শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ১২ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন কার্যক্রমের নীতিমালা

 প্রকাশিত: ১৮:২৫, ৭ মে ২০২০

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন কার্যক্রমের নীতিমালা

কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতিতে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে পাঠদান, পরীক্ষা গ্রহণ, মূল্যায়ন এবং শিক্ষার্থী ভর্তি বিষয়ে একটি গাইডলাইন প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)।

ইউজিসি পরিচালক ড. মো. ফখরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত গাইডলাইনে শিক্ষার্থী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিদ্যমান শিক্ষাদান প্রক্রিয়ায় কমিশন প্রণীত নির্দেশনাগুলোর প্রতিপালন নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার গাইডলাইনটি ইউজিসি ওয়েবসাইটে প্রকাশ ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পাঠানো হয়েছে।

গাইডলাইন অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চলতি সেমিস্টারের অসমাপ্ত কার্যক্রম (পাঠদান, পরীক্ষা ও মূল্যায়ন) অনলাইনে সম্পাদন করতে পারবে। পাশাপাশি আগামী সেমিস্টারেও শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে।

করোনাভাইরাসের কারণে গত ১৮ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের মধ্যে গত ৩০ এপ্রিল শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এ গাইডলাইন প্রণয়নের সিদ্ধান্ত হয়। সভায় ইউজিসি, সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। ওই সভার সিদ্ধান্তে গাইডলাইন প্রস্তুত করেছে ইউজিসি।

যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় চলমান সেমিস্টারের শিক্ষা কার্যক্রম অনলাইনে সন্তোষজনকভাবে পরিচালনা করছে, তাদের জন্য দু’টি বিকল্প প্রস্তাব দেয়া হয়।

ক) কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী আগের মতো চলতি সেমিস্টারেও কোর্সগুলোর অসমাপ্ত পাঠ্যসূচির ওপর অনলাইনে ক্লাস চলমান থাকবে, তবে ল্যাবরেটরিভিত্তিক সব কোর্সের ব্যবহারিক ক্লাস করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর শ্রেণিকক্ষে সম্পন্ন করতে হবে। অনলাইনে ক্লাসের বিষয়ে স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব সক্ষমতা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের উপযোগী ডিজিটাল পদ্ধতিতে যে কোনো অনলাইন প্লাটফর্মের সহায়তা নিয়ে প্রয়োজনীয় কার্যকরী ব্যবস্থা নেবে।

খ) কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী আগের মতো চলতি সেমিস্টারে কোর্সগুলোর অসমাপ্ত পাঠ্যসূচির ওপর অনলাইনে ক্লাস চলমান থাকবে। এ বিষয়ে স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব সক্ষমতা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের উপযোগী ডিজিটাল পদ্ধতিতে যে কোনো অনলাইন প্লাটফর্মের সহায়তা নিয়ে প্রয়োজনীয় কার্যকরী ব্যবস্থা নেবে।

চলমান সেমিস্টারে তত্ত্বীয় কোর্সের বিভিন্ন বিষয়ে রেজিস্ট্রিকৃত শিক্ষার্থীদের অনলাইনের মাধ্যমে এসব বিষয়ের অসমাপ্ত পাঠ্যসূচি (যা ৩০% মত) সন্তোষজনকভাবে সম্পন্ন হয়ে গেলে এবং অনলাইনের কার্যক্রম শুরুর আগে চলমান সেমিস্টারের বিভিন্ন বিষয়ে ইতোপূর্বে ক্লাস উপস্থিতি, পারফরমেন্স, ক্লাসটেস্ট, মিডটার্ম পরীক্ষার ওপর ভিত্তি করে যা মূল্যায়ন করা হয়েছে তার নম্বর এবং অনলাইনের পঠিত অংশের ওপর অ্যাসাইনমেন্ট, কেস স্টাডি, ভাইভা (ভিডিও ডিভাইস অন অবস্থায়), ভার্চুয়াল প্রেজেন্টেশন নিয়ে যথাযথ স্বচ্ছতা ও মান নিশ্চিত করে মূল্যায়ন সম্পন্ন হয়ে ফলাফল প্রকাশ করা যাবে। মূল্যায়নের জন্য প্রয়োজন হলে পূর্বের সেমিস্টারে ফলাফল বিবেচনায় আনা যেতে পারে। সব বিষয়ের ফলাফল বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশের ভিত্তিতে প্রকাশ করতে হবে।

ল্যাবরেটরিভিত্তিক সব কোর্সের ব্যবহারিক ক্লাস নেয়া, এর ওপর পরীক্ষা ও মূল্যায়ন করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরপরই অতিরিক্ত সময় বা পরে সরাসরি শ্রেণিকক্ষে সম্পন্ন করতে হবে।

দু’টি বিকল্প প্রস্তাবের যে কোনো একটি নিতে হলে চলমান সেমিস্টারে অনলাইনে নেওয়া ক্লাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ন্যূনতম ৬০ শতাংশ হতে হবে। যেসব বিশ্ববিদ্যালয় এ শর্ত পূরণ করেছে কেবল তারাই দু’টি বিকল্প প্রস্তাবের মধ্যে একটি প্রস্তাব নেবে তা লিখিতভাবে ১৭ মের মধ্যে উইজিসিকে জানিয়ে অনুমোদন নিতে হবে।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল

মন্তব্য করুন: