বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ১০ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

বসুন্ধরার ঘরেই থাকলো শিরোপা

 প্রকাশিত: ০০:১০, ১১ জানুয়ারি ২০২১

বসুন্ধরার ঘরেই থাকলো শিরোপা

স্পট লাইট ছিল অস্কার রাউল বেচেরা এবং কেনেথ ইকিচুকুর উপর। কে হবেন ফাইনালের হিরো। কার গোলে হবে দলের শিরোপা উৎসব। ৫ গোল দিয়ে বসুন্ধরা কিংসের অস্কার বেচেরা এবং সাইফের কেনেথ ইকিচুকু যৌথভাবে সর্বোচ্চ গোলদাতা হলেও ফাইনাল সেরা আর্জেন্টাইন বেচেরাই। তার গোলেই যে ট্রফি জয়ে মওসুম ও নতুন বছর শুরু বসুন্ধরা কিংসের।

রোববার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ওয়ালটন ফেডারেশন কাপের ফাইনালে সাইফ স্পোটিংকে ১-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা ধরে রাখলো বসুন্ধরা কিংসই। এই অর্জন তাদের ২০২২ সালের এএফসি কাপের প্লে-অফে খেলার ছাড়পত্র পাইয়ে দিয়েছে। অন্য দিকে ইতিহাস গড়তে ব্যর্থ রানার্সআপ সাইফ স্পোর্টিং এখন লিগে সেরা তিন এ থাকার আত্মবিশ্বাস পেল। দুই পূর্ন পেশাদারী এবং কর্পোরেট দলের ফাইনাল। পরিছন্ন ফুটবল খেলা উপহার দেয়ার সাথে গ্যালারীতে তাদের ভদ্র দর্শক। ম্যাচ শেষেও তাই বসুন্ধরার সমর্থকদের সাবলীল উল্লাস।

অভিজ্ঞ বসুন্ধরা কিংসের ফুটবলাদের স্থানীয় অধিকাংশই জাতীয় দলের। তাদের বিপক্ষে তারুন্য নির্ভর সাইফ স্পোর্টিং এর জার্সীধারীরা প্রথমে একটু চাপে থাকলেও তা কাটাতে বেশীক্ষন সময় নেয়নি। পুরো ম্যাচেতো গোলের চান্স পল পুটের দলেরই বেশী পাওয়া। তবে গোল করার মতো মুন্সিয়ানা দেখাতে পারেননি নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার কেনেথ ইকিচুকু এবং স্থানীয় ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। অন্য দিকে একটি হাফ চান্সকে কাজে লাগিয়েই সাফল্য বাংলদেশ সেরা ক্লাবটির। উপরে বেচেরা আর পোস্টের নীচে জিকো এই দুই এর সমন্বয়ে দলটির শিরোপা।

১৮ ও ১৯ মিনিটে সাইফের লিড না পাওয়াটা ইকিচুকু ও ফাহিমের ব্যর্থতায়। ১৮ মিনিটে ইকিচুকু থ্রু পাস থেকে বল পেয়েও তা ঠিক মতো আয়ত্বে নিতে পারেননি। যা তাকে বিপক্ষ গোলরক্ষককে একা পাওয়া থেকে বঞ্চিত করে। পরের মিনিটেই ফাহিম থ্রু পাস থেকে একা পেয়ে যান বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোকে। সে বল জিকোর গায়ে মেরে নস্ট করেন জাতীয় দলের ক্যাম্পে থাকা এই স্ট্রাইকার। অবশ্য জিকো সময়মতো পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসায় সুবিধা করতে পারেননি ফাহিম। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে রহমতের ফ্রি-কিকেও বাধা জিকো।

বিরতির পরপরই ৪৮ মিনিটে রহমতের দূরপাল্লার শটও বসুন্ধরা কিংসের শেষ প্রহরীকে পরাস্ত করতে পারেনি। এরপরই ৫২ মিনিটে ম্যাচের একমাত্র গোল। ব্রাজিলিয়ান রবসন রবিনহোর থ্রু পাস থেকে আসা বলে বামপায়ে আলতো ভলি নেন আর্জেন্টিনার অস্কার রাউল বেচেরা। তা গোলরক্ষক পাপ্পু হোসেনের চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করতে পারেননি। যদিও ৬০ মিনিটে তার বুদ্ধির কাছে হার মানতে হয় ব্রাজিলিয়ান রবসনকে।

আগের পাঁচ ম্যাচে পাঁচ গোল করা কেনেথ ইকিচুকু ফাইনালের ছিলেন সাইফ স্পোর্টিংয়ের ফরোয়ার্ড লাইনের প্রান ভোমরা। তবে কালকে তাকে হতাশ হতে হয় জিকোর প্রতিরোধে। ৬৯, ৮৬ মিনিটে তার দুটি প্রচেস্টা কর্নার করেন জাতীয় দলের এই গোলরক্ষক। ৭৩ মিনিটে এই নাইজেরিয়ানের শট পোস্টে বাতাস দিয়ে দিয়ে যায়। ৯০ মিনিটে বসুন্ধরার ব্রাজিলিয়ান রিক্রুট জোনথন কর্নার করলে ব্যবধান বাড়েনি। এর তিন মিনিট পরেই বেফারী জালালউদ্দিনের খেলা শেষের বাঁশী এবং বসুন্ধরার শিরোপা ধরে রাখার বাধভাঙ্গা উল্লাস। ফলে টুর্নামেন্ট সেরার ট্রফি নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় ইকিচুকুকে।

চ্যাম্পিয়ন দল ট্রফি ও ৫ লাখ টাকা এবং রানার্সআপ দল পায় ৩ লাখ টাকা।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল

মন্তব্য করুন: