর্ডানের একটি হকার হান্টারের পাইলট তার ঈগল পাখির নিশানায় ঘায়েল করলেন দুই ইসরায়েলি সেনাকে। অব্যর্থ আঘাতে ভূপাতিত করে ফেললেন একটি ইসরায়েলি ‘সুপার মিস্টেরে’। আরেক আঘাতে প্রায় অকেজো করে দিলেন তাদের আরেকটি জঙ্গি বিমান, ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে সেটি ফিরে গেল ইসরায়েলি সীমানায়।

জানলে বিস্মিত হবেন, জর্ডান বিমান বাহিনীর সেই দুঃসাহসী যোদ্ধা পাইলটটি ছিলেন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট সাইফুল আজম। একক ব্যক্তি হিসেবে আকাশপথের যুদ্ধের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক ইসরায়েলি বিমান ভূপাতিত করার রেকর্ডটিও এই যোদ্ধার। পরবর্তীতে এই কৃতিত্বের পুরস্কারস্বরূপ জর্ডান থেকে তাকে ভূষিত করা হয় ‘হুসাম-ই-ইস্তিকলাল’ সম্মাননায়।


যুদ্ধকীর্তি এখানেই শেষ নয়...
এর দু’দিন পরই ডাক এলো ইরাকের বিমানঘাঁটি থেকে। ওই বার্তায় সেখানকার অধিনায়ক জানান- ইরাকের বিমান বাহিনীর ওপর হামলা করতে যাচ্ছে ইসরায়েল। আজম এবং আরো ক’জন পাইলট জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন। খবর পেয়েই অধিনায়ক হয়ে পশ্চিম ইরাকে পৌঁছান আজম। ইরাকের ‘এইচ-থ্রি’ ও ‘আল-ওয়ালিদ’ ঘাঁটি রক্ষা করাই হলো মূল কাজ। পুরো মিশনের দায়িত্ব পেলেন সাইফুল আজম ও আরেক পাইলট ইহসান শার্দুম।

সেদিন ইরাকি দলের সামনে ছিল ইসরায়েলের চারটি ‘ভেটোর বোম্বার’ ও দু’টি ‘মিরেজ থ্রিসি’ জঙ্গি বিমান। এগুলো আক্রমণ করতে এসেছিল ইরাকের ‘এইচ-থ্রি’ বিমানঘাঁটির ওপরে। আকাশযুদ্ধে ইরাকি দল শুরু থেকেই শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলল। ইসরায়েলি ক্যাপ্টেন গিডিওন দ্রোর একটি ‘মিরেজ থ্রিসি’ বিমানে ছিলেন। তার গুলিতে নিহত হন আজমের উইংম্যান। এমনকি দুটি ইরাকি বিমানও ভূপাতিত হয়।

ফের জবাব দেন আজম। দ্রোরের ‘মিরেজ থ্রিসি’-ই ছিল আজমের টার্গেট। নিজ দক্ষতায় সফলও হন তিনি। ক্যাপ্টেন দ্রোর বাঁচার উপায় না পেয়ে তার বিমান থেকে ইজেক্ট করে ধরা দেন, আটক হন যুদ্ধবন্দি হিসেবে। এদিকে চারটি ‘ভেটোর’ বোমারু বিমানের সামনেও বাধা হয়ে দাঁড়ায় আজমের হকার হান্টার। ঈগলের সুতীক্ষ্ণ নজরের মতো আজমের নির্ভুল নিশানায় ধ্বংস হয় একটি ভেটোর বিমান। সেটিতে থাকা ইসরায়েলি ক্যাপ্টেন গোলান নিরাপদে ইজেক্ট করে ধরা দেন যুদ্ধবন্দী হিসেবে। ইসরায়েলি বিমান দল এখানেও ব্যর্থ হয়। উল্টো ইরাকের হাতে রয়েছে দুইজন যুদ্ধবন্দি। তাদের বিনিময়ে ইসরায়েলের হাতে আটক জর্ডান ও ইরাকের সহস্রাধিক সৈন্যকে মুক্ত করা হয়। ইরাকি বাহিনীর হয়ে অনন্য যুদ্ধ নৈপুণ্যের জন্য তাকে ভূষিত করা হয় ‘নাত আল-সুজাহ’ সামরিক সম্মাননায়।

 

আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর সাইফুল আজম পাকিস্তানে ফিরে আসেন। ১৯৬৯ সালে ‘শেনিয়াং এফ-৬’ জঙ্গি বিমানের ফ্লাইট কমান্ডার হন আজম। এরপর পাকিস্তান বিমান বাহিনীর ‘ফাইটার লিডারস স্কুল’ এর ফ্লাইট কমান্ডারের দায়িত্ব নেন তিনি। বলে রাখা ভালো, বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমানের প্রশিক্ষক ছিলেন সাইফুল আজম।

১৯৭১ সাল। সাইফুল আজম সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলেন মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয়ার। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানিরা জানতো এই অকুতোভয় যোদ্ধার দেশপ্রেমের কথা। তাই সেই বছরের শুরুতেই আজমকে ‘গ্রাউন্ডেড’ করে রাখে বিমান বাহিনী। ‘গ্রাউন্ডেড’ মানে হলো, একজন পাইলটকে সাময়িকভাবে উড্ডয়নে নিষেধাজ্ঞা জারি করা।

৬ মার্চের আগেই পরিবারকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেন সাইফুল আজম। তা থেকেই অনুমান করা যায় যে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের সকল প্রস্তুতিই তার ছিল এবং তিনি বিমান বাহিনী হতে বিমান ছিনতাইয়েরও পরিকল্পনা করেন। কিন্তু তা আর সফল হয়নি। তার ছাত্র বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ‘টি-৩৩’ জঙ্গি বিমান নিয়ে পালাতে গিয়ে শহীদ হন।

এরপর সাইফুল আজমকে গ্রেফতার করা হয় এবং এই ঘটনার সঙ্গে তাকে অভিযুক্ত করে ২১ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। তাকে ফাঁসি দেয়ার জন্যও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে খ্যাতিমান বিমান অফিসার হওয়ার কারণে পাকিস্তান সরকার সে অবস্থান থেকে সরে আসে।


সাইফুল আজমের জন্ম ১৯৪১ সালে পাবনা জেলায়। বাবার কর্মসূত্রে তার শৈশবের কিছু সময় কেটেছিল কলকাতায়। ১৯৪৭ এর দেশভাগের সময় তার পরিবার ফিরে আসে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে। শিক্ষালাভের জন্য ১৪ বছর বয়সে সাইফুল আজমকে পশ্চিম পাকিস্তানে পাঠানো হয়। ১৯৫৮ সালে তিনি ভর্তি হন পাকিস্তান এয়ার ফোর্স ক্যাডেট কলেজে। দু’বছর পর ১৯৬০ সালে তিনি পাইলট অফিসার হয়ে শিক্ষা সম্পন্ন করেন। ওই বছরই জেনারেল ডিউটি পাইলট হিসেবে কমিশনপ্রাপ্ত হয়ে সাইফুল আজম যোগ দেন পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে।

সাইফুল আজমের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ হয় মার্কিন সেনাদের প্রশিক্ষণ বিমান ‘সেসনা টি-৩৭’ বিমান দিয়ে । এরপর তিনি প্রশিক্ষণ নিতে যান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনার লুক এয়ারফোর্স বেইসে। প্রশিক্ষণ শেষে ১৯৬৩ সালে দেশে ফিরে সাইফুল আজম যোগ দেন পাকিস্তান বিমানবাহিনীর ঢাকার কেন্দ্রে। পরে তিনি প্রশিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান করাচির মৌরিপুরের বিমান ঘাঁটিতে। এখানেই সাইফুল আজম ছিলেন বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমানের প্রশিক্ষক।


রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা পেয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে পৃথিবীর মানচিত্রে আত্মপ্রকাশ করার পরই দেশের মাটিতে পা রাখেন সাইফুল আজম। ১৯৭৭ সালে তিনি উইং কমান্ডার পদে উন্নীত হন। তাকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ঢাকা ঘাঁটির অধিনায়কত্ব প্রদান করা হয়। বিমান বাহিনীতে ডিরেক্টর অব ফ্লাইট সেফটি ও ডিরেক্টর অব অপারেশনস এর দায়িত্বও পালন করেন তিনি। অবশেষে ১৯৭৯ সালে অবসর নেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন হিসেবে।

আশির দশকে তিনি দু’বার সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। তাছাড়া পরবর্তীতে তিনি বিএফডিসি'র পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১-৯৬ সালে পাবনা-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্যও নির্বাচিত হন আজম। এরপর নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘নাতাশা ট্রেডিং এজেন্সি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।


লড়াকু এই আকাশযোদ্ধা গত বছরের ১৪ জুন ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) আইসিইউ-তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।

বাংলাদেশ যেসব গুণীজনের হাত ধরে বহির্বিশ্বে খ্যাতি ও পরিচিত লাভ করেছে, তাদের অনেকের সম্পর্কেই হয়তো কম জানি। তাদেরই একজন সাইফুল আজম। যিনি আকাশ পথে দুঃসাহসিক সব অভিযান পরিচালনা করে বিশ্বের বিখ্যাত সব সামরিক খেতাব লাভ করাসহ বাংলাদেশকে তুলে ধরেছেন অনন্য উচ্চতায়।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল

মন্তব্য করুন: