বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ১১ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি

প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়নযোগ্য : অর্থমন্ত্রী

 প্রকাশিত: ২২:৫১, ১২ জুন ২০২০

প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়নযোগ্য : অর্থমন্ত্রী

জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত ২০২০-২১ অর্থবছরের লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট সরকার বাস্তবায়ন করতে পারবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল।

তিনি বলেন, ‘প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস উদ্ভুত পরিস্থিতিতে এবার আমরা গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে বাজেট প্রণয়ন করেছি। আমাদের ভৌত অবকাঠামো আছে,পাশাপাশি অতীতের অনেক সাফল্য আমাদের সামনে আছে এবং আমরা এবার বাজেটটি যেভাবে সাজিয়েছি, তাতে আশা করি প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারব।

শুক্রবার (১২ জুন) বাজেটোত্তর ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন তিনি। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা . মশিউর রহমান জ্বালানি উপদেষ্টা . তৌফিক- এলাহী চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী . আবদুর রাজ্জাক, পরিকল্পনামন্ত্রী এম মান্নান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য . সামসুল আলম, অর্থ বিভাগের সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, এনবিআর চেয়ারম্যান রহমাতুল মুনিম, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সংযুক্ত ছিলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘অন্য সময় আমরা আগে আয় করতাম, পরে খরচ করতাম। করোনা আমাদের সেই পুরনা সিস্টেম উল্টে দিয়েছে। করোনা মোকাবিলায় এখন আমরা আগে খরচ করবো, পরে আয় করবো। আমি আশা করি করোনার এই দুর্দিন বেশি সময় থাকবে না। তারপরও যদি করোনাকাল দীর্ঘ হয়, সেক্ষেত্রেও আমাদের কাছে পথ খোলা রয়েছে।

তিনি জানান, মানুষকে খাবার দিতে হবে, চিকিৎসা দিতে হবে এবং যারা চাকরি হারিয়েছেন,তাদের জন্য কর্মসংস্থান তৈরিসহ জরুরি বিষয়কে এবারের বাজেটে অগ্রাধিকার দিয়েছি।

বাজেট বাস্তবায়নযোগ্য উল্লেখ করে মুস্তফা কামাল বলেন, আমাদের প্রত্যাশা হলো করোনা বেশিদিন প্রলম্বিত হবে না। আইএমএফ বলছে, বাংলাদেশ ২০২০-২১ অর্থবছরে দশমিক শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে। আমাদের অবকাঠামো জনবল আছে, সুতরাং আমরা বিশ্বাস করি লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট আমরা বাস্তবায়ন করতে পারব।

কোভিড-১৯ প্রেক্ষিতে বাজেটে স্বাস্থ্যখাতকে সর্বোচ্চ প্রাধিকার দেয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যখাতে এবার টাকার কোন অভাব হবে না। কিন্তু শর্ত হলো স্বাস্থ্য বিভাগকে চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। কার্যকরভাবে দ্রুত সেবার মান বাড়াতে হবে।

বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম মান্নান জানান, স্বাস্থ্য কৃষিখাতকে এবার এতটা গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে যে, এই দুই খাতে প্রয়োজন হলে জরুরি ভিত্তিতে নতুন প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর চেয়ারম্যান রহমাতুল মুনিম বলেন, ‘রাজস্ব বোর্ডের জন্য টার্গেট অনুযায়ী রাজস্ব আদায় করা কঠিন হবেযদি করোনাকাল লম্বা হয়। তবে করোনাকাল লম্বা না হলে এই টার্গেট অর্জন করা অসম্ভব নয়।

বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী . আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা যেন কোন ধরনের খাদ্য সংকটে না পড়ি, এজন্য এবার আমাদের বিশেষ উদ্যোগ হলো এক ইঞ্চি ফসলি জমি অনাবাদি রাখতে চাই না। কৃষিখাতে এবার হাজার ৫০০ কোটি টাকার প্রণোদনা রাখা হয়েছে। এই অর্থ সার, বীজ, কীটনাশনক সহ অন্যান্য কৃষি উপকরণ বিতরণের ক্ষেত্রে ব্যয় করা হবে।

এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী জানান, মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে অর্থ পাচারের ঘটনা গত দেড় বছরে অনেক কমে এসেছে। তিনি বলেন, আমরা চাই দেশের একটি টাকাও যেন বাইরে পাচার না হয়। এজন্য আমরা অটোমেশনের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি।

অর্থমন্ত্রী বৃহস্পতিবার (১১ জুন) জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের জন্য লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ করেন। এটি দেশের ৪৯তম বাজেট।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল

মন্তব্য করুন: