বালিশ-বিছানা-কম্বল নিয়ে দিল্লির দরবারে কৃষকরা
প্রকাশিত: ১১:৩১, ২ ডিসেম্বর ২০২০
৩ কৃষি আইন প্রত্যাহারে বিক্ষোভে নেমেছেন ভারতের কয়েকটি রাজ্যের কৃষকরা। মঙ্গলবার কৃষকদের বিক্ষোভের ষষ্ঠ দিনে বিজ্ঞানভবনে এক দফা আলোচনা হলেও আইন প্রত্যাহারে নারাজ কেন্দ্র। অপরদিকে কৃষকরাও অনড়।
দাবি আদায়ের লড়াইয়ে সময় লাগতে পারে অনেক। তার উপর রয়েছে চলতি মহামারী এবং উত্তর ভারতের কড়া শীত। এ সব কথা মাথায় রেখেই বেশ কয়েক মাসের রসদ সঙ্গে নিয়েই দিল্লির দরবারে উপস্থিত হয়েছেন পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ডসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের কৃষকরা।
আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদন অনুসারে, দাঁত মাজার ব্রাশ, মাজন থেকে শুরু করে খাবার, পানি, ওষুধ বা ঘুমানোর জন্য প্রয়োজনীয় কম্বল, বিছানা- সবই মজুত কৃষকদের ট্রাক্টরে। জামাকাপড় ধোয়ার জন্য রয়েছে ডিটারজেন্ট এবং সাবান। তা শুকনোর জন্য সার দিয়ে দাঁড় করানো ট্রাক্টরে বাঁধা হয়েছে দড়ি। এক ঝলকে দেখলে মনে হবে রাজপথের পাশেই নতুন কোনো জনপদ।
শুধু তাই নয় সকালে ঘুম ভাঙার পর বিক্ষোভকারীদের হাতে হাতে চা, ক্ষীর ইত্যাদি সরবরাহ করছে খালসা এড ফাউন্ডেশন। মিনারেল ওয়াটারের বোতলও দেয়া হচ্ছে। ফাউন্ডেশনের অধিকর্তা অমরপ্রীত সিংহ বলছেন, খাবার ছাড়াও মহিলাদের জন্য আমরা ২০টি মোবাইল শৌচাগার বসিয়েছি। কৃষকরা এখানে দিনরাত বিক্ষোভ করছেন। আমরা চাই না তারা কোনো অসুবিধার সম্মুখীন হোন।
যেমন পাঞ্জাবের কপূরথালা থেকে একদল কৃষক দিল্লি পৌঁছেছেন অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে। সঙ্গে রয়েছে বিপুল পরিমাণ ওষুধপত্রও। দিল্লির সীমানায় যেখানে অবরোধ চলছে, সেই সিঙ্ঘু এলাকায় খোলা হয়েছে স্বাস্থ্যশিবির। তার পরিচালক অবতার সিংহ ওয়ালিয়া বলছেন, চিকিৎসা সংক্রান্ত জরুরি অবস্থা দেখা দিলে কী করতে হবে সে জন্য আমাদের সঙ্গে চিকিৎসকও রয়েছেন। আমরা কৃষকদের কাপড়ের মাস্ক বিলি করছি। এখানে অনেক লঙ্গরখানাও খোলা হয়েছে।
এক শিবিরের পরিচালক জানান, তাদের সঙ্গে অন্তত ৬ মাসের খাবারদাবার এবং অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম রয়েছে।
চলছে রান্না
বিজ্ঞানভবনে মঙ্গলবার কৃষক সংগঠনগুলির ৩৫ জনের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর, কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল এবং শিল্প প্রতিমন্ত্রী সোম প্রকাশ।
বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী বলেন, আলোচনা চলবে। আমি কৃষকদের বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম। আমরা ৩ ডিসেম্বর ফের আলোচনায় বসব। বিক্ষোভে ইতি টানার জন্য কৃষকদের কাছে আবেদন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু তাতেও তারা সম্মত হননি।
অনলাইন নিউজ পোর্টাল
মন্তব্য করুন: