বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ৫ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

মাশরাফি ঝলকে ফাইনালে খুলনা

 প্রকাশিত: ২২:৪২, ১৪ ডিসেম্বর ২০২০

মাশরাফি ঝলকে ফাইনালে খুলনা

বল হাতে চমক দেখালেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। টপাটপ তুলেন নিলেন পাঁচ উইকেট। সোমবার দুরন্ত ফর্মে থাকা গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামকে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু টি- টোয়েন্টি কাপের ফাইনালে উঠে গেছে জেমকন খুলনা। মাশরাফি, সাকিবদের দল পেয়েছে ৪৭ রানের দারুণ জয়।

মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সোমবার আগে ব্যাট করতে নেমে খুলনা করে ৭ উইকেটে ২১০ রান। জবাবে চট্টগ্রাম অল আউট ১৯.৪ ওভারে ১৬৩ রানে। হারলেও ফাইনালের উঠার সুযোগ থাকছে চট্টগ্রামের। মঙ্গলবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে দলটি মুখোমুখি হবে এলিমিনেটর ম্যাচে জয়ী বেক্সিমকো ঢাকার।

বড় টার্গেটে খেলতে নেমে শুরুতে ওপেনার সৌম্য সরকারকে হারায় চট্টগ্রাম। মাশরাফির বলে তিনি মারেন গোল্ডেন ডাক। দ্বিতীয় উইকেটে লিটন দাস ও মাহমুদুল হাসান জয় দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন। এরপর আবারো মাশরাফির আঘাত। ১৩ বলে ২৪ রান করে ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা লিটন দাসকে ফেরান নড়াইল এক্সপ্রেস।

তবে অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন চাপ সামলে এগিয়ে যেতে থাকেন জয়কে সাথে নিয়ে। ক্রমেই ভয়ংকর হয়ে উঠতে থাকে এই জুটি। শেষ পযন্ত এই জুটি বিচ্ছিন্ন করে খুলনাকে স্বস্তি দেন সেই মাশরাফিই। দলীয় ১০০ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৩১ রানে আউট মাহমুদুল হাসান জয়। ২৭ বলের ইনিংসে জয় হাঁকান দুটি চার ও একটি ছক্কা।

মোসাদ্দেকের সাথে মিঠুনের জুটিও জমে যাচ্ছিল। কিন্তু দুর্দান্ত এক স্লোয়ারে চট্টগ্রাম অধিনায়ককে ফেরান খুলনার আরিফুল হক। বোল্ড। ৩৫ বলে ৫৩ রানে ফেরেন মিঠুন, তিনটি করে ছক্কা ও চার। ১৩৮ রানে চট্টগ্রামের পঞ্চম উইকেটের পতন। বল হাতে আবির্ভাব এবার সাকিবের। ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে সাকিবের বলে বাউন্ডারি লাইনে শুভাগতর হাতে ক্যাচ দেন ১৪ বলে ১৭ রান করা মোসাদ্দেক। এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মুক্তার আলীও। ৫ রান করে তিনি হাসান মাহমুদের শিকার।

এরপর আবার মাশরাফির আবির্ভাব। ১৮তম ওভারে বলতে গেলে চট্টগ্রামের কোমড়ই ভেঙে দেন তিনি। এই ওভারেই তিনি তুলে নেন দুটি উইকেট। ১০ বলে ১৮ রান করে ফেরেন শামসুর রহমান। মোস্তাফিজ গোল্ডেন ডাক। ম্যাশের বলে ক্যাচ দেন সাকিবের হাতে। ১৫৭ রানে চট্টগ্রামের নেই আট উইকেট। লেজের সারি দুই ব্যাটসম্যান বাড়তি কোন চমক দেখাতে পারেনি। দারুণ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে খুলনা।

৪ ওভারে ৩৫ রানে পাচ উইকেট শিকার করেন বুড়িয়ে যাওয়ার খেতাব পাওয়া খুলনার মাশরাফি বিন মুর্তজা। হাসান মাহমুদ দুটি, সাকিব ও আরিফুল নেন একটি করে উইকেট।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রানের পাহাড়ই গড়ে জেমকন খুলনা। টপ অর্ডারের কম-বেশি সবাই রান পেয়েছেন। তবে দুর্ধর্ষ ইনিংস খেলেছেন ওপেনার জহুরুল ইসলাম। ৫১ বলে তিনি করেন ৮০ রান। তার ইনিংসে ছিল পাঁচ চার ও চারটি ছক্কার মার।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান আসে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটে। ৯ বলে তিনি খেলেন ছোট্ট ঝড়ো ইনিংস। করেন ৩০ রান। দুটি চারের পাশাপাশি তিনি হাঁকান তিনটি ছক্কা।

এতদিন ১৫ রানের বৃত্তে আটকা ছিলেন সাকিব আল হাসান। এবার সেটা অতিক্রম করতে পারলেন। ১৫ বলে তিনি করেন ২৮ রান। সমান দুটি করে ছক্কা ও চার ছিল তার ইনিংসে। ইমরুল কায়েসও ছিলেন বেপোরোয়া। ১২ বলে তিনি করেন ২৫ রান, তিন চার ও একটি ছক্কা। ৯ বলে ১৫ রান করে রান আউট হন আরিফুল হক। তবে স্রোতের বিপরীতে ছিলেন ওপেনার জাকির হাসান। ২২ বলে তিনি করেন ১৬ রান। মাশরাফি ২ বলে ছিলেন ৬ রানে অপরাজিত, ছক্কা একটি।

বিশ ওভারে খুলনার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ২১০ রান, যা চলমান টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর। বল হাতে চট্টগ্রামের হয়ে মোস্তাফিজুর রহমান দুটি, মোসাদ্দেক হোসেন ও সনজিত সাহা একটি করে উইকেট লাভ করে।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল

মন্তব্য করুন: