বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ১১ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ইসলাম

পবিত্র কুরআন শিক্ষা করা এবং শিক্ষা দেওয়ার ফযীলত

 প্রকাশিত: ১৯:৩০, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

পবিত্র কুরআন শিক্ষা করা এবং শিক্ষা দেওয়ার ফযীলত

উৎস:
ইসলাহী নেসাব: হায়াতুল মুসলিমীন
হাকীমুল উম্মত মুজাদ্দিদে মিল্লাত, মাওলানা আশরাফ আলী থানভী (র:)

১. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-

’তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সেই ব্যক্তি, যে কুরআন শিক্ষা করে এবং শিক্ষা দেয়।’(বুখারী)

২. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-

’তোমাদের কেউ মসজিদে গিয়ে আল্লাহর পবিত্র কালামের দু’টি আয়াত কেন শিক্ষা করে না? এটি তার জন্য দু’টি উটনী প্রাপ্তির চেয়ে অধিক উত্তম এবং তিনটি আয়াত তিনটি উটনী থেকে এবং চারটি আয়াত চারটি উটনী থেকে অধিক উত্তম। এমনিভাবে যত সংখ্যক আয়াত হবে তত সংখ্যক উটের চেয়ে উত্তম হবে।’ (মুসলিম)

ফায়দাঃ এর কারণ সুস্পষ্ট। কারণ, উটতো কেবলমাত্র ইহকালে কাজে আসে। আর কুরআনের আয়াত ইহ-পরকালে কাজে আসে। উটের নাম দৃষ্টান্তসরূপ বলা হয়েছে। কারণ, আরবের লোকেরা উটকে খুব বেশী পছন্দ করত। অন্যথা একটি আয়াতের তুলনায় সমগ্র পৃথিবীরও কোন মূল্য নেই।(মিরকাত)

এ হাদীস দ্বারা আরো জানা গেলো যে, যদি কোন ব্যক্তি পূর্ণ কুরআন শরীফ নাও পড়ে থাকে, বরং কিছু অংশ পড়ে থাকে, সেও বিরাট বড় নেয়ামত লাভ করেছে।

৩. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-

’যে ব্যক্তি উত্তমভাবে কুরআন পাঠ করে, সে মর্যাদার দিক খেকে ঐ সমস্ত ফেরেশতাদের সঙ্গী হবে, যারা বান্দার আমলনামা লিপিবদ্ধকারী, মর্যাদার অধিকারী এবং পবিত্র। আর যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে এবং তাতে আটকে যায় এবং তা তার জন্য কঠিন লাগে সে দ্বিগুন ‍সওয়াব পাবে।’(বুখারী ও মুসলিম)

ফায়দাঃ দ্বিগুন সওয়াবের অর্থ এই যে, এক সওয়াব কুরআন পাঠ করার, আরেক সওয়াব এই পরিশ্রমের জন্য যে, সে চালুভাবে পড়তে পারেনা, তারপরও কষ্ট করে পড়তে থাকে। এ হাদীসে ঐ ব্যক্তির জন্য কত বড় সান্তনা রয়েছে, যে ভালভাবে কুরআন পড়তে জানেনা। সে এ কথা মনে করে যেন মনঃক্ষুন্ন ও নিরাশ হয়ে কুরআন পাঠ ছেড়ে না দেয় যে, যখন ঠিকভাবে পড়তেই পারিনা তো পড়ার দ্বারা লাভ কি? মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমন ব্যক্তির জন্য সুসংবাদ দিয়েছেন যে, সে দ্বিগুন সওয়াব পাবে।

৪. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-

’যার অন্তরে কিছুমাত্র কৃরআনও নেই, সে বিরান ঘর তুল্য।’(তিরমিযী, দারামী)

ফায়দাঃ এ হাদীসে তাকীদ রয়েছে যে, কোন মুসলমানের কুরআন –শূন্য হওয়া উচিত নয়।

৫. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-

’যে ব্যক্তি আল্লাহর কালামের একটি হরফ পাঠ করে, সে একটি নেকী পায়। এবং প্রত্যেকটি নেকী দশ নেকীর সমতুল্য। (বিধায় এই হিসাবমত একেকটি হরফে দশ দশটি নেকী পাওয়া যায়)। আমি বলিনা যে, ’আলিফ-লাম-মীম’ এক হরফ। বরং এর মধ্যে ‘আলিফ’ এক হরফ, ‘লাম’ এক হরফ এবং ’মীম’ এক হরফ।’(তিরমিযী, দারামী)

ফায়দা ঃ এটি একটি দৃষ্টান্ত। একইভাবে যখন কুরআন পাঠকারী ’আলহামদু’ বললো, তো এর মধ্যে পাঁচটি হরফ রয়েছে। বিধায় এতে সে পঞ্চাশটি নেকী পাবে। আল্লাহু আকবার! কত বড় ফযীলত। তাই এমন ব্যক্তির জন্য আফসোস, যে একটু সাহস করে এত বড় সম্পদ কামায় না।

৬. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-

’ যে ব্যক্তি কুরআন পড়লো এবং তার বিধান অনুপাতে আমল করলো তার মাতাপিতাকে কেয়ামত দিবসে এমন মুকুট পরানো হবে, যার জ্যোতি সূর্যের ঐ আলো থেকেও অধিকতর সুন্দর হবে,তোমাদের ঘরে সূর্য চলে আসলে যা হতো।(অর্থাৎ, সূর্য যদি তোমাদের নিকট চলে আসে তাহলে ঘরের মধ্যে যত আলো হবে, তার চেয়ে অধিক আলো হবে ঐ মুকুটের) তাহলে ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে তোমাদের কি ধারণা, যে নিজে এ কাজ করলো?(অর্থাৎ, কুরআন পড়লো এবং সে অনুপাতে আমল করলো, তার মর্যাদা কত অধিক হবে?)’ (আহমাদ, আবু দাউদ)

ফায়দা: এ হাদীসে সন্তানের কুরআন পড়ার কত বড় ফযীলত রয়েছে। তাই সকল মুসলমানের সন্তানদেরকে অবশ্যই কুরআন পড়ানো উচিত। ছেলে সন্তানকেও এবং মেয়ে সন্তানকেও। যদি কাজের চাপে পূর্ণ কুরআন শরীফ পড়ানোর সুযোগ না হয় তাহলে যতটুকু পড়াতে পারো তাই পড়াও। যেমন ২ নম্বর হাদীসে জানা গেছে যে, হিফয করাতে না পারলে নাজেরাই পড়াও। আর যদি হিফয করানোর তাওফীক হয়, সুবহানাল্লাহ! তার তো আরো অধিক মর্যাদা রয়েছে। এ সম্পর্কিত হাদীস এখনই লিখছি।

৭. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-

’ যে ব্যক্তি কুরআন শিক্ষা করলো এবং তা হিফয করলো এবং তার হালালকে হালাল এবং হারামকে হারাম জানলো(অর্থাৎ, তার পরিপন্থি আকীদা রাখলো না, উপরের হাদীসে আমল করার কথা বলেছেন, আর এ হাদীসে সে অনুপাতে আকীদা পোষণ করার কথা বলেছেন) তাহলে আল্লাহ তায়ালা সে ব্যক্তিকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন এবং তার পরিবারের এমন দশ ব্যক্তির (ক্ষমার ব্যাপারে) তার সুপারিশ কবুল করবেন- যাদের সবার জন্য জাহান্নাম অবশ্যম্ভাবী হয়েছে। (আহমাদ, তিরমিযী, ইবনু মাজা, দারামী)

ফায়দা ঃ এ হাদীসে হিফয করার ফযীলত পূর্বের হাদীসের চেয়ে অধিক রয়েছে। বলা বাহুল্য যে, পরিবারের মধ্যে সর্বাধিক নিকটতম মাতা-পিতা। তাই ক্ষমার এই সুপারিশ মাতা-পিতার জন্য নিশ্চিত। অতএব এ হাদীস দ্বারা নিজ সন্তানদেরকে হাফেয বানানোর কত ফযীলত প্রমাণিত হলো!

৮. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-

’ অন্তরসমূহেও (কখনো) মরিচা ধরে, যেমন লোহাতে পানি লাগলে মরিচা ধরে। নিবেদন করা হলো- হে আল্লাহর রাসূল( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! সেটি কোন জিনিস, যার দ্বারা অন্তর পরিস্কার হয়? তিনি বললেন, অধিকহারে মৃত্যুর স্মরণ এবং কুরআন পাঠ করা।’
(বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান)
৯. হযরত যাবের (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের নিকট আগমন করলেন। তখন আমরা কুরআন পড়ছিলাম। আমাদের মধ্যে গ্রাম্য লোকও ছিলো এবং এমন লোকও ছিলো যারা আরব নয়।(অর্থাৎ, এমনও লোক ছিলো, যারা ভালভাবে কুরআন পড়তে পারতোনা। কারণ, গ্রাম্য লোকের শিক্ষা কম হয়ে থাকে। আর যারা আরব নয় তারা আরবী ভাষা পরিস্কার পড়তে পারে না।) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাল্লাহু ইরশাদ করলেন- পড়তে থাকো। সকলেই বিশিষ্টজন।’
(আবু দাউদ, বাইহাকী)

অর্থাৎ, খুব ভালো করে পড়তে না পারলেও মন ছ্টো করো না এবং যারা ভালো করে পড়তে পারে তারা তাদেরকে তুচ্ছ মনে করো না। আল্লাহ তাআলা অন্তর দেখেন।

ফায়দা: এ হাদীস দ্বারা জানা গেলো যে, এরূপ মনে করবে না যে, আমার জবান পরিস্কার না, বা আমার বয়স অধিক হয়েছে এখন ভালভাবে পড়তে পারবো না, তাহলে আমরা কি করে সওয়াব পাবো? উল্টা হয়তো বা গুনাহ হবে। দেখো! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সবাইকে কেমন সান্তনা দিলেন এবং সবাইকে পড়ার নির্দেশ দিলেন।
( এ হাদীসগুলো মেশকাত শরীফে রয়েছে।)

১০. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-

’ যে ব্যক্তি কুরআনের একটি আয়াত শোনার জন্যও কান লাগায় তার জন্য এমন নেকী লেখা হয়, যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। ( এই বৃদ্ধি পাওয়ার কোন সীমা বলেননি। মহান আল্লাহর কাছে আশাবাদী যে, এই বৃদ্ধির কোন সীমা হবে না। অনন্ত পর্যায়ে বৃদ্ধি পেতে থাকবে।) আর যে ব্যক্তি একটি আয়াত পাঠ করবে, আয়াতটি তার জন্য কেয়ামত দিবসে নূর হবে। (যা ঐ নেকী বৃদ্ধি পাওয়ার চেয়েও বড় প্রাপ্তি)’ (আহমাদ)

ফায়দা ঃ আল্লাহু আকবার! পবিত্র কুরআন কত বড় বস্তু যে, যতদিন কুরআন পড়তে পারবে না, ততদিন কোন কুরআন পাঠকারীর পড়া মনোযোগ সহকারে কান লাগিয়ে শুধু শুনবে সেও সওয়াব দ্বারা পরিপূর্ণ হবে। হে আল্লাহর বান্দাগণ! এ-তো মোটেও কঠিন কাজ নয়।

১১. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-

’ তোমরা কুরআন পাঠ করতে থাকো। কারণ, তা কিয়ামতের দিন তার পাঠকারীদের জন্য সুপারিশকারী হয়ে আসবে এবং তার জন্য ক্ষমা করাবে।’(মুসলিম)

১২ .রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-

’ কুরআন পাঠকারী কেয়ামতের দিন আসবে। কুরআন বলবে, হে প্রভু! তাকে পোশাক পরিয়ে দেন। তখন তাকে সম্মানের মুকুট পরানো হবে। তারপর বলবে, হে প্রভু! আরো অধিক পরিয়ে দিন। তখন তাকে সম্মানের পোশাক পরানো হবে। তারপর বলবে, হে প্রভু! তার প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে যান। তখন আল্লাহ তায়ালা তার প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে যাবেন। তারপর তাকে বলা হবে- কুরআন পড়তে থাকো এবং (মর্যাদার সোপানে) আরোহণ করতে থাকো এবং প্রত্যেক আয়াতের বিনিময়ে একটি করে নেকী বৃদ্ধি পেতে থাকবে।’
(তিরমিযী, ইবনু খুযাইমা, হাকিম)
ফায়দা: এই পাঠ করা ও আরোহণ করার বিবরণ অপর একটি হাদীসে এসেছে যে, যেভাবে ধীরে ধীরে দুনিয়াতে পাঠ করতে, তেমনিভাবে পাঠ করতে করতে আরোহণ করতে থাকো। সর্বশেষ আয়াত পাঠ করবে, সেখানেই তোমার বসবাসের ঘর হবে।
( তিরমিযী, আবু দাউদ, ইবনু মাজা, ইবনু হিব্বান)
এ হাদীসগুলো তারগীব গ্রন্থ থেকে সংগ্রহীত।

ফায়দা ঃ হে মুসলমানগণ! উপরোক্ত হাদীসসমূহ নিয়ে চিন্তা- ভাবনা করো এবং পবিত্র কুরআন শিক্ষা করার এবং সন্তানদেরকে শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করো। যদি পূর্ণ কুরআন শরীফ পড়ার বা পড়ানোর সুযোগ না হয় তাহলে যতটুকু সম্ভব তার জন্যই সাহস করো। যদি ভালভাবে মুখস্থ না হয় বা পরিস্কার ও শুদ্ধ না হয়, তাহলে ঘাবড়িও না। এতে লেগে থাকো। এভাবে পড়লেও সওয়াব পাওয়া যায়। যদি হিফয করা সম্ভব না হয় তাহলে নাযেরাই পড়ো এবং পড়াও! এরও অনেক ফযীলত রয়েছে। যদি পূর্ণ কুরআন শরীফ শিক্ষা করার সুযোগ না থাকে বা সাহস না হয়, তাহলে পূর্ণ কুরআন পড়তে সক্ষম এমন কোন ব্যক্তির নিকট বসে তা শ্রবনই করো (অর্থাৎ, তার অনুমতি নিয়ে তার পড়া শুনতে থাকো।)
এসব বিষয়ের সওয়াব উপরের হাদীসসমূহে পড়েছো।

আর এটি পরিস্কার কথা যে , যে কাজ জরুরী এবং সওয়াবের তার ব্যবস্থা করাও জরুরী এবং তাতেও সওয়াব পাওয়া যায়। বিধায় এ নিয়ম অনুসারে কুরআন পড়া ও পড়ানোর ব্যবস্থা করাও জরুরী এবং এতেও সওয়াব পাওয়া যাবে। এর ব্যবস্থা এই যে, প্রত্যেক জায়গার মুসলমানগণ সম্মিলিতভাবে কুরআনের মক্তব প্রতিষ্ঠা করবে। শিশুদেরকে কুরআন পড়াবে। বয়স্ক লোকেরাও নিজেদের কাজের ফাঁকে সময় বের করে অল্প অল্প করে কুরআন শিখবে। বিনা বেতনে পড়ানেওয়ালে না পাওয়া গেলে সবাই মিলে তার জীবন ধারণ হয় মত কিছু বেতন দিবে। এমনিভাবে যে সমস্ত শিশু দরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ার কারণে অধিক কুরআন পড়তে সক্ষম নয় তাদের খাদ্য ও বস্ত্রের ব্যবস্থা করে দিবে, যেন তারা নিশ্চিন্তে পবিত্র কুরআন খতম করতে পারে। আর যে যতটুকু পরিমাণ কুরআন পড়বে বাড়ীতে গিয়ে মহিলা ও মেয়েদেরকেও তা পড়াবে। এভাবে বাড়ীর সমস্ত পুরুষ ও নারী কুরআন পড়বে। যদি কেউ দেখে পড়তে না পারে তাহলে সে মৌখিকভাবেই কিছু সূরা মুখস্থ করবে।

পবিত্র কুরআনের আরো কিছু হক রয়েছে। এক. যে ব্যক্তি যতটুকু কুরআন শিক্ষা করবে- চাই পূর্ণ হোক বা সামান্য- সে তা সবসময় পাঠ করতে থাকবে, যেন তা স্মরণ থাকে। যদি স্মরণ না রাখে তাহলে পড়া ও নাপড়া সব সমান হয়ে গেলো।
দ্বি¦তীয় এই যে, যদি কারো পবিত্র কুরআনের অর্থ পড়ারও আগ্রহ হয় তাহলে নিজে নিজে অনুবাদ পড়বে না। কারণ, এতে ভুল বোঝার খুবই আশংকা রয়েছে। কোন আলেমের নিকট পাঠ পাঠ করে শিখবে।
তৃতীয় এই যে, পবিত্র কুরআনের খুবই সম্মান করা উচিত। তার দিকে পা দিও না। তার দিকে পিঠ দিয়ে বসো না। তার থেকে উঁচু জায়গায় বসো না। তাকে মাটিতে বা বিছানায় রেখো না। বরং রেহাল বা বালিশের উপর রাখো।
চতুর্থ এই যে, তা ছিঁড়ে গেলে কোন পবিত্র কাপড়ে পেঁচিয়ে এমন কোন পবিত্র জায়গায় দাফন করো, যেখানে চলাচল করে না।
পঞ্চম এই যে, যখন কুরআন পাঠ করবে তখন একথা চিন্তা করবে যে, আমি আল্লাহর সঙ্গে কথা বলছি। তখন দেখবে অন্তরে কেমন নূর পয়দা হয়।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল

মন্তব্য করুন: