বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ১২ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি

লাগাম নেই ভোগ্য পণ্যের বাজারে

 প্রকাশিত: ১১:০১, ১৮ মার্চ ২০২১

লাগাম নেই ভোগ্য পণ্যের বাজারে

রমজানকে সামনে রেখে এরই মধ্যে অস্থির হয়ে উঠেছে ভোগ্য পণ্যের বাজার। কম আমদানি কিংবা কৃত্রিম সংকটের অজুহাত তুলে প্রতিদিনই বাড়ানো হচ্ছে নিত্যপণ্যের বাজার। আমদানি স্বল্পতার সুযোগে ডিওকেন্দ্রিক অতিমুনাফার কারণে চাল, চিনি ও ভোজ্য তেলের দাম গত কয়েক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে চলে গেছে। এবার অসাধু ব্যবসায়ীরা রমজানকেন্দ্রিক বাজার মনিটরিং শুরুর আগেই দাম বাড়ানোর ভিন্ন কৌশলে হাঁটছেন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

খাতুনগঞ্জের একাধিক ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অতীতে শবেবরাতের আগ মুহূর্ত থেকেই রমজানের ভোগ্য পণ্য বিকিকিনি শুরু হতো। কিন্তু এবারে প্রশাসনের নজরদারি এড়াতে রমজানের প্রায় দুই মাস আগেই ভোগ্য পণ্যের বিকিকিনি শুরু করেছেন আমদানিকারক ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা। এতে গত এক মাস থেকে রমজানে প্রয়োজনীয় বেশির ভাগ ভোগ্য পণ্যের দাম আগের চেয়ে বেড়ে গেছে এবং এখনো সব পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী।

দুই দিনের ব্যবধানে খাতুনগঞ্জে পাইকারি পর্যায়ে ছোলার দাম মানভেদে ১৩০-২৫০ টাকা পর্যন্ত বড়েছে। অর্থাৎ কেজিতেই বেড়েছে প্রায় ছয় টাকা। গত সোমবার নিম্নমানের অস্ট্রেলিয়ার ছোলা বিক্রি হয়েছে দুই হাজার ২০ টাকায়, অথচ বুধবার দুই হাজার ১৫০ টাকা করে বিক্রি হতে দেখা গেছে। ভালো মানের ছোলা দুই হাজার ২৫০ টাকা থেকে বেড়ে দুই দিনের ব্যবধানে বুধবার বিক্রি হয়েছে দুই হাজার ৫০০ টাকায়। আর মিয়ানমারের ছোলা দুই হাজার ৬০০ টাকা থেকে বেড়ে দুই হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে গতকাল। এক মাস আগেও একই মানের ছোলা দুই হাজার টাকার (কেজি ৫০ টাকা) নিচে বিক্রি হয়েছে। চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্র জানায়, গত অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে ছোলা আমদানি হয়েছিল এক লাখ ৫৮ হাজার ৫৩ টন। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে ছোলা আমদানি হয়েছে মাত্র ৭৭ হাজার ৫২২ টন।

বাজারে পর্যাপ্ত ছোলা থাকায় দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই বলে মনে করেন খাতুনগঞ্জের তৈয়বিয়া ট্রেডার্সের পরিচালক সোলায়মান বাদশা। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, এসব ছোলা প্রতি মণ কেনা পড়েছে এক হাজার ৭৫০ টাকা। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী প্রতি মণে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা বাড়তি দামে বিক্রি করছেন। শবেবরাতের আগে চাহিদা বাড়লে ছোলার দাম চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরো কিছুটা বাড়ার আশঙ্কা করেন তিনি। তবে রমজানের প্রথম সপ্তাহ পরেই ছোলার দাম কমে যাবে। এ ক্ষেত্রে ক্রেতাদের একসঙ্গে কিনে মজুদ না করার পরামর্শ দেন এই ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন ধরে ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও আসন্ন রমজানকে ঘিরে আরো অস্থির হয়ে উঠেছে সব ধরনের ভোজ্য তেলের বাজার। এর মধ্যে দফায় দফায় বেড়ে গতকাল সোমবার খাতুনগঞ্জে পাইকারিতে প্রতি মণ (৪০.৯০ লিটার) পাম অয়েলের দাম ঠেকেছে তিন হাজার ৮৮০ টাকায়, যা এক মাস আগেও তিন হাজার ৪০০ টাকার নিচে বিক্রি হয়েছে।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল

মন্তব্য করুন: