বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ১১ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

এডিটর`স চয়েস

পদ্মায় রেললিংকসহ সারাদেশের রেলপথে ইলেকট্রিক ট্রেন চালুর পরিকল্পনা

 প্রকাশিত: ২২:১০, ২৬ মে ২০২১

পদ্মায় রেললিংকসহ সারাদেশের রেলপথে ইলেকট্রিক ট্রেন চালুর পরিকল্পনা

রেলপথে গতি আনতে ও যাত্রী সুবিধার কথা চিন্তা করে পদ্মাসেতু রেল লিংকসহ সারাদেশের রেলপথে ইলেকট্রিক ট্রেন চালুর পরিকল্পনা হাতে নিতে যাচ্ছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। যদিও মেট্রোরেল ছাড়া বাংলাদেশে কোনো রেলপথেই বৈদ্যুতিক সংযোগ নেই।

তবে নির্মাণাধীন পদ্মা সেতু রেল সংযোগে এই ব্যবস্থা চালু করা হবে।  

ঢাকাসহ দেশের মধ্য-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সড়কপথে যোগাযোগ স্থাপনে স্বপ্নের পদ্মাসেতু গড়তে কাজ করছে সরকার। এই সেতুর মাধ্যমে দক্ষিণ-পশ্চিমে রেলওয়ে যোগাযোগও চালু করার কাজ চলছে। এজন্য ‘পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্প’ অনুমোদন দেওয়া হয়। ঢাকা থেকে পদ্মা বহুমুখী সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত নতুন ব্রডগেজ রেলওয়ে ট্র্যাক নির্মাণ করা হবে, যার দৈর্ঘ্য হবে ১৬৯ কিলোমিটার। লুপ সাইডিং (লাইন বদলের জন্য) এবং ডাবল লাইনসহ মোট ট্র্যাক হবে ২১৫ দশমিক ২২ কিলোমিটার। নির্মাণাধীন প্রকল্পে নতুনভাবে ইলেকট্রিক ট্রেনের প্রযুক্তি সংযুক্ত করা হবে।  

ইলেকট্রিক ট্রেন সর্বোচ্চ ওজন বহনে সক্ষম এবং পরিবেশবান্ধব। পাশাপাশি এই ট্রেনগুলোর পরিবহন ব্যয়ও কম। মাত্র চার ইউনিট বিদ্যুতে এক কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারবে। প্রতি ইউনিট খরচ ১০ টাকা হলে এক কিলোমিটারে খরচ হবে মাত্র ৪০ টাকা। যেখানে ডিজেল চালিত ট্রেনে প্রতি কিলোমিটার জ্বালানি খরচ হাজার টাকারও বেশি।

রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, রেলওয়ে ইলেকট্রিক ট্র্যাকশন প্রবর্তন করা বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য একটি মাইলফলক হবে। এর ফলে ইলেকট্রিক ট্রেন চালু হলে ভ্রমণ সময় ও অপারেশনাল ব্যয় হ্রসের পাশাপাশি যাত্রীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া শহরগুলোতে ইলেকট্রিক ট্র্যাকশন একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে। ফলে তা জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। 

অনলাইন নিউজ পোর্টাল

মন্তব্য করুন: