বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ১২ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মোংলা-রূপপুর নৌরুট খননে ৬৯ শতাংশ ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব

 প্রকাশিত: ১০:১৫, ২৬ জানুয়ারি ২০২১

মোংলা-রূপপুর নৌরুট খননে ৬৯ শতাংশ ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভারী মালামাল দ্রুত ও নিরাপদে পরিবহনের জন্য নতুন করে নৌরুট খনন প্রকল্পের ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়। ২০১৭ সালে প্রকল্পটি শুরু হয়।

শেষ হওয়ার কথা ২০২৫ সালে।  

 

মোংলা থেকে চাঁদপুর-মাওয়া-গোয়ালন্দ হয়ে পাকশী রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পর্যন্ত নতুনভাবে নৌরুট খনন করা হবে।  

এ নৌপথের মোট দূরত্ব ৪৬০ কিলোমিটার। এই রুট খননে নতুন করে ৬৯ দশমিক ৩৭ শতাংশ ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, যা টাকার অংকে ৬৬৩ কোটি ২২ লাখ।  

মূল প্রকল্পের মোট ব্যয় ছিল ৯৫৬ কোটি টাকা। প্রথম সংশোধিত প্রস্তাবে প্রকল্পের মোট ব্যয় ১ হাজার ৬১৯ কোটি ২২ লাখ টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন এবং এর রক্ষণাবেক্ষণের মেয়াদ ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্তই থাকছে।

গত রোববার (১০ জানুয়ারি) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবনা নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) মামুন আল রশীদের সভাপতিত্বে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সভাও অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ব্যয় বাড়ানোর বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়েছিল পরিকল্পনা কমিশন। ব্যয় বাড়ানোর যৌক্তিকতা তুলে ধরে নানা ধরনের ব্যাখ্যা দিয়েছে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়।

নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (উন্নয়ন-২) মো. উবায়দুল হক বাংলানিউজকে বলেন, প্রকল্পটি চলমান আছে। প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে এটা এখনো পাস হয়নি। প্রকল্পের কাজের পরিধি বৃদ্ধির কারণেই মূলত ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে।  

সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দর হতে রূপপুর পর্যন্ত নৌ পথের প্রয়োজনীয় ড্রেজিং করার নতুন সিদ্ধান্ত হয়েছে। সিদ্ধান্তের আলোকে চাঁদপুর-মাওয়া-গোয়ালন্দ হয়ে পাকশী পর্যন্ত বহমান গঙ্গা, পদ্মা, বলেশ্বর ও কঁচা নদী তথা মোংলা বন্দর হতে চাঁদপুর-মাওয়া-গোয়ালন্দ হয়ে পাকশী পর্যন্ত নৌপথের নাব্যতা উন্নয়ন করা হবে। তবে খনন করতে হবে মাত্র ৬০ থেকে ৬৫ কিলোমিটার নৌপথ।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল

মন্তব্য করুন: