শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ৭ ১৪৩১, ১১ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পার্বত্য চট্টগ্রামে বছরে ৪শ’ কোটি টাকার চাঁদাবাজি

 প্রকাশিত: ২২:৪৪, ২৬ নভেম্বর ২০২০

পার্বত্য চট্টগ্রামে  বছরে ৪শ’ কোটি টাকার চাঁদাবাজি

শান্তির জনপদ পার্বত্য চট্টগ্রামকে ফের অশান্ত করার পাঁয়তারা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ এই জনপদে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে আঞ্চলিক দল নামধারী কিছু সশস্ত্র গ্রূপ । যাদের কথার অবাধ্য হওয়ার কারণে ২০১৮ সাল থেকে গত ৩ বছরে ৩ শতাধিক মানুষ নির্মমভাবে খুন হয়েছে।

নিহতদের মধ্যে আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতাও ছিলেন যাদেরকে আঞ্চলিক দল ছেড়ে আওয়ামী লীগ করার অপরাধে প্রাণ দিতে হয়েছে। ওই এলাকায় গত তিন বছরে চাঁদাবাজি হয়েছে হাজার কোটি টাকার ওপরে।

এছাড়া সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হাতে নীরবে চলছে নারী নির্যাতন। সুন্দরী উপজাতি নারীদের অস্ত্রের মুখে আটকে রেখে দিনের পর দিন ধর্ষণ করা হয়। বান্দরবান জেলায় প্রায় ২৫ কিলোমিটার অরক্ষিত সীমান্ত রয়েছে। সীমান্তের ঠিক ওপারে ছোট ছোট ক্যাম্প তৈরি করে চলছে অস্ত্র প্রশিক্ষণ। ইতোমধ্যে এ ধরনের ১২ থেকে ১৫টি ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

অরক্ষিত সীমান্ত দিয়ে প্রতিবেশী একটি দেশ থেকে নিয়মিত অস্ত্রের চালান আসছে। বাংলাদেশ সরকারের মনোযোগ রোহিঙ্গা ইস্যু থেকে ভিন্নখাতে পরিচালিত করার জন্যই সীমান্তের ওপারে গহীন জঙ্গলে এসব ক্যাম্প নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে কথিত ‘জুম্মল্যান্ড’ সৃষ্টির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে সন্ত্রাসী গ্রূপগুলো।

স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির নেপথ্যে রয়েছেন তিন প্রভাবশালী ব্যক্তি। এদের মধ্যে দুজন দু’টি আঞ্চলিক দলের নেতৃত্বে রয়েছেন। তৃতীয়জন হলেন রাঙামাটি জেলার একজন চাকমা নেতা। মূলত এই তিন ব্যক্তির খেয়ালখুশিমত চলছে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান। তারা তিনজন প্রকাশ্যে পার্বত্য শান্তি চুক্তির বিরোধিতা না করলেও পাহাড় অশান্ত করার নেপথ্যের কুশীলব এরাই।

উল্লেখ্য, কোনো তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা ছাড়াই ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে দীর্ঘ ২১ বছরের সংঘাত এবং রক্তক্ষরণের অবসান ঘটে। পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী বাঙালি ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সব মানুষ ঐতিহাসিক এই শান্তি চুক্তিকে স্বাগত জানান। বাংলাদেশ সরকারের সাথে সম্পাদিত এই চুক্তির অন্যতম স্বাক্ষরকারী ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সংগঠন জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা।

জানা গেছে, চুক্তির পর প্রথমে কিছুদিন নীরব ছিল জেএসএস। তবে পরবর্তীতে তাদের এক নেতা ঘোষণা দিয়েই পাহাড় পুনরায় অশান্ত করার খেলায় মেতে ওঠেন। একটি টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ওই নেতার পুনরায় অস্ত্র হাতে নেয়ার হুমকি দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।

চুক্তির পর গত ২৩ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রামের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় বসবাসকারী জনগোষ্ঠী আর্থ-সামাজিকভাবে অনেকটাই এগিয়ে গেছে। কিন্তু আঞ্চলিক দলগুলোর নেতারা এসব উন্নয়ন দেখেও দেখেন না। তারা পার্বত্যবাসী সহ সমগ্র বিশ্বের সামনে এমন একটি ধারনা দিতে চান যে বাংলাদেশ সরকার শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে আন্তরিক নয়।

এসব নেতা পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে শুধু মিথ্যাচারই করছেন না, সরকার যাতে শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন করতে না পারে সেজন্য পদে পদে বাধা সৃষ্টি করছেন। একসময় জনসংহতি সমিতি নামে একটি আঞ্চলিক সংগঠন ছিল। সেটি ভেঙে একে একে আরো তিনটি আঞ্চলিক সংগঠন জন্মলাভ করেছে। এরা হচ্ছে- জেএসএস (সংস্কার), ইউপিডিএফ (প্রসীত খীসা) ও ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক)। এই চারটি সংগঠনের নামে পাহাড়ে আধিপত্য বিস্তারের লড়াই চলে আসছে বছরের পর বছর ধরে।

অস্ত্রধারীদের হাতে পার্বত্যবাসী জিম্মি হয়ে আছে। এসব সংগঠন মুখে পার্বত্যবাসীর অধিকারের কথা আওড়ালেও প্রকৃতপক্ষে এরা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ এদের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ। দরিদ্র পাহাড়িরা একটি ডিম বিক্রি করলেও এদেরকে চাঁদা দিতে হয়। প্রতি বছর তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান থেকে আঞ্চলিক সংগঠনগুলো প্রায় চারশো‘ কোটি টাকার চাঁদাবাজি করে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

শান্তি চুক্তির পর পার্বত্য চট্টগ্রামকে ঘিরে যে প্রত্যাশা জন্ম নিয়েছিল তা বাস্তবায়নে পদে পদে বাদ সাধছে আঞ্চলিক দলগুলো। এছাড়া আরো একজন হাই প্রোফাইল ব্যক্তি রয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি জেলায়, শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে যার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। ওই ব্যক্তির বাবা ছিলেন একজন কুখ্যাত রাজাকার, যিনি মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত পাকিস্তান সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। কুখ্যাত রাজাকারের সন্তান বাংলাদেশের চাকমা সম্প্রদায়ের নেতায় পরিণত হয়েছেন।

জানা গেছে, ওই নেতা উচ্চ শিক্ষার নামে প্রতিবছর ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর তরুণদেরকে বিদেশে পাঠান। তবে এর পেছনে নেতার সুদূরপ্রসারী উদ্দেশ্য রয়েছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানান, নেতার পাঠানো তরুণরা বিদেশে উচ্চ শিক্ষার নামে আধুনিক যুদ্ধবিদ্যা রপ্ত করছে। দেশে ফিরে আসার পর তাদেরকে দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় ভূমি মাইন স্থাপন করার পরিকল্পনা রয়েছে ওই নেতার। নিজের একচ্ছত্র আধিপত্য নিশ্চিত করার জন্যই তিনি এই পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন বলে স্থানীয়দের দাবি। অন্যদিকে একটি আঞ্চলিক সংগঠনের নেতার ভূমিকাও রহস্যজনক।

জানা গেছে, তিনি বাংলাদেশ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে সবধরনের সরকারি সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করছেন। তার গাড়িতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাও থাকে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে তিনি বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস বা একুশে ফেব্রুয়ারির কোনো অনুষ্ঠানে যোগ দেন না। তার বাংলাদেশী জাতীয় পরিচয়পত্রও নেই। তিনি প্রতিবছর ঢাকার একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ে স্পর্শকাতর বক্তব্য রাখেন। তার বক্তব্যের মূল ইস্যু পার্বত্য শান্তি চুক্তি হলেও তিনি মূলত সরকার ও সেনাবাহিনী বিরোধী বক্তব্য দিয়ে থাকেন যা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ইমেজকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।

আঞ্চলিক দলগুলো প্রায়শ অভিযোগ করে, দীর্ঘ দুই দশকেও শান্তি চুক্তির মৌলিক অনেক বিষয় বাস্তবায়িত হয়নি। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় চুক্তির বেশির ভাগই বাস্তবায়িত হয়েছে। 

 এ পর্যন্ত শান্তি চুক্তির মোট ৭২টি ধারার মধ্যে ৪৮টির পূর্ণ বাস্তবায়ন, ১৫টির আংশিক বাস্তবায়ন এবং ৯টি ধারার বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এছাড়াও তিন পার্বত্য জেলায় হস্তান্তরযোগ্য ৩৩টি বিষয়/বিভাগের মধ্যে এ পর্যন্ত রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে ৩০টি, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদে ৩০টি এবং বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদে ২৮টি বিষয়ে/দপ্তর হস্তান্তর করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, চুক্তির কিছু কিছু ধারা বাংলাদেশ সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ার কারণে অবশিষ্ট চুক্তি বাস্তবায়নে দেরি হচ্ছে। তবে বর্তমান সরকার চুক্তির যে ধারাগুলো বাস্তবায়িত হয়নি সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়নে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। এরপরও আঞ্চলিক উপজাতি সংগঠনের নেতা ও কতিপয় বুদ্ধিজীবী ক্রমাগত শান্তি চুক্তি বাস্তবায়িত হয়নি বলে অভিযোগ করে যাচ্ছেন। সরকার শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে আন্তরিক থাকলেও আঞ্চলিক উপজাতি রাজনৈতিক দলসমূহের বিরূপ মনোভাবে তা সম্ভব হচ্ছে না।

চুক্তির যে সকল বিষয় এখনো সম্পূর্ণ বাস্তবায়িত হয়নি তার পেছনে যৌক্তিক কারণ রয়েছে। শান্তি চুক্তির কিছু ধারা বাংলাদেশ সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। এছাড়া আদালতে শান্তি চুক্তির বেশ কিছু ধারা চ্যালেঞ্জ করে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এ সমস্ত বিষয়সহ শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের পথে যে অন্তরায়গুলো রয়েছে সেগুলোর সমাধান না হওয়া পর্যন্ত শান্তি চুক্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন সম্ভব নয় বলেই সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। তবে এসব অন্তরায় দূর করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

এদিকে, শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন না করার কল্পিত অভিযোগ উপস্থাপন করে উপজাতি বিভিন্ন সংগঠন দেশে-বিদেশে নানা ধরনের নেতিবাচক কর্মসূচি পালন করে আসছে। এরা চুক্তি বাস্তবায়নে সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেও আঞ্চলিক দলগুলোর ভূমিকা নিয়ে কথা বলে না। উল্টো তারা পাহাড়ে স্বায়ত্তশাসনের দাবি জানানো শুরু করেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে কথিত ‘জুম্মল্যান্ড’ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখছে। অলীক স্বপ্ন দেখিয়ে পাহাড়ে বসবাসকারী বাঙালি ও সাধারণ উপজাতিদের কাছ থেকে আদায় করছে বিপুল অংকের চাঁদা। তা দিয়ে তারা তাদের সশস্ত্র গ্রুপকে শক্তিশালী করছে। গোপনে বিদেশ থেকে কেনা হচ্ছে ভারি, দামি ও অত্যাধুনিক অস্ত্র।

সামরিক আদলে কাঠামো তৈরি করে নিজেদের সংগঠিত করছে। অন্যদিকে তিন পার্বত্য জেলাকে অস্ত্রের রুট হিসেবে ব্যবহার করছে সশস্ত্র গ্রুপের সদস্যরা। এতে নিজেদের অস্ত্রের ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি দেশে জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িতদের কাছে অস্ত্র বিক্রি করা হচ্ছে। চাঁদাবাজি ও অস্ত্র ব্যবসার মাধ্যমেই প্রতিবছর শত শত কোটি টাকার মালিক হচ্ছে এসব সংগঠনের কথিত নেতারা। এই টাকার কিছু অংশ কর্মীদেরকে বেতন হিসেবে দিয়ে বিপুল অংকের টাকা বিদেশে পাচার করা হচ্ছে।

সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা গেছে যে শান্তি চুক্তির পর থেকে এ পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রামে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে এবং এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে। সমতলের জেলাগুলোর মতো পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলাগুলোতেও বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামোগত সুবিধা গড়ে উঠেছে। সড়ক অবকাঠামো নির্মাণ করে ইতোমধ্যে পাহাড়ের সব উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন পর্যন্ত পাকা রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। পার্বত্য অঞ্চলে স্বাধীনতার আগে ১৯৭০ সালে মাত্র ৪৮ কিলোমিটার রাস্তা ছিল।

কিন্তু স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ সরকার পার্বত্য অঞ্চলে নির্মাণ করেছে প্রায় ১৫৩৫ কিলোমিটার রাস্তা। এছাড়াও নির্মিত হয়েছে অসংখ্য ব্রিজ ও কালভার্ট। স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, সীমান্ত সড়ক নির্মাণ, ভারত ও মিয়ানমারের সাথে যোগাযোগ সড়ক, অরক্ষিত সীমান্ত অঞ্চলের নিরাপত্তা বিধান, অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার করে পার্বত্যাঞ্চলে মোতায়নরত সেনাবাহিনীকে ছয়টি স্থায়ী সেনানিবাসে প্রত্যাবর্তন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়াসহ প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে শিক্ষার হার ২ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৪৪.৬২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

কতিপয় স্বার্থান্বেষী আঞ্চলিক দল পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে বাধার সৃষ্টি করছে। তারা শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে সহযোগিতা না করে বাধার সৃষ্টি করছে এবং দেশে-বিদেশে প্রচার করছে যে সরকার শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন করছে না। এভাবে তারা তাদের অনুকূলে দেশি-বিদেশি মহলের সহানুভূতি আদায় করে চলেছে আর নিজেদেরকে অবহেলিত ও অনগ্রসর প্রমাণ করে বিভিন্ন এনজিও এবং বিদেশি সংস্থা হতে বিশাল অংকের ত্রাণ ও অনুদান সংগ্রহ করছে। এর সাথে পাহাড়ে তাদের চাঁদাবাজির বিশাল নেটওয়ার্কও সচল রেখেছে।

সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক 

অনলাইন নিউজ পোর্টাল

মন্তব্য করুন: