শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ১২ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তান :বেলুচিস্তানে ইরান সমর্থিত আটটি স্কুল বন্ধ করে দিল

 প্রকাশিত: ১৯:১০, ১৭ জুন ২০২১

পাকিস্তান :বেলুচিস্তানে ইরান সমর্থিত আটটি স্কুল বন্ধ করে দিল

পাকিস্তান ও  ইরান সীমান্তবর্তী বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী কোয়েটায় ইরান সমর্থিত আটটি অননুমোদিত স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে। স্কুলগুলি সরকারী অনুমোদন ছাড়াই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং এখানে শিক্ষার্থীদের ইরানি পাঠ্যক্রম পড়ানো হত বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

ইরান কোয়েটের সহকারী কমিশনার মুহাম্মদ জোহাইব-উল-হক বলেন, গত সপ্তাহে ছয়টি স্কুল সিল করে দেওয়া হয়। এবং গত ১৪ই জুন সোমবার আরো দুটি স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এসব স্কুল পরিচালনার লোকেরা এবং শিক্ষকরা ইরানি নাগরিক এবং তারা একটি বিদেশী সিলেবাস অনুসরণ করে, যা দেশের আইনের "লঙ্ঘন"।

বেলুচিস্তানের এই কর্মকর্তা একটি টুইট বার্তায় বলেন, " এ সব স্কুলের পাঠ্যপুস্তকগুলিতে কেবল ইরানের ইতিহাস, ভূগোল ও সমাজবিজ্ঞান সম্পর্কিত বিষয় রয়েছে, পাকিস্তানের নয়। এমনকি পাঠ্যপুস্তকগুলি ফার্সী ভাষায় লেখা হয়েছে। জোহাইব আরো জানান, কিরানি সড়ক ও হাজারা শহর এলাকায় অবস্থিত স্কুলগুলি বেলুচিস্তানের শিক্ষা বিভাগের সঙ্গে "নিবন্ধন ছাড়াই অবৈধভাবে" কার্যক্রম চালাচ্ছে।

বেলুচিস্তান এডুকেশন ফাউন্ডেশনের (বিইএফ) তদারকি ও মূল্যায়ন পরিচালক শাব্বির আহমেদ বলেন, বিদেশি পাঠ্যক্রম পড়ানোর জন্য এবং সরকারী অনুমোদন ছাড়াই পরিচালনার জন্য আরো দুটি স্কুলের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে। এ স্কুল গুলি (প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয় উভয়) ১৯৯১ সালে প্রাদেশিক শিক্ষা বিভাগ এবং স্কুল প্রশাসনের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের অধীনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তবে, গত ৩০ বছরে স্কুল পরিচালনা কমিটি প্রদেশের শিক্ষা বিভাগে নিবন্ধন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এ সব স্কুলে শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে।

এসব স্কুলের কর্মচারিরা বেতনের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অনলাইন পোর্টালে অভিযোগ দায়ের করলে কর্মকর্তারা তদন্ত শুরু করেন। তদন্তে ইরানের অনুদান প্রাপ্ত বিদেশী স্কুলগুলির অস্তিত্ব প্রকাশ পায়। এগুলো বেলুচিস্তানের শিক্ষা বিভাগের অনুমোদিত বা পাকিস্তানের শিক্ষা বোর্ড দ্বারা স্বীকৃত নয়।

বেলুচিস্তান পাকিস্তানের বৃহত্তম তবে সর্বাধিক সংখ্যক জনবহুল প্রদেশ - এখানে ১২.৩ মিলিয়ন লোক বাস করে। সুরক্ষা ইস্যু, বিস্তৃত ভৌগলিক বিস্তার, ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সম্প্রদায়, বিদ্যালয়ের অবকাঠামোর অভাব ও দুর্বল পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়ার কারণে এ প্রাদেশিক শিক্ষা খাত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল

মন্তব্য করুন: